পেনসিলের প্রতিশ্রুতি-১
কিন্তু, আমার নিজের ভিতরে আমি জানি আমার আজকের ব্যাংকে আসা ভিন্ন। আমি আমার উদ্দেশ্যেই এখানে এসেছি। গত কিছুদিন ধরে একটা চিন্তা আমাকে প্রায়শ রাত্রে জাগিয়ে রাখে। সেটি আমাকে বলে আমার জীবন পরিপূর্ণ হবে যদি আমি লাভের ভিত্তিতে জীবনটাকে না ভেবে উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে ভাবি। এবং অবশেষে আমার সামনে সে দিন এসে পড়েছে। আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্নের পেছনে দৌড়াতে চাই।
এমন অনেক সময় আসে যখন তুমি এমন সব ভাবনা ভাবো, চিন্তা করো যা কিনা তোমার শরীরের চেয়ে অনেক বড়। আজকে সেরকম একটা দিন, আমার জন্য। আমি এমন একটা কিছুর সঙ্গে নিজেকে জড়িত করতে চাই, যা কিনা আমার দুই হাতে ধরে না। নিরাপদ পথ ছেড়ে একটা ভয়ের জগতে যাবার সময় মানুষ যতোটা আতঙ্কিত হয়, তার ছিটেফোটাও আমার মধ্যে নেই। কারণ আমার কেবল মনে হচ্ছে কাজটা যদি করতে পারি তাহলেই হবে।
আমি কোন বড় উদ্যোক্তা নই, যে কী না তার কোম্পানিকে আজকে বিক্রি করে দিচ্ছে। আমি সেরকম লম্বা সময়ের কোন কর্মচারী নয় যে কীনা এরই মধ্যে নিজেকে একাধিক বার প্রমাণ করেছে। এমনকী আমার ব্যাংকে মিলিয়ন ডলারও নেই। বরং আমার সাকল্যে আছে মাত্র ২৫ ডলার যা দিয়ে আমি প্রমাণ করতে চাই বয়স, স্ট্যাটাস কিংবা অবস্থান যাই হোক না কেন সব মানুষই এই পৃথিবীকে বদলে দিতে পারে। কাজে ঐ ছোট্ট অংকের টাকাটি দিয়ে আমি একটা নতুন ব্যাংক একাউন্ট খুলেছি এই আশায় যে একদিন আমি একটা স্কুল তৈরি করতে পারবো।
এর পরে যত কিছু হয়েছে সব কিন্তু আমার এই প্রথম স্টেপের পরই হয়েছে।
—
তুমি যখন বিশ্বাস করবে তোমার দ্বারা আরো কিছু করা সম্ভব, সম্পদ যাই হোক না কেন, পৃথিবীকে একটু খানি বদলে দেওয়ার, তুমি সেটি পারবে। এমন সময় আসবে যখন তুমি জানবে জীবনের উদ্দেশ্য কী? এবং তখন থেকেই তুমি একটা চমৎকার জীবন কাটাতে শুরু করবে।
এটি আমার জীবনের গল্প হলেও আসলে এটি যে কারোরই গল্প হতে পারে। এই বই-এর ৩০টি অধ্যায়েই রয়েছে একটি করে মন্ত্র। এই মন্ত্রগুলো আমকে গাইড করেছে বড় কিংবা ছোট সিদ্ধান্ত গ্রহণে। আমি এগুলো লিখছি এই আশায় যে, এগুলো তোমারা এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রত্যেক মানুষের বুকের মধ্যে একটি বিপ্লবের দামামা বাজছে।
2 Replies to “পেনসিলের প্রতিশ্রুতি-১”