কামাল কাদিরের মুখোমুখি মুনির ও মুনির

Spread the love

স্বাধীনতা টাওয়ারের ১৩ তলায় বিকাশের প্রধান নির্বাহীর অফিস। আমাদের সাড়ে দশটার পরে পৌছানোর কথা। তবে ঢাকার জ্যামের কারণে আমরা পৌছালাম ১১টায়। আমরা মানে আমি আর ফারদীম মুনির। উদ্দেশ্য মুনির এন্ড মুনির শো’র নতুন বছরের প্রথম শো রেকর্ড করা।
এটি আমাদের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা। কারণ এর আগের ৭টা এপিসোডে আমরা আমাদের অতিথির সামনাসামনি হইনি। আমরা আমাদের বাসায়, অতিথি তাঁর বাসায় বা অফিসে। আমরা জুম ব্যবহার করে কথা বলেছি ও রেকর্ড করেছি। এবারও আমরা তাই চেয়েছিলাম। কিন্তু কামাল ভাই বললেন তিনি অফিসে সামনা সামনি কথা বলতেই পছন্দ করবেন।
অন্যান্য বারের মতো এখানে আমরা শুরুতেই শুরু করে দেইনি। আগে প্রায় ৩০ মিনিট আমরা আড্ডা দিয়েছি। নানান বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। এর মধ্যে কয়েকটা বিষয় আমাদের শো’তে আলাপ হয়নি। একটি হলো গ্রামীণ ফোনের প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল কাদিরের প্রসঙ্গ। গ্রামীণ ফোনের জন্মের সময় কামাল কাদির ঢাকায় এসেছিলেন, নিজের ছবির প্রদর্শণী করতে। সে সময় বাসাতে অনেক এক্সাইটিং আলাপ হয়েছে তাদের ভাইদের মধ্যে।
তারপর আমরা আলাপ করেছি বাংলাদেশে যে কোন মানুষের যে অনেক বন্ধু থাকে সেটা নিয়ে। তারা যে ভালবাসার পরাকাষ্ঠা দেখায় সেটি নিয়েও আলাপ করেছি। একটা মজার ব্যাপারও আলাপ হয়েছে, সেটা হলো মিডিয়াতে তিনি কেন কম উপস্থিত। এটার একটা প্রকাশ হলো রুবাই-এর প্রম প্রশ্নে। সচরাচর আমরা এই প্রশ্নটি করি না। কিন্তু কামাল কাদিরকে করতে হয়েছে।
যথারীতি উদ্যোক্তা বিষয়ক আলাপও হয়েছে। দেখলাম তাঁর সঙ্গে এই বিষয়ে আমার একটা মিল আছে।

এসব আলাপ-টালাপ করে রুবাই প্রথমে তার প্রশ্নগুলো সম্পর্কে বলে। তখন আবার একটা আলোচনা হয়েছে। তারপরই আসলে আমাদের মূল আলাপ শুরু হয়।

কামাল কাদিরের জন্ম যশোরে। ওনার বাবা আইনজীবী ছিলেন। ওনারা ১০ ভাই-বোন। কামাল সবার ছোট। ১৯৭১ সনের ৪ঠা মার্চ কামাল কাদিরের জন্ম। ১৬ মাস বয়সে বাবাকে হারান। পরিস্থিতি তাদের বাধ্য করে, আগেভাগেই ম্যাচিউরড হয়ে যেতে। ১৪ বছর পর্যন্ত পড়েছেন যশোরে। আন্ডারগ্র্যাড করেছেন আমেরিকায়, অবেরলিন কলেজে। এটি আসরে কোন সায়েন্স কলেজ নয়, লিবারের আর্টসের একেবারে সামনের কাতারের একটি কলেজ। বৃত্তি নিযে পড়তে যাওয়া।
সেখানে কামাল কাদিরের একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়্কারণ ক্লাসমেটদের অনেকেই সিনেটরের সন্তান!
আর্টস পড়তে গেছেন বলে মা একটু গাঁইগুই করেছেন। বলছেন – বাবা, চাকরি পাবি তো?

তো, ঐ জন্য তিনি অর্থনীতিও পড়লেন।
পাস করে কিছুদিন নিউইয়র্কে কাজ করলেন। ছবি আঁকলেন। ছবির প্রদর্শণী করলেন। টাকাও পেলেন।
কিন্তু টের পেলেন এই জীবন তার নয়।
তাহরে কোথায় তার গন্তব্য।
সেটিই খুঁজে ফেরেন কামাল কাদির। ট্রাভেল করেন প্রচুর।
বিকাশ তাঁর তৃতীয় স্টার্টআপ। প্রথমে একটি এনিমেশন কোম্পানি, তারপর সেলবাজার আর এখন বিকাশ।
ব্যর্থতা থেকেই শেখা।

বিশ্বাস করেন সব মানুষের অসম্ভব পটেনশিয়ালে। মনে করেন, যে কোন মানুষকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া যায যদি তার এনার্জিকে ঠিকমতো গাইড করা যায়।
আমাদের বলেছেন বিকাশের এক কর্মীর কথা যে কিনা ২০ মাইল সাতরাতে পারে!

থাক আর না বলি। বাকীটুকু ওয়েবসাইট থেকে শোনা যাবে। অথবা শোনা যাবে এই পর্বের ইউটিউব লিংক থেকেও

আলাপ শেষে কামাল কাদির আমাদের নিয়ে গেছেন বিকাশের মনিটিরিং সেলে, যেখানে সরাসরি ঢুকে পড়ার এক্তিয়ার তাঁর নিজেরও নেই।
সেখান থেকে টেকনোলজি ফ্লোরের সবার সঙ্গে কিছুক্ষণ আলাপচারিতা।
তারপর বাপ বেটার চলে আসা।

নতুন বছরে আমাদের শ্রোতাদের জন্য আমাদের ছোট্ট উপহার।

শুভ নববর্ষ।

 

 

Leave a Reply Cancel reply

Exit mobile version