ঘরে ফিরেছে এক্স ডট কম
নিজের বাড়িতে ফিরে গেছে এক্স ডট কম।
ইন্টারনেট দুনিয়ার যারা খোঁজ রাখে তারাতো বটেই এমনকি যারা খোঁজ রাখে কেবল ধনকুবের ও “মাস্টার অব অল ট্রেড” এলন মাস্কের তারাও সবাই এক্স ডট কমের (x.com) কথা মনে রেখেছে। এক্স ডট কম ডোমেইন হলো পৃথিবীর তিনটি মাত্র এক অক্ষরের ডোমেইন যা হাতবদলের জন্য উন্মুক্ত আছে। বাকী দুইটি হলো কিউ ডট কম (q.com) ও জি ট কম। এক অক্ষরের বাকী ২৩টি ডোমেইন সংরক্ষিত।
এক্স ড কমের সঙ্গে ডট কম যুগের ইতিহাসও জড়িত।
২০০০ সালে দুইটি খুবই স্বল্প পরিচিত ইন্টারনেট পেমেন্ট সিস্টেম একীভূত হয়। এর মথ্যে এক্স ডট কম একটি ইন্টারনেট ফিনান্সিয়াস সিস্টেম যার প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক। অন্যটি একটি পেমেন্ট সিস্টেম যার নাম কোফিনিটি। এর দুই সহ প্রতিষ্ঠাতার একজন পিটার থিয়েল ও অন্যজন ম্যাক্স লেভচিন। দুই প্রতিষ্ঠান একত্রিত হওয়ার পর এক্স ডট কম নামেই কাজকরর্ম আগানোর কথা ঠিক করা হয়। কিন্তু ২০০১ সালে ঠিক করা হয় যে না এক্স ডট কম নয় বরং কোম্পানির নতুন ব্র্যান্ড হবে পেপাল। সে থেকে এক্স ডট কম কোন কাজে আসছে না।
অন্যদিকে পেপাল দ্রুত ইন্টারনেট পেমেন্টের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে যায়। বলা বাহুল্য যে কোম্পানির পেছনের তিনজন মূল লোক পিটার, এলণ আর ম্যাক্স , সে কোম্পানির এমনই হওয়ার কথা।
এরকম ক্ষেত্রে কারো না কারো সঙ্গে বোর্ডের ঝগড়া লাগারই কথা। কাজে এক বছর পরেই এলন পেপাল ত্যাগ করেন তার নতুন স্টার্টআপ বানানোর জন্য। এরপর ২০০২ সালে পেপাল শেয়ার বাজার থেকে ১.৫ বিলিয়ন ডলার রেইজ করে যার মাধ্যমে এলনের সম্পত্তির পরিমান দাড়ায় মাত্র ১৬০ থেকে ১৮০ মিলিয়ন ডলার! পিটার ফেসবুকের শুরুতে বিনিয়োগ করে এখন বিলিওনিয়ার আর ম্যাক্স গড়েছেন ইয়েল্প যা তরুন উদ্যোক্তাদের ঋণ সুবিধা দেয়।
মাত্র কয়েকদিন আগে পেপালের কাছ থেকে তিনি আবার এক্স ডট কম কিনে নিয়েছেন। পেপাল বিজনেজ ইনসাইডারকে এই বিক্রির কথা যেমন কনফার্ম করেছে তেমনি এলনও তার টুইটারে এটি নিশ্চিত করেছেন।
তবে, জানা যায়নি পেপাল কতো টাকায় এক্স ডট কমকে তার প্রথম মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন তবে এটি বাংলাদেশী টাকায় ১০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে বলে ডোমেইন বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন।
এলন মাস্ক এখনও এই ডোমেইন নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা বলেননি। তবে, আকলমন্দদের জানা আছে যে, এক্সের প্রতি তাঁর দুর্নিবার আকর্ষনে কোম্পানির নামের শেষে একটা এক্স তিনি দিয়ে রাখেন, যেমন স্পেস এক্স।
আপাতত এক্স কিছুদিন রেস্ট নিক!