রেডি সেডি গো!!!
টিওবের হিসাবে গো সবচেয়ে বেশি ওপরে উঠে এসেছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে গো এর অবস্থান ছিল ৫৪তম। আর এ জানুয়ারিতে সেটি ৪০ ধাপ এগিয়ে ১৩তম স্থানে উঠে এসেছে। এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে ২.১৬ শতাংশ। এর পরের দুইটি হলো গুগলের ডার্ট এবং পার্ল। যাদের বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ০.৯৫ ও ০.৯১ শতাংশ।
গো সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম আবু আশরাফ মাসনুনের কাছে। ওর কাছ থেকে জানা গেল -“গুগলের গো বা গোল্যাং একটা ওপেন সোর্স প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেটার সূচনা হয়েছিলো ২০০৭ সালে, একটা এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে । গো এর মূল ডেভেলপারদের মধ্যে আছেন রব পাইক এবং কেন থম্পসন যারা প্রোগ্রামিং এর জগতে তাদের নানা কাজের মাধ্যমে বহুল পরিচিত । সিম্পল সিনট্যাক্স, সমৃদ্ধ স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরী এবং খুব সহজেই কনকারেন্ট কিংবা প্যারালাল প্রোগ্রামিং এর সুযোগ থাকায় গো ল্যাঙ্গুয়েজটি খুব অল্প সময়ে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে – বিশেষ করে হাইলি স্কেলেবল, ফল্ট টলারেন্ট ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেম ডেভলেপ করার জন্য অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান নির্দ্বিধায় গো বেছে নিচ্ছে ”
টিওবেও বলছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেটিং-এও গো’র ব্যবহার বাড়ছে। গো’র সাফল্যরে বড় কারণ শেখার সহজতা। এছাড়া এর এপ্রোচটাকে প্রায়োগিক বলা যায়। এখানে কিছু তত্ত্বীয় কচকচানি যেমন ভার্চুয়াল ইনহেরিটেন্স নাই। তার চেয়ে বরং এটি অনেকটা হাতে-কলমের অভিজ্ঞতা।
তবে, তালিকার প্রথম ৫টি ভাষা নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। বরাবরের মতো জাভা এগিয়ে। এরপর সি, সিপ্লাসপ্লাস, সিশার্প ও পাইথন। তবে, সি ও জাভা উভয়েরই জনপ্রিয়তা ভালই কমেছে। মাইক্রোসফটের ভিজ্যুয়াল বেসিক ডট নেট ৬ষ্ট স্থানেউঠে এসেছে।
কারো কারো ধারণা ২০১৭ সালে এই তালিকায় ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে। এপলের সুইফট আর জুলিয়া এবং মাইক্রোসফটের টাইপস্ক্রিপ্ট মোটামুটি ব্যপক হাওকাও করতে পারে।