কোডিং ও মডেলিং – দুজনে দু’জনার?
মডেলিং-এর সঙ্গে কম্পিউটার কোডি-এর কোন সম্পর্ক আছে?
থাতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। তবে, সব কিছু ছাপিয়ে সাম্প্রতিক কালগুলোতে আমেরিকান আর ব্রিটিশ মডেলদের কোডিং এর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে সেটি বলা যায়। এর মধ্যে সর্বশেষ সংযোজন আমেরিকার সুপার মডেল কার্লি ক্লস। কিশোরী ও তরুনীদের কোডিং-এ আগ্রহী করার জন্য কার্লি এবার বৃত্তির ব্যবস্থা করেছেন। ‘কোড উইথ কার্লি স্কলারশীপ” নামের বৃত্তি চালু করা হয়েছে আমেরিকার স্কুল ছাত্রীদের জন্য।
গার্ডিয়ান পত্রিকায় এ নিয়ে যে প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছে তাতে তিনি নিজের কোডিং অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন-
“গত বছর থেকে আমি কোডিং করতে শুরু করেছি এবং অনুভব করেছি কোডিং কতোটা ক্রিয়েটিভ। আমাদের আগামী দিনগুলিকে সাজিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বা কোড অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করবে। আমি মন করি কিশোরী ও তরুনীদের যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব কোডিং শেখা শুরু করা দরকার। কারণ আগামী দিনের পৃথিবী কেমন হবে সেখানে তার উচ্চকিত কন্ঠস্বরের দরকার রয়েছে”।
এর মাধ্যমে কার্লি ক্লস ‘ভিক্টোরিয়া’স সিক্রেট মডেল’ লিন্ডসে স্কটের দলভুক্ত হলেন। ২৯ বছর বয়সী স্কটের কম্পিউটার সায়েন্স এবং থিয়েটারে ডাবল ডিগ্রী আছে। তিনি এরই মধ্যে প্রোগ্রামিং-এর সঙ্গে মডেলিং সমন্বয় করেছেন। স্কট গুচ্চি, প্রাডা কিংবা লুইস ভুইটনের মতো প্রোডাক্টের মডেল!
বিবিসিকে দেওয়া এক ইন্টারভিউতে স্কট জানান তিনি দেখেছেন যখন কেও জানে যে তিনি কোডিং করতে পারেন তখন সবাই খুব অবাক হয়। তার ধারণা মানুষ মডেলিং আর কোডিং-কে এক করে ভাবতে পারে না। অথচ তিনি “মডেলিং-এর আগে থেকেই প্রোগ্রামিং করছেন”।স্কট ‘গার্লস হু কোড’ নামে কিশোরীদের কোডিং শেখানোর একটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে জড়িত। স্কট একজন আইওএস প্রোগ্রামার এবং এপল স্টোরে তার দুইটি এপও আছে।ব্রিটিশ মডেল লিলি কোল ( সামাজিক যোগাযোগে সাইট ইমপসিবল ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা) এবং আমেরিকান টিভি স্টার ও কমেডিয়ান মিন্ডি কলিংকেও ইদানীং টেক-সামিটগুলোতে নিয়মিত দেখা যায়।
কোডিং জগত এখনো পুরোপুরি পুরুষ নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু দেখা গেছে মেয়েদের কোডিং-এর মান ছেলেদের চেয়ে ভাল। সাধারণভাবে আমাদের দেশেও বলা হয় কোডিং বা টেকি কাজ মেয়েদর জন্য নয়। ‘ডিকোডেড’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ক্যাথরিন পার্সনের এ ব্যাপারে সোজা-সাপ্টা পর্যবেক্ষণ রয়েছে। তিনি দেখেছেন মেয়েরা নিজেরাই নিজেদের জন্য এক ধরণের দেয়াল তৈরি করে এ রকম কাজ থেকে নিজেকে সরিযে রাখে। ডিকোডেড-এর অভিজ্ঞতায় তিনি দেখেছেন একই ক্লঅসে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের বড় পার্থক্য হল আত্মবিশ্বাস, সামর্থ নয়!
বিশ্বের অনেক দেশে এখন মেয়েদের টেকনোলজিতে আনার জন্য নানান প্রচেষ্ঠা নেওয়া হচ্ছে। বিগত বছর সমূহে শিক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রে আমাদের দেশের মেয়েদেরও ঈর্ষনীয় উন্নতি হয়েছে। তারপরও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে জেন্ডার গ্যাপ প্রকট। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত এরকম একটি খাত। এই খাতে মেয়েদের নানান সুযোগ থাকলেও তথ্যের ঘাটতি, পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা না থাকা এবং কী করলে সে সুযোগ পাওয়া যাবে সেটি জানা না থাকায় আমাদের দেশে এখনো অনেক মেয়ে এই শিল্পে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার ব্যাপারে অনাগ্রহী। এমনকী অনেকে আইসিটি বা এ সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করলেও এটিকে পেশা হিসাবে নিতে চান না।
এই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে আমার একটা চেষ্টার নাম #মিসিংডটার।
আমাদের এই কার্যক্রমে যে কেও যোগ দিতে পারেন। বিশেষ করে, আপনি যদি একজন নারী প্রযুক্তিবিদ ও সফল হোন তাহরে আমরা আপনাকে আপনার এলামনাই প্রতিষ্ঠানে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার সুযোগ করে দিতে পারবো। আপনার আগ্রহের কথা girlsinict@bdosn.org এই মেইরে জানাতে পারেন।
যদি ভলান্টিয়ার হতে চান তাও বলতে পারেন।
আর যদি তুমি তোমার স্কুলে তোমার জানা কোন এলামনাই যিনি এখন একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে সফলভাবে কাজ করছেন নিতে চাও তাহলেও আমাদের জানাতে পারো।
আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্ঠা করবো।
The tech world is always been a boys club but that code about to be re-written.
And you can do it. Code it, Girl.
হ্যাপি কোডিং!