বিলিয়ন বা ট্রিলিয়ন ডলার কোম্পানির কথা উঠলেই আমাদের চোখের সামনে এপল, গুগল, অ্যামাজন বা ফেসবুকের কথাই ভেসে উঠে। এই কোম্পানিগুলোর কোনটি এরই মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছে। স্বভাবতই মনে হতে পারে কোম্পানি পিছু বিলিওনিয়ারের সংখ্যা হয়তো সেখানেই বেশি। কারণ তাদের শেয়ারের দামই বেশি।
কিন্তু সম্প্রতি ফোর্বস ম্যাগাজিনের এক নিবন্ধে দেখা যাচ্ছে গুগল বা ফেসবুক নয়, বরং একটি অখ্যাত, কম পরিচিত, ব্যাটারি প্রস্তুতকারী চিনে কোম্পানি সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছে!!! বিশ্বের বিভিন্ন শেয়ার বাজারে নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর শেয়ার হোল্ডারদের তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে চিনের কনটেমপোরারি এপেরেক্স টেকনোলজি (Contemporary Amperex Technology (CATL))-এর শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার বা তার চেয়ে বেশি সম্পদমূল্যের অধিকারীর সংখ্যা এখন সর্বোচ্চ, ৯ জন। চিনের এই কোম্পানি বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য ব্যাটারি তৈরি করে। তাদের গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে বিএমডব্লিউ, ভক্সওয়াগন ও ডেইমলারের মার্সিডিস বেঞ্জ। করোনাকালে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা অনেকখানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে কোম্পানির প্রতিস্ঠাতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান ৫২ বছর বয়স্ক রবিন ঝেং ৩২.৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে ফোর্বসের বিলিওনিয়ার তালিকায় ৪৭ নম্বরে উঠে এসেছেন। অথচ গত বছর মার্চ মাসে তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯.৭ বিলিয়ন ডলার। ঝেং সিএটিএলের ২৫%-এর মালিক।
সিএটিএলের অন্যান্য কর্তারাও এভাবে উঠে এসেছেন। কোম্পানির দুইজন সহ ভাইস চেয়ার হুয়াং শিলিন ও লি পিং-এর সম্পদ মূল্য যথাক্রমে ১৪.৭ ও ৬.৬ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া সিএটিএলের অন্যান্য বিলিওনিয়াররা হলেন ফেই জেনহুয়া(আর্লি ইনভেস্টর, ৮.৫ বি.), জাও ফেনগ্যাং (২.৪ বিলিয়ন), উ কাই (২.৩ বি.), উ ইংমিং (১.৯ বি.), চেন কুয়ানজিয়াং (১.৮ বি.) ও চেন উয়ানতাই (১.৩ বি.)। ফোর্বসের হিসেবে তাদের সম্মিলত সম্পদের পরিমাণ ৭২ বিলিয়ন ডলার! ফোর্বসের হিসেবে ফেসবুক, গুগল ও ওয়ালমার্ট প্রত্যেকই আটজন করে বিলিওনিয়ার সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে ওয়ালমার্টের বিলিয়নিয়াররা পারিবারিকভাবে বিলিওনিয়ার হয়েছে। সিএটিএল ছাড়াও চিনে ফোসান হাইতিয়ান ফ্লেবারিং এন্ড ফুডও এ পর্যন্ত নয় জন বিলিওনিয়ার সৃষ্টি করেছে।
আমার বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ বই-এ পশ্চিমা স্টার্টআপগুলোর কথায় উঠে এসেছে। সেখানে ১২টি বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপের কথা লিখেছি। সঙ্গে সেখান থেকে আমার টেকআওয়ে। বেশিরভাগই ফেসবুক, পেপালের মতো জনপ্রিয় কোম্পানি। এর বাইরে একটি দুইটি নন-আইটিও আছে।
মনে হচ্ছে চিনেদের জন্য আলাদাভাবে বিলিয়ন ডলারের চিনা স্টার্টআপ লিখতে হবে। কারণ চিনাদের লড়াই আসলে অন্যরকম। বিশেষ করে জ্যাক মা’কে নিয়ে চিনা কমিউনিস্ট সরকারের সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে বোঝা যাচ্ছে সেখানকার লড়াই আসলেই অন্য রকম। কাজে আমাদের তরুণদের সেগুলো ঠিকমতো জানা দরকার।
দেখা যাক বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপের দ্বিতীয় খন্ডে এরকম কিছু করা যায় কিনা।
Spread the loveলিন স্টার্টআপ ধারণার পথিকৃৎ এরিক রিজের একটি পডকাস্ট আছে। অনেকেই হয়তো নিয়মিত শোনেন। সর্বশেষ পডকাস্টে এরিক কথা বলেছেন ফেসবুক ও আসানার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডাস্টিন মাস্কোভিচের সঙ্গে। ফেসবুক মাস্কোভিচ খুব একটা প্রমিনেন্ট ছিলেন না। কিন্তু আসারা, একটি কোলাবোরেটিভ কাজের প্ল্যাটফর্ম’ গড়ার সময় ডাস্টিন অনেক সময় দিয়েছেন। এরিক তার সঙ্গে কথা বলেছেন নানা বিষয়ে। স্বভাবতই এসেছে30
Spread the loveThese were, by their résumés, very superior people. And I thought, gee, maybe there is something here, something more valuable than just being an employee.” – Arthur Rock, Venture Capitalist ১৯৫৭। গ্রীস্মের সকাল। সানফ্রান্সিস্কোর ক্লিফ্ট হোটেলে একে একে জড়ো হলেন আটজন বিজ্ঞানী। সবাই তুখোড় এবং আমেরিকার একটি বিশেষ ক্ষেত্রের সেরা বিজ্ঞানী। নিজেরা ছাড়া30