ফেসবুকের প্রোগ্রামাররা সারাদিন কী করে?

Spread the love

ফেসবুকের নাকি আজ জন্মদিন। এজন্য তারা এটিকে বন্ধু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। সবার জন্য একটা ভিডিও বানিয়ে দিচ্ছে।

তো ফেসবুক নিয়ে সবার মনে নানান ধরণের প্রশ্ন আছে। বিডিওএসএন থেকে আমরা বছরটিকে প্রোগ্রামিং বছর ঘোষণা করার কথা ভাবছি তো তাই আমি খালি প্রোগ্রামিং-এর ব্যাপারটা খুঁজি।

ফেসবুকের প্রোগ্রামারদের আবার বিশেষ গুন সম্পন্ন মনে হয়। কারণ তারা এমন জিনিষ বানিয়েছে যা কী না প্রায় সবাইকে নাস্তানাবুদ করে ফেলছে। আরব বসন্ত বা গণ জাগরণ দুইটাতেই নাকি ফেসবুকের হাত আছে! এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিলের বই নিয়েও লিখেছি
ফেসবুক নিয়ে আমি দুইটা পর্ব লিখেছি । ইচ্ছে ছিল আট পর্বে এটা শেষ করবো। তা সেটা আর হচ্ছে না।

কদিন ধরে ভাবছিলাম আচ্ছা ফেসবুকে প্রোগ্রামাররা সারাদিন কী করে?
তো ঘাটাঘাটি করে পেলাম পেডরাম কেয়ানির জবাব। কেয়ানির কোডিং লাইভ শুরু হয়েছিল সানে। তারপর গুগল, ফেসবুক হয়ে এখন উবারে। তার ভাষ্যে-

ফেসবুকে প্রোগ্রামাররা প্রোগ্রাম করে, প্রোগ্রামিং নিয়ে পরস্পরকে ই-মেইল করে, এর পরে কী প্রোগ্রামা করতে হবে সেটা বের করার জন্য জমায়েত হয়, কফি খায় যাতে বেশি সময় ধরে প্রোগ্রামিং করতে পারে, প্রচুর পানি পান করে যেন জলীয় প্রোগ্রাম করতে পারে, চান্স পেলে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে প্রোগ্রামিং-এর স্বপ্ন দেখে এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে বাথরুম ব্রেক নেয় কফি আর পানি খাওয়ার কারণে!

এটা পড়ে আমি মোটেই অবাক হয়নি। কারন কয়েকবছর আগে আমাকে বাংলাদেশের একটি বড় সফটওয়্যার কোম্পানির সিইও এমন একটা নজির দেখান। একজনকে ডাক দিলেন।

তুমি কী করো?

-কোডিং করি স্যার।

আর কী?

-কোডিং স্যার।

-ও, আচ্ছা। বাসায় কী করো?

-কোডিং করি স্যার।

আমি তো টের পেলাম। বললাম- না মানে তুমি কি বই টই পড়ো না।


একগাল হাসি।

জী স্যার। পড়ি তো। কোডিং-এর বই পড়ি।

 

হ্যাপি বার্থডে ফেসবুক।
হ্যাপি  কোডিং।

 

 

Leave a Reply Cancel reply

Exit mobile version