ইন্টারনেট জননীর “ছোট্ট” কথন
তবে, তার যাত্রাটা মোটেই সুখকর ছিল না। ২৩ বছর বয়সে দাদীমার কাছ থেকে ২০ হাজার ডলার নিয়ে একটা রিটেইল স্টোর চালু করেন লিন্ডা। ভার্টিগো নামের দোকানটিতে শেষ পাই-পয়সা গচ্চা দিয়ে লিন্ডা সরে আসেন মাত্র ৪ বছরের মধ্যে। এর পর ৪০ বছর বয়সে তার স্বামী ব্রুসের সঙ্গে মিলে শুরু করেন লিন্ডা ডট কম। তার কিছুদিন আগে লিন্ডার নিজেল লেখা গ্রাফিক ডিজাইনের বই প্রকাশিত হয়েছে। ব্রুসের মনে হল লিন্ডা শেখানের কাজটা ভাল করবেন। দুজনে মিলে এ সপ্তাহের জন্য একটা স্কুলের কম্পিউটার ল্যাব ভাড়া করলেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত লিন্ডা ডট কমে ৬,৩০০ অনলাইন ক্লাস হয়েছে আর সেখানে রয়েছে মাত্র দুই লক্ষ সাতষট্টি হাজার ভিডিও। (এর অনেক ভিডিও আমাদের উদ্দীপ্ত ভিডিও ডাউনলোডারদের হার্ড ডিস্কে রয়েছে)।
ফোর্বেস-এ লিন্ডার একটি সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছিল তখন তখন। সেখানকার নির্বাচিত কিছু অংশ আমার পাঠকদের জন্য।
প্রশ্ন – আপনার প্রথম ব্যবসা সম্পর্কে বলুন।
উত্তর – ১৯৭৮ সালে ২৩ বছর বয়সে একটা রিটেইল স্টোর চালু করি। ভার্টিগো নামের এই দোকানে ছিল নিউ ওয়েব আর পাঙ্ক কাপড়-চোপড়, এক্সেসরিজ, ম্যাগাজিন আর মিউজিক।
প্রশ্ন – প্রথম ব্যবসার টাকা কোথা থেকে পান?
উত্তর : দাদীমার কাছ থেকে ২০ হাজর ডলার ধার নিয়েছিলাম। চার বছরের মধ্যে সব খুইয়েছি।
প্রশ্ন – জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট কোন টা?
উত্তর – যখন আমরা আমাদের এডুকেশন কোম্পানির অনলাইন ভার্সন তৈরি করি।
প্রশ্ন – কখন বুঝতে পারলেন যে, একটা বড় কিছুর দিকে যাচ্ছেন?
উত্তর – যখন বেশির ভাগ ফোন বা ইমেইলের দাবী ছিল – আমরা কবে নতুন কিছু এড করবো। বিশেষ করে যে সব ক্ষেত্রে আমরা তখনো কিছু প্রকাশ করিনি।
প্রশ্ন – কোন একটা জিনিষ আপনার সবচেয়ে বড় দক্ষতা।
উত্তর – আমি খুবই দক্ষ একজন যোগাযোগকর্মী এবং আমি জানি কনটেক্স্টের গুরুত্ব।
প্রশ্ন – সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা?
উত্তর – দাদীমার টাকা হারানো এবং ২৭ বছর বয়সে দোকান বন্ধ করে দেওয়া।
প্রশ্ন – ব্যর্থতা কী সাফল্যের জন্য দরকার?
উত্তর – অবশ্যই। তোমাকে অবশ্যই ব্যর্থতা থেকে শিখতে হবে। না হলে তোমার নিয়তিই হবে হেরে যাওয়া।
প্রশ্ন – আপনার প্রেরণাদায়ী উক্তি কোনটি?
উত্তর – শিক্ষা একটি টার্নিশড ব্র্যান্ড কিন্তু শেখা সবসময় সুন্দর।
উত্তর –তিন শব্দে আপনার জীবনের মটো কী?
উত্তর – হ্রদয়ের ডাক শোনো
প্রশ্ন – কোন চরিত্র পছন্দ?
উত্তর -লিসা সিম্পসন
প্রশ্ন – বাস্তব জীবনের অনুপ্রেরণা কে?
উত্তর: গ্লোরিয়া স্টেইনেম
প্রশ্ন – কখন ঘুমাতে যান? ক’টার সময় উঠেন
উত্তর – রাত ১০-১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ি আর সকাল ৬-৭টার মধ্যে উঠি।
প্রশ্ন – প্রিয় পানীয়?
উওর – পানি।
প্রশ্ন – কীভাবে এত সক্রিয় থাকেন?
উত্তর – যোগ ব্যায়াম, সাইক্লিং, সাতার, হাটা।
প্রশ্ন – নিজের ২০ বছরের তুমিকে কী বলবেন?
উত্তর: কঠিন পরিশ্রম ও কস্টের ভেতর দিয়ে তোমাকে যেতে হবে কিন্ত তোমাকে শক্তিশালী ও জ্ঞানী বানানোর জন্য তার কোন বিকল্প নেই।
শিক্ষা সম্পর্কে তার চিন্তা এবং অন্যান্য বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে