আঠারোর ১৮-৫ : ২ : একালের নায়কের চলে যাওয়া

Spread the love

আঠারোর ১৮-৪ : ৩ : পাঠাও – বর্ষসেরা উদ্যোগ
আঠারোর ১৮-৩ : ৪-৬
আঠারোর ১৮-২ : ৭-১২
আঠারোর ১৮-১: ১৩-১৮

২. আমাদের কালের নায়কের চলে যাওয়া

১৪ এপ্রিল সকালে প্রথম আলো’র অনলাইনের প্রধান সেলিম খান যখন আমাকে ফোন করেন তখনই আমার বোঝা উচিৎ ছিল। স্যার স্টিফেন উইলিয়াম হকিং চলে যাবার জন্যও একটা বিশেষ দিন বেঁছে নেবেন। ১৪ মার্চ মহামতি আইনস্টাইনের জন্ম। আইনস্টাইনের দুনিয়ার সবচেয়ে পণ্ডিত লোকটা আইনস্টাইনের জন্মদিনেই চলে যাবেন এত অবাক হওয়ার কী আছে। তবে, কথাটা যদি আমি তাঁকে বলতাম তাহলে তিনি অবশ্য মানতেন না। দিনের আলাদা তাৎপর্যে তার কোন বিশ্বাস ছিল না।
মনে আছে যেবার আমি তাঁকে বলেছিলাম, তিনি গ্যালিলিওর মৃত্যুর ঠিক ৩০০ বছরের দিন জন্মেছেন, সেবার তিনি হেসে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন – আরে, ঐদিন শুধু লন্ডনেই ২০০ ছেলে-মেয়ে জন্মেছে!!!
স্টিফেন উইলিয়াম হকিং আমাদের বিজ্ঞান জগতের সঙ্গে সঙ্গে মনোজগতেও ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিয়েছেন। কোয়ান্টাম বলবিদ্যা আর আপেক্ষিকতার তত্ত্বকে ছাঁদনা তলায় প্রথম নেওয়ার কৃতিত্বটা তাঁর। এই  দুনিয়ার শুরু যে বিগব্যাং থেকে সেটিও তিনি রজার পেনরোজের সঙ্গে মিলি “নিশ্চিত” করেছেন। পদার্থবিজ্ঞানের বই যে কোটি কোটি কপি বিক্রি হতে পারে সেটাও তাঁর কাজ থেকেই আমরা শিখেছি।
পদার্থ বিজ্ঞানের সব পুরস্কারই পেয়েছেন। পাননি কেবর নোবেল পুরস্কার। তবে, আর কিছুদিন বাঁচলে হয়তো পেতে পারতেন। বিশেষ করে যখন আমরা হকিং-এর বিকিরণ নিয়ে ম্যালা কিছু ভাবতে পারি। ২০১৮ সালের হকিং-এর চলে যাওয়া মানব সভ্যতার এক ছন্দ পতন।

 

Leave a Reply Cancel reply

Exit mobile version