বিলিয়ন ডলারের সুপার উদ্যোক্তাদের বৈশিষ্ট্যের সমাহার
এ বছর আমার বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ বইটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে রয়েছে ১২টি স্টার্টআপের বিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত হওয়ার কাহিনী। সেই সঙ্গে সেখান থেকে আমার পাওয়া টেকআওয়ে। আমার সব বই আমি প্রকাশের আগেই অনেককেই পড়তে দেই। কেউ কেউ চ্যাপ্টার অনুসারে এবং কেউ কেউ পুরো বইটা পড়েন। তারপর তারা মতামত দেন। আমি সেই অনুসারে সম্পাদনা করি। এদেরকে আমি বলি আর্লি রিডার। আমার গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং বই-এ আলাদা একটি চ্যাপ্টার আমি যোগ করেছি আর্লি রিডার গুটিপার উদ্যোক্তা তাসলিমা মিজির রিউিউ-এর পর। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা ফিরোজের পরামর্শে আপনার সায়েন্স ফিকশন ময়ালে প্রচুর রদ-বদল, ব্যাখ্যা যোগ করতে হয়েছে।
আর্লি রিডারদের অবদান
সুপার উদ্যোক্তা
কি আশ্চর্য, আমার বই প্রকাশের কিছুদিন পরেই আমি জানতে পারলাম স্টার্টআপ এনথুজিয়াস্টিক আলী তামাসেব ঠিক এই রকম একটা স্টাডি করেছেন গত চার বছর ধরে এবং তাঁর এই এনালিসসি তিনি “Super Founders: What Data Reveals About Billion-Dollar Startups“ শিরোনামের বইতে তুলে ধরেছেন। এর হার্ডকভার আজ অ্যামাজন ডট কমে উন্মুক্ত হয়েছে। এই বইতে তিনি ২০০৫ সালের পরে প্রতিষ্ঠিত ১৯৫টি কোম্পানিকে স্টাডি করেছেন যেগুলো কোন না কোন এক সময় বিলিয়ন ডলারের মূল্যমান অতিক্রম করেছে। মোট ৬৫টি উপাদান নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। যার বিস্তারিত ব্যাখ্যা ঐ বই-এ পাওয়া যাবে।
৫ বৈশিষ্ট্য
বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপে বিলিয়ন ডলার কোম্পনি ছাড়াও একটি ব্যক্তি উদ্যোগের গল্প আছে। এটি মিলিয়ন ডলার স্টার্টআপের গল্প। কলেজে পড়ার খরচ যোগাড় করার জন্য আলেক্স টিউ নামে একজন শিক্ষার্থী মিলিয়ন ডলার হোমপেজ নামে একটা ওয়েবসাইট বানায়। সেটিতে লোগো বসিয়ে সে মিলিয়ন ডলার আয় করে! সেই সময় ব্যানার এডের প্রচলন ছিল না। কাজে মাত্র ৫ মাসেই সে কোটিপতি হয়ে যায়। ঐ ঘটনার ছয় বছর পরে টিউ মেডিটেশনের একটা এপ (Calm) নিয়ে বাজারে আসে এবং সেটির ভ্যালুয়শন হয় দুই বিলিয়ন ডলার। বোঝা যাচ্ছে মিলিয়ন ডলার হোমপেজের অভিজ্ঞতাই টিউকে এগিয়ে রেখেছে।
২. যে সব উদ্যোগে ২ বা ৩ জন সহ উদ্যোক্তা তারাই বেশি সফল হয়েছে। তবে ২০% ক্ষেত্র কিন্তু একক উদ্যোক্তাও স্বপ্ন ছুতে পেরেছে।
৩. প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা কাম প্রধান নির্বাহীর অর্ধেকের চেয়ে বেশির বয়স ৩৫-এর চেয়ে বেশি। এর মানেই হলে ৫০%-এর বেশির কমপক্ষে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা ছিল।
৪. ইন্টারেস্টিং হলো একই ধরণের সেক্টরের কাজের অভিজ্ঞতা খুব একটা ম্যাটার করে না। তবে হেলত কেয়ার বা বায়োটেকের ক্ষেত্রে সেক্টর অভিজ্ঞতাটাই আসল।
৫. দু:খজনক হলেও আমাদের মেনে নিতে হবে যে, বিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠান গড়ার জন্য পড়ালেখাটা দরকার। কারণ বেশিরভাগই কিন্তু ব্যাচেলর বা এমবিএ ডিগ্রীধারী।
আমি অপেক্ষা করছি বইটা পড়ার জন্য। যাদের তর সইছে না তারা দ্রুত বইটি সংগ্রহ করে নিতে পারেন।