ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – অবতরণিকা
৪৮ ঘন্টা আগেই সবাই সুখবরটা শুনেছে। আমাজান আমাদের অধিগ্রহণ করছে। বাকী বিশ্বের কাছে এটি একটি টাকার গল্প। এক বিলিয়ন ডলারে জাপ্পোসকে কিনলো আমাজন। এই ছিল বেশিরভাগ পত্রিকার শিরোনাম। কোথাও ছিল “আমাজনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অধিগ্রহণ”।
১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসে মাইক্রোসফট লিঙ্কএক্সচেঞ্জ নামের একটি কোম্পানিকে কিনে নেয় মাত্র ২৬৫ মিলিয়ন ডলারে। আমি সেই কোম্পানির একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা। আর এখন এই ২০০৯ সালের জুলাই মাসে জাপ্পোসের প্রধান নির্বাহী হিসাবে আমি আমাজনের আমাদের অধিগ্রহণের কথা ঘোষণা করেছি। এটি আমাদের দশম বর্ষপূর্তির কয়েকদিন পরের ঘটনা। দু’টো ঘটনার একটাই মিল। আমাদের দুই কোম্পানিই বছরে ১০০ মিলিয়ন ডলার করে অগ্রগতি করেছে। ১-০-০ মিলিয়ন ডলার/ইয়ার!
আসলেই কী সুখ বিতরণ করা যায়? সত্যিই কি এমন ব্যবসা সম্ভব? টাকার পেছনে দৌঁড়াবো নাকি নিজের ইচ্ছে, ভালবাসা আর স্বপ্নের পেছনে?
জাপ্পোসের প্রধান নির্বাহী টনি সেই তার সুখ বিতরণের গল্প লিখেছেন “ডেলিভারিং হ্যাপিনেস” নামের একটি বইতে। আমার ঠিক মনে নাই এরকম গ্রোগ্রাসে আমি কোন বিজনেস বই পড়েছি কি না। ছোট বই। আমি তিন পর্বের প্রথম পর্ব পড়ে ফেলেছি। হঠাৎ মনে হল আরে আমার পাঠকদের সঙ্গে তো শেয়ার করা হচ্ছে না। যদিও একটা অংশ কদিন আগে একবার ব্লগে দিয়েছি।
তাই ভাবছি জাপ্পোসের গপ্পটা লিখবো নাকি?
আর লিখলে সেটা কি উত্তম পুরুষে ভাবান্তর হবে নাকি তৃতীয় পুরুষে আমি বলব? আমি এখনো ব্যাপারটা ঠিক করি নাই। দেখি আমার পাঠকরা কোন ফর্ম পছন্দ করে। না হয় সেই ফর্মেই লেখা যাবে।
2 Replies to “ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – অবতরণিকা”