“মন্তব্য পড়ো না”!!!
কিন্তু কী আশ্চর্য। প্রায় ১০০ বছর হতে যাচ্ছে কিন্তু এখনো অনেককিছু অজানা রয়ে গেছে পদার্থ বিজ্ঞানে।এই দুপুর বেলা এসে এই কথাগুরো মনে পড়লো কারণ ইদানীং অনেকের কাছে কিছু হতাশার কথা শুনি। একটা বড় হতাশাতে আক্রান্ত হোন উদ্যোক্তারা। সেটা তার বাণিজ্যিক উদ্যোগ হোক অথবা সামাজিক। এমনকী কেউ যদি শখেও একটা নতুন কিছু করতে চায় তাহলে তার বারোটা বাজানিয়া মন্তব্য করার এক লক্ষ লোক পাওয়া যায়।
পতাকা() যারা বানিয়েছে তাদের প্রতি আমার অভিনন্দন ও ভালবাসা। আমি নিশ্চিত জানি তাদের এই উদ্যোগ আমাদের ভাষা জটিলতায় পিছিয়ে পড় প্রোগ্রামারদের শুরু করতে দারুনভাবে সাহায্য করবে। এবং সবাই মিলে লাগলে নি:সন্দেহে আমরা এটিকে একটি বড় জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো।
আজকের স্ট্যাটাসটা পতাকা বিরোধীদের নিয়েই লিখবো ভাবছিলাম। চোখ পড়লো ওয়াই কম্বিনেটরের চেয়ারম্যান স্যাম অল্টম্যানের সর্বশেষ ব্লগ। ওয়াই সি ব্যাচের উদ্দেশ্যে গতকাল তিনি যে ই-মেইলটি লিখেছেন সেটার বিষয়বস্তু হলো নেগেটিভ প্রচারণা বা মন্তব্য। সংক্ষেপে তিনি চমৎকার করে লিখেছেন কেন নিন্দুকেরা পৃথিবীতে কিছু করতে পারেনি। যারা নিন্দুকের ভয়ে কাজ ছেড়ে দিয়েছে তারা কখনো তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি।
সেই সঙ্গে কতিনি কিছু উদাহরণ দিয়েছেন গুগল, ফেসবুক ইত্যাদি নিয়ে। দুটো জায়গা খুব চমৎকার যা আমাদের উদ্যোক্তাদের জন্য শিক্ষণীয় -Overnight success usually takes a decade of uphill work. (দশক ধরে নিরন্তর চেষ্টার পরই কেবল রাতারাতি সাফল্য পাওয়া যায়)। এটি উদ্যোক্তাদের মনে করিয়ে দেওয়া যে, সাফল্যের জন্য পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।
এক বন্ধুর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি একটি চমৎকার কথাও বলেছেন যা আমি মেনে চলি-A friend of mine likes to say “there are two kinds of people in the world–the people that build the future, and the people who write posts on the internet about why they’ll fail”. Keep trying to be in former category. (পৃথিবীতে দুই ধরণের মানুষ আছে। এক দল যারা ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করে। আর এক দল ইন্টারনেটে বসে বসে পোস্ট দেয় কেন প্রথমোক্ত দল ব্যর্থ হবে। )
যারা অনুমান করতে পেরেছেন তার নিশ্চয়ই বুঝেছেন তার পোস্টর শিরোনাম-
কাজে যারা তোমার কাজের পেছনে ব্যর্থতার রসদ খুঁজে বেড়ায়, তোমার কাজের স্বীকৃতি দিতে চায় না কিংবা অন্যদের কাছে তোমাকে ক্ষুদ্র করার চেষ্টা করে তাদের বরং তুমি ক্ষমা করে দাও এবং তাদের থেকে দূরে থাকো।
জয় বাংলা
One Reply to ““মন্তব্য পড়ো না”!!!”