মোমেন্ট অব লিফট-৩ : হোয়েন ইয়ু লিফট উইম্যান, ইয়ু লিফট হিউম্যানিটি

Spread the love

দ্যা মোমেন্ট অব লিফট-২: বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস

আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন টিভি বলতে বিটিভি। সেখানেই দেখা যেত নানা কিছু। একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ছিল ডালাস। মোটামুটি তেল মালিকদের কান্ডকারখানা। এটি বেশ জনপ্রিয় ছিল। মেলিন্দা গেটসের জন্ম ঐ শহরেই। মেলিন্দা বড় হয়েছেন টেক্সাসের ঐ ডালাস শহরে। তবে তেলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল না। ছিল রকেটের সঙ্গে!
হ্যা। মেলিন্দার বাবা এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। কাজ করেন এপোলো প্রজেক্টে। সেই এপলো প্রজেক্ট যার হাত ধরে ৫০ বছর আগে আমরা চান্দে গেছি।
তো, মেলিন্দারা চারা ভাই-বোন। ওদের মা হাউস ওয়াইফ। কিছুদিন পরপরই কোন না কোন রকেট আকাশে যেতো। তো, যেসব দিনে রকেট লঞ্চ সেসব দিনে মেলিন্দারা সপরিবারে চলে যেতো বাবার বন্ধুর বাসায়। তিনিও এপোলোর ইঞ্জিনিয়ার আর সেই বাসাতে বসে মেলিন্দা দেখতেন রকেট লঞ্চিং।

মেলিন্দা এখনো নিজের অস্থিত্বে এখনো সেই কাউন্টডাউন মনে করতে পারেন – Twenty seconds and counting. T minus fifteen seconds, guidance is internal, Twelve, Eleven, Ten, Nine, Ignition sequence start. Six, Five, Four, Three, Two, One, Zero. All engine running. Liftoff, we have a Liftoff.

এই মুহুর্তগুলো মেলিন্দাকে আপ্লুত করতো বিশেষ করে উড্ডয়নের মাহেন্দ্রক্ষণ, যখন ইঞ্জিন চালু হলো, মাটি কেপে উঠলো, আর রকেটও মাটি ছেঁড়ে উঠতে শুরু করলো।

মোমেন্ট অব লিফটের কথা মেলিন্দা পড়েছেন মার্ক নেপো’র একটা লেখাতে। শব্দগুচ্ছটি তাঁর পছন্দ হয়েছে।

মেলিন্দার মনে আছে, তার বাচ্চারা যখন ছোট ছিল তখন প্লেনে করে কোথাও যাওয়ার সময় এটি একটি খেলা ছিল তাদের। টেকঅফের জন্য প্লেন দৌড়াতে শুরু করলে মেলিন্দা বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে বলেন – হুইলস, হুইলস, হুইলস। আর প্লেন আকাশে উঠে গেলেই – উইংস! মেলিন্দার বাচ্চারা বড় হয়ে তার সঙ্গে এই খেলাতে যোগ দিতো।
কোন কোন সময় এমন হতো ওরা সবাই মিলে “হুইলস, হুইলস, হুইলস” বলতেই থাকতো। কারণ প্লেন সময় নিতো বরাবরের চেয়ে বেশি।

কেন কোন কোন বিষয়ে সময় বেশি লাগে। কেন কোন কোন বিষয় দ্রুতই হয়ে যায়? ২০ বছর ধরে, ফাউন্ডেশনের কাজে, স্বামী বিল গেটসের সঙ্গে বিশ্বময় ঘুরে বেড়ানোর সময় মেলিন্দার মনে হয়েছে কেন? কেন কেউ আগে? কেউ পরে?

কেমন করে মানুষকে, বিশেষ করে মেয়েদের এগিয়ে দেওয়া যায়? তাদের তুলে ধরা যায়। কারণ মেয়েদের তুলে ধরা মানেই মানবতাকে তুলে ধরা।

এবং কীভাবে আমরা এমন একটা উড্ডয়ন মূহুর্ত তৈরি করতে পারি যাতে সবাই মিলে মেয়েদের এগিয়ে দিতে এগিয়ে আসে। কখণো কখনো কিন্তু মেয়েদের এগিয়ে দেওয়ার জন্য কেবল দরকার তাদের বাঁধা না দেওয়া!

কেমনে কী?

 

Leave a Reply Cancel reply

Exit mobile version