উসাইন বোল্টের সঙ্গে সেলফি? – না থাক!!!
যাহোক সব শেষে শরু হলো ছবি তোলা। তো শেষ আর হয় না।
এক পর্যায়ে স্যার বললেন – তুলুক। তোলাটাই সব। কেও সেটা দেখে না!!!
স্যারের কথা শুনে “On Photography” বই-এর লেখক সুসান সনটাগের কথা মনে পড়লো। ১৯৭৭ সালের তার বই-এ তিনি লিখেছেন – Today everything exists to end in a photograph। মানে হলো এখন বিরাজিত সব কিছুর শেষ হলো ছবিতে!
মজার বিষয় হলো সম্প্রতি গুগল তার ফটো-এডিটিং স্যুট গুগল এনআইকে কালেকশনকে ফ্রি করে দিয়েছে। ২০১২ সালে গুগল যখন ঐ সফটওয়্যার একোয়ার করে তঅন সেটি বিক্রি হতো ৫০০ ডলারে। এখন একেবার বিনামূল্যে!এটার অনেক কারণ থাকতে পারে তবে একটা কারণ হলো ছবির ব্যাপারটা মনে হয় ক্রমাগত সার্বজনীন হয়ে উঠছে!
আজ থেকে মাত্র দেড় দশক আগে, বাংলাদেশে ৪০০০ ভিডিও ক্যামেরা আর ১০,০০০+ স্টিল ক্যামেরা ছিল। আর ২০১৬ সালে মাত্র এক কোটি স্মার্ট ফোনের এলসি খোলা হয়েছে যেগেুলোর প্রত্যেকটি একটি করে ক্যামেরা। আর এই ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারে যে কেও। এতো সোজা।
১৯৭০ সালে বাবা জার্মানী থেকে একটা ক্যামেরা এনেছিলেন। এটি ১৯৯১-৯২ সাল পর্যন্ত আমরা ব্যবহার করেছি। ছবি তোলার সময় হাত নাড়ানো যেত না, সামনে পিছে করে ছবি এডজাস্ট করা লাগতো – একটা ছবি তোলা কতো হ্যাপা। আর এখন ধুম করে চাইলে মোবাইল ফোন দিয়েই ফেসবুকে লাইভ করে দেওয়া যায়। আমাদের ঐ সংবাদ সম্মেলনই তো লাইভ করা হয়েছে!!!
তো, ছবি তোলার ব্যাপারটা আসলে আসে সেলফির কথা। আনিসুল হক লিখেছেন সেলফি তুলতে হাতির কোন স্টিক লাগবে না!
আচ্ছা সেলফির বাংলা কী হবে?
- নিজিই ভাল। কারণ নিজন্বী বললে একটা সেলফিশ সেলফিশ ব্যাপার এসে পড়ে বলে মনে করছেন ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান।
সেলফি তোলার সময় দেখা যায় সবাই ঐ ফ্রেমে ঢুে পড়তে চায়। কিন্তু এখানে যে ছবিটা দিয়েছি সেটাতে দেখা যাচ্ছে এক মহিলা কিংবদন্তীর উসাইন বোল্টের সঙ্গে সেলফিতে থাকার ব্যাপারে পুরাই উদাসীন।
ছবি তোলা নিয়ে সকাল বেলা বকর বকর করার কারণ একটাই।
ছবি না তুলেও ছবির মধ্যে থাকা যায়।
শুভ সকাল।