আলবেয়ার কামু, স্টিফেন হকিং এবং আগামীর বিপদ!!!
মহামারীর মধ্যে একদল ডাক্তারের লড়াই! কামুর উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে ১৯৪৭ সালে। সেখানে আলজেরিয়ার ওরান শহরে একটা মহামারী প্রতিরোধের গল্প। সঙ্গে মানবিক ব্যাপারগুলো তো আছে।
ইতিহাসে একাধিকবার এই বিউবোনিক প্লেগের কথা পাওয়া যায়। ইউরোপে প্লেগের জীবাণু ঢোকার গল্পটাও কিন্তু কম মজাদার ও বোকামূলক নয়। একটা জাহাজ ভেসে ভেসে ইতালীর একটা বন্দরে চলে আসলেও গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় সেটিতে বন্দরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু রাতের বেলায় সে জাহাজ লুট করে রোমান কিছু ডাকাত আর তাদের শরীর বেয়ে ইতালীতে ঢুকে পড়ে প্লেগের জীবাণু। সূচনা করে ব্ল্যাকডেথ বা কাল মৃত্যুর। এরককম মহামারী বেশ ক’বার হয়েছে মানব ইতিহাসে।
গুটিবসন্তও একসময় মহামারী ছিল। আর আমাদের দেশে ছিল সেটা কলেরা। গ্রামের পর গ্রাম কলেরাতে উজাড় হওয়ার কথা আমরা পড়েছি তবে ঠিক মাস্টারপিস টাইপের কোন উপন্যাস বা গল্প পড়েছি বলে মনে পড়ে না। থাকতে পারে।
আচ্ছা ঐ মহামারী কি আবার হতে পারে?
বিজ্ঞানের বিকামে এমনটা এখন কঠিন। কাল চট করে ধরে ফেলা যাবে। কাজে প্রকৃতি হয়তো এমন বীজাণু দিয়ে কিছু করবে না। বরং পাহাড় ধ্বসে বা সুনামি সৃষ্টি করে তার প্রতিশোধ নেবে।
তবে ভয়টা অন্য জায়গায়। যেমনটা স্টিফেন হকিং বলেন অন্যরকম মহামারীর কথা। সেটা কেমন?
তবে, হকিং-এর দ্বিতীয় যে হাইপোথিসিস সেটা লুফে নিয়েছেন কল্পবিজ্ঞানের লেখকেরা। হকিং বলছেন পরের মহামারীর যে জীবাণু সেটা আসবে পৃথিবীর বাইরে থেকে। মহাজাগতিক। আর যেহেতু সেটা পৃথিবীর বাইরে থেকে আসবে কাচে সেটার সঙ্গে আমরা পারবো না। হয় আমরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবো অথবা পৃথিবীর আবহাওয়াতেই সেটি পরিবর্তিত হয়ে যাবে বা সেটার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা বিনষ্ট হয়ে যাবে। হয়তো আজ থেকে ১০০-২০০ বছর পরে।
সেটা হলে কেমন হবে।
আজ থেকে অনেক বছর পরে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা কী সেরকম কোন লড়াই-এর জন্য তৈরি থাকবেন। তখনো কী কোন জেনারেল ক্ষমতা দখলের কারবার করবে?
প্রশ্নগুলো সহজ আর উত্তরও তো জানা!
…
…
…
কাল রাতে শুরু করেছিলাম। সকালে না ঘুমিয়ে উঠে পড়েছি কেবল এই উপন্যাস পড়ার জন্য। পড়ার সময় গায়ের সব লোম খাড়া হযে যাচ্ছিল।
মনে হয়েছে কামুর প্লেগের কথা। মনে পড়েছে রুদ্রপ্রয়াগের চিতার কথা। মনে আছে চিতা যেদিন পড়েছিলাম সেদিন বাসায় কারেন্ট ছিল না। মোমের আলোতে পড়েছি। মনে হতো চিতাটা মনে হয় আমার পাশে নি:শ্বাস ফেলছে। মাঝে মধ্যে চমকে উঠে দেখতাম ঠিক আছি কী না।
এখন বয়স হয়েছে জানি গল্প গল্পই কিন্তু কী এক অমোঘ আকর্ষনে উর্ধনি:শ্বাসে কোন কিছুর পড়ার মজাই আলাদা।
ও বলা হয়নি। আমি পড়েছি শেখ আবদুল হাকিমের লম্বা নামের একটা উপন্যাস। আর সেটি ছাপা হয়েছে। প্রথম আলোর ঈদ সংখ্যা ২০১৭ তে।
যারা পড়বেন তাদের কথা মাথায় গল্পের মূলভাবটা আর লিখলাম না।
শুভ দুপুর।