কুলিয়ার চরে বিশ্বের বৃহত্তম বিজ্ঞান ও আইসিটি ব্যবহারিক ক্লাশের প্রচেষ্টা!!!
গত বছরের ১২ আগস্ট এই রেকর্ডটি সেট করেছে ওরা। ২৯০০ শিক্ষার্থী সেখানে একটি এক্সপেরিমেন্ট করেছে। ওরা সবাই ৫ম থেকে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী, এসেছিল বিভিন্ন স্কুল থেকে। সর্বমোট দুই হাজার ৮৯৫জন। পরীক্ষাটি পরিচালনা করেন শিক্ষক এন ব্র্যান্ট। তিনি পেপারক্লিপের সাহায্য শিক্ষার্থীদের সামনে চৌম্বক ক্ষেত্র কেমন করে কাজ করে তা তুলে ধরেন। এর আগের রেকর্ডটি করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে দুই হাজার ১০২ জন শিক্ষার্থী।
সে সময়ে প্রকাশিত একটি সংবাদে কুইন্সল্যান্ডের প্রধান বিজ্ঞানী জিওফ গার্নেট শিক্ষার্থীদের উত্তেজনা এবং আগ্রহ দেখে খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। তিনি বলেন ৩০ জনের একটা ক্লাশ সামলানোই কঠিন, সেখানে ৩ হাজার তো অবিশ্বাস্য।ভিডিওটা দেখা যায়।
তবে, যেহেতু সবাই জানতো যে তারা একটি বিশ্বরেকর্ডের প্রচেষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত সে জন্য তারা সবাই আগ্রহচিত্তেই এই ক্লাশে অংশ নিয়েছে। কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই পরীক্ষণটি শেষ হয়েছে।
তিন হাজার ২০০ শিক্ষার্থী প্রতিগ্রুপে ২ জন করে মোট ১৬০০ গ্রুপে এক্সপেরিমেন্টটা করবে। ৮০০ টুল-বেঞ্চ থাকবে সেখানে। প্রতিটিতে ৪ জন করে বসবে। শামিয়ানা টাঙ্গিয়ে ২৪৬ ফুট বাই ১৭২ ফুট প্যান্ডেলের চার পাশে সাদা কাপড় দিয়ে ঘিরে ১০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ক্লাস রুম তৈরী করা হবে। ২০টির বেশি এলইডি টিভিও থাকবে যাতে শিক্ষার্থীরা ইনস্ট্রাকশনগুলো দেখতে পায়।
জাফর ইকবাল স্যার তড়িৎ-চৌম্বকত্ব নিয়ে প্রথমে শিক্ষার্থীদের জানাবেন। তারপর শিক্ষার্থীরা ব্যাটারি দিয়ে একটি তড়িৎ চুম্বক বানাবে। সেটি দিয়ে কয়েকটি বস্তুকে চৌম্বকত্বের ভিত্তিতে গ্রুপে ভাগ করবে। সবশেষে তারা তাদের চৌম্বক দিয়ে একটা কম্পাস বানাবে। আর এর আইসিটি অংশের জন্য তারা সবাই ভাববে তারা নিজেরা একটি বড় ল্যানের অংশ যা কিনা সুইচের মাধ্যমে সংযুক্ত। ই-মেইল যেভাবে চালাচালি হয় সেভাবে তারা তাদের পরীক্ষার ফলাফল স্যারের কাছে পাঠিয়ে দেবেন।
গিনেস বকু অব রেকর্ডসের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে। তো, এই হচ্ছে পরিকল্পনা।
ইনশাআল্লাহ, সকালে আমরাও হাজির হবো বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির পক্ষ থেকে। সঙ্গে নিয়ে যাবো বিজ্ঞানচিন্তা।
আমরা পারবো।
জয় বাংলা।