দেয়ার ইজ অনলি ওয়ান কনস্ট্যান্ট
এটা নির্ভর করে ঐ খাতে আমরা কী করতে চাই। যেমন ধরা যাক কম্পিউটারের কথা। ২০ বছর আগে আমাদের লক্ষ্য ছিল কম টাকাতে ছেলে-মেয়েদের কাছে দ্রুত এই গণণা যন্ত্রটি পৌছে দেওয়া। আবার স্মার্টফোনের বেলায়ও আমাদের লক্ষ্য একই। কাজে এখাতের একটা দাবী ছিল বিদেশ থেকে যেন কমদামে এরগুলো আনা যায়। আর সেটা করার একমাত্র উপায় ছিল শুল্ক কমিয়ে দেওয়া।
আজ যে, সারাদেশে এসব যন্ত্র পৌছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে সেটার একটা বড় কারণ ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের একটি বিশাল উদ্যোগ। এটি ছিল কম্পিউটারের ওপর সকল শুল্ক ও কর প্রত্যাহার করা। তাতে, রাতারাতি কম্পিউটারের দাম কমে যায়।
তো, সেটি দুই দশক আগের কথা।
২০০৯ সাল থেকে আমি হিসাব করতে শুরু করি বছরে বাংলাদেমে কতো কম্পিউটার, ল্যাপটপ ঢুকছে। তখনও সংখ্যাটা বড় কিছু ছিল না। কিন্তু আস্তে আস্তে এই বাজারটা বড় হয়েছে এবং হতে হতে এখন সেটা বছরে মাত্র ৯ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
তারমানে আমাদের স্থানীয় বাজার চাইলেই এখন এগুলো বানানোর ইন্ডাস্ট্রিকে সাপোর্ট করতে পারে। যারা দোয়েল ল্যাপটপ এসেম্বলি করার কথা ভেবেছেন তারাও হয়তো একথাই ভেবেছিলেন।
এখন আমরা একটা মধুর সমস্যাতে পড়েছি।
সমস্যাটা হলো এদেশে আপনি কম্পিঋটার বা ফোন যদি ফিনিশড করে নিয়ে আসেন তাহলে সেটার ওপর ট্যাক্স-শুল্ক এসব কম। তাই হওয়ার কথা কারণ সেটাই তো আমরা চেয়েছি।
কিন্তু এখন তো আমাদের নিজেদের জন্য হলেও এগুলো বানানো দরকার।
তাহলে তো এগুলোর কাঁচামালের ওপর আমাদের শুল্ক-কর এসব কমাতে হবে। সেটা না হলে কী বাংলাদেশে হার্ডওয়্যারের ইন্ডাস্ট্রি হবে?
হবে না।
প্রশ্ন হচ্ছে, এই কাজটা কি কঠিন।
উত্তর হচ্ছে না। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলার জন্য লড়াই সংগ্রাম করে তারা যদি নিজেদের কাজটা ঠিকমতো করতো কিংবা যারা বছরের পর বছর ধরে কোন এসোসিয়েশনের পদ ধরে রাখে তারা যদি এসব নিয়ে কথা বলতো তাহলে হয়তো কাজটা অনেক আগে হয়ে যেত।
যেহেতু ওনারা সেটি করছেন না তাই অভাজনদের কাছেই আমাদের যেতে হবে তারা যে চিক্কুর পারেন।
ডিজিটাল অর্থনীতিতে ধ্রুবক মাত্র একটি – পরিবর্তন। সেটা ভুলে গেলেই এই সমস্যা। এটা মনে করাই দিতে হবে।
দেখা যাক কপালে কী আছে।