উদ্যোক্তার যন্ত্রণা : মার্কেটিং
কারণ সেদিন তারা তাদের আশা-আকাঙ্খার কথা শুনতে চেয়েছে তাদের ভরসার জায়গা জাতির পিতার কাছ থেকে। এ কারণে তারা সেদিন হাজির হয়েছে দলে দলে, লাখে লাখে।
তাদেরকে কেমন করে ডাকা হয়েছে?
মুখে মুখে, ওয়ার্ড অব মাউথ। পত্রিকায় আর রেডিও টেলিভিশনে যদিও সেই দুইটির কভারেজ খুবই কম ছিল। তারমানে সবচেয়ে বেশি মানুষ জেনেছে অন্যের কাছ থেকে। যারা খবরটা অন্যদের জানিয়েছে তারা কিন্তু নিজের গরজেই সেটা করেছে।
৭ মার্চের ভাষন এবং সেদিনের ঘটনাপ্রবাহ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। রাজনীতিবিদ, ঐতিহাসিকদেরতো আছেই। আছে আমাদের তরুন উদ্যোক্তাদেরও।
উদ্যোক্তাদের একটা বড় যন্ত্রণার নাম হলো মার্কেটিং। নিজের পণ্য বা সেবার খবর কীভাবে কাঙ্খিত লোকদের কাছে পৌছানো হবে? কীভাবে “জানান দেওয়া” হবে? আর আমি জনালেই কী লোকে শুনবে?
বিজ্ঞাপন দাতারা বলবেন – আপনি নানান ফরমে বিজ্ঞাপন দিয়ে দেন, লোক না জেনে কই যাবে। যখনই এরকম বিজ্ঞাপনের কথা আসে তনই মনে হয় আরে বিজ্ঞাপনের টাকা কই?
আমাদের দেশের উদ্যোক্তাদের জন্য এটি আরো কঠিন। কারণ তারা কোনরকমে বেসিক পূজি পাট্ট যোগাড় করতে পারলেও বিজ্ঞাপন খাতে কোন টাকা যোগাড় করতে পারে না। ফলে, বিজ্ঞাপনও দিতে পারে না।
এখানেই মনে হয় আলাদিনের চেরাগ হাতে হাজির হয়েছে ফেসবুক। ২০০-৩০০ টাকায় ৫০ জনের কাছে বিজ্ঞাপন পৌছানো যাচ্ছে। আর নিজের তো স্প্যামিং-এর সুবিধা আছে? কিন্তু সব পন্য বা সেবা কী কেবল ফেসবুক করলে হবে। আর কী কোন বুদ্ধি আছে? কেমন করে একজন উদ্যোক্তা নিজের পন্য বা সেবার কথা পৌছে দেবে আরো বেশি মানুষের কাছে?
আমার সহজ উত্তর হলো – মানুষের মাধ্যমে। সকল কাস্টোমারকে নিজের এমবাসেডর বানায় ফেলতে হবে। সেটা কীভাবে সম্ভব?
মোটেই অসম্ভব নয়। ইনোসেন্টের শরবতের গল্পের মার্কেটিং চ্যাপ্টারটা আবার পড়া যেতে পারে। পড়া যেতে পারে টমসের মার্কেটিং-এর পলিসি। দুইটাতেই মানুষই আসল।
গ্রাহককে এম্বাসেডর বানাতে হলে সবচেয়ে সহজ বুদ্ধি হলো স্টোরি টেলিং। সেটি কেমন করে হতে পারে? ভাবা যায়।
অন্যদিকে এখন ট্রেডিশনাল আউটবাউন্ড মার্কেটিং দিন দিন বাজার হারাচ্ছে। ইন বাউন্ড মার্কেটিং-এর ব্যাপারটা অনেক বেশি মু্য হয়ে উঠছে আজকাল। ইনবাউন্ড মানে হল গ্রাহককে নিজের কাছে টেন আনা। এটার নানা রকম তরিকা আছে। এখন অবশ্য অনেকে দুইটা মিলিয়ে একটা হাইব্রিড করার পক্ষে।
তো, মার্কেটিং নিয়ে আমাদের উদ্যোক্তাদের সহায়তা করার জন্য আমাদের উদ্যোক্তা সহায়তা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। যারা আবেদন করেছিলেন তাদের মধ্য থেকে এখন বাছাই-এর কাজ চলছে। এই কার্যক্রম হবে দুইভাবে –
১. ওপেন ফর অল কর্মশালা – এটাতে সহায়তা কার্যক্রমের উদ্যোক্তারা ছাড়াও যে কেও অংশ নিতে পারবে।
২. ক্লোজডোর সহায়তা কার্যক্রম – এটা কেবল নি্র্বাচিতদের জন্য।
ওপেন ফর অল কর্মশালার প্রথমটি ১৪ বা ১৫ তারিখ মিলনায়তন প্রাপ্তি সাপেক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম কর্মশালাটি হবে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে। পরেরটি হবে কমটাকায় ট্রাডিশনাল মার্কেটিং নিয়ে।
আশা করা যায় দ্রুত ঘোষণা দেওয়া যাবে।
সবার জন্য শুভ কামনা।
2 Replies to “উদ্যোক্তার যন্ত্রণা : মার্কেটিং”