ডেভেলপারদের পছন্দ – নতুনদের দিশা
স্টেকওভারফ্লো হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও বিশ্বত্ব ডেভেলপার কমিউনিটি। প্রতিমাসে ডেভেলপাররা প্রায় চার কোটিবার এ সাইটে আসে, প্রশ্ন করে, উত্তর খোঁজে এবং নিজের মতামত জানিয়ে যায়। এবছরের সার্ভেতেও কয়েকটা নতুন জিনিস জানা গেছে।
এগুলোর কয়েকটা হলো –
- হোক দেরি যায়নি সময় – বিল গেটস, জাকারবার্গের মতো আইকনিক লোকেরা খুব ছোটবেলায় প্রোগ্রামিং শুরু করেছিলেন। কাজে একটা ধারণা হলো ছোটবেলা থেকে শুরু করলে ভাল হয়। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, ছোটবেলা থেকে প্রোগ্রামিং শুরু করলে অনেকখানি এগিয়ে থাকা যায়। তবে, দেখা যাচ্ছে, দেরিতে, এমনকী চাকরি জীবন শুরুর মাত্র কিছুদিন আগে শুরু করেও প্রোগ্রামিং-এ ভাল করা সম্ভব। দরকার হলো একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও ‘দেখে নেবো’ স্পিরিট;
- বিশ্বের সেরা ডেভেলপাররা সারাক্ষণই আমাদের দেশের ডেভেলপারদের মতো চাকরি পরিবর্তনের সুযোগ খুঁজে না। তাঁরা যেখানে কাজ করে সেখানেই থাকতে চায়। তবে, নতুন অপরচুনিটি সম্পর্কে জানতে সবারই ভাল লাগে।
- সরকারি ও অ-লাভজনক সংস্থায় চাকরিজীবীদের ধারণা তাদের কম বেতন দেওয়া হয়!
এবার দেখা যাক জরিপ কী বলে-
২. শিক্ষা – ডেভেলপারদের মধ্যে ৪২%ই গ্র্যাজুয়েট। আর ২০% মাস্টার্স। আর বিসয় হিসাবে এগিয়ে রয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স বা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং (৫০%)। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইলেকট্রিক্যাল/ইলেকট্রনিক্স এর পরই রয়েছে। যদিও মাত্র ৩০% ডেভেরপার মনে করছে যে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন আছে।
জরিপের তথ্য থেকে নতুন যারা প্রোগ্রামার হতে চায় তারা তাদের করনীয় খুব সহজে ঠিক করে নিতে পারে –
- শিখতে হবে নিজে নিজে। সেজন্য সবচেয়ে ভাল হয় একটা কোন বই ফলো করা। আমাদের দেশে বাংলাতে কিছু বই রয়েছে তবে এখনো বেশিরভাগ বই হচ্ছে ইংরেজিতে। কাজে বই পড়ার পাশাপাশি কোন বুট ক্যাম্প, হ্যাকাথনে কিভাবে যাওয়া যায, অংশগ্রহণ করা যায় সেটা নিয়ে ভাবতে পারে।
- অনলাইন কোর্সে অংশ নিতে হবে,
- একটু আগানোর পরই কোন না কোন কনটেস্টে অংশ নিতে হবে। শুরু করতে হবে অনলাইন কনটেস্ট দিয়ে। অনলাইন কনটেস্ট শেষে বিভিন্ন ফোরামে এগুলোর আলোচনায় অংশ নিতে হবে
- সবশেষে, চাকরি জীবনের শুরু থেকে শেখাকে বাদ দেওয়া যাবে না।
দুর্ভাগ্যবশত কেউ এখানে লার্নিং আর্নিং-এর কথা বলে নাই।
নতুনদের জন্য যখন সাজেশন চাওয়া হলো তখন ৬৪% অনলাইন কোর্সের ব্যাপারে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে।
৩. কোন ভাষা, কোন প্ল্যাটফর্ম ?
৫ম বছরের মতো জাভাস্ক্রীপ্ট এবারও ডেভেলপারদের প্রথম পছন্দের মধ্যে রয়েছে। এবং যথারীতি সিকুয়েল রয়েছে দ্বিতিয় ও জাভা তৃতিয় স্থানে রয়েছে। তবে, এই প্রথমবারের মতো পাইথন পিএইচপিকে অতিক্রম করেছে। অন্যদিকে নোড জেএস ও এংগুলার জেএস যথারীতি ডেভেলপারদের প্রথম দুইটি পছন্দে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে। এবারই প্রথম জানতে চাওয় হয়েছে ডেটাবেসের কথা। ৫৫% মাইসিকুয়েল আর ৩৮% সিকুয়ের সার্ভারের কথা বলেছে। আর প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে এখনো উইন্ডোজ এগিয়ে রয়েছে। তবে, দ্রুত আগাচ্ছে লিনাক্স।
হ্যাপি কোডিং।