মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে
২২ মিনিট মানে ৩০ মিনিটের স্লট। তার মানে আরও ৮ মিনিট বিজ্ঞাপনের।
হরে দরে ঘন্টায় ১৫-১৬ মিনিট চলে যাচ্ছে বিজ্ঞাপনে! এগুলোর বেশিরভাগ ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী। তারমানে কী দাড়ালো? যদি কেউ ৫ ঘন্টা টিভি দেখে তাহলে তার চোখ কতগুলো বিজ্ঞাপন দেখছে?
প্রথম আলোর এক কপির উৎপাদন খরচ ২০ টাকা। বিক্রি করে পাওয়া যায় ৬টাকা। তাও পাওয়া যায় না সময় মতো।
কাজে, বিজ্ঞাপনই ভরসা। এখন ইউটিউব আর ফেসবুক। সেখানেও পরতে পরতে বিজ্ঞাপন।
আপনি হয়তো বিরক্ত? রাগও করেন মাঝে মধ্যে।
কিন্তু ঐ মার্কেটারের কথা ভাবুন। যার কাজ ঐ প্রোডাক্টগুলোর মার্কেটিং।
এত্তো এত্তো বিজ্ঞাপন, মার্কেটিং-এর ভিড়ে নিজেরটাকে কেমন করে সে টপ অব মাইন্ড বা ওয়ার্ড অব মাউথ বানাবে?
বেচারা থাকে দু:খে।
অন্যদিকে সে সব উদ্যোক্তার কথাও ভাবুন। যারা কিনা মার্কেটিং-এর জন্য বড় অঙ্কের টাকা খরচ করতে পারে না। তাদের কী হবে?
এসব নিয়ে ভাবনা-ভাবনি কম হচ্ছে না। ১০ বছর আগে থেকে গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং একটা বিষয় হয়ে গেছে। যদিও এ দেশে পড়ানো হয় না। রাগ করে আমি নিজেই একটা কমাপাইলেশন করেছি, যদিও আমি নিজে মার্কেটিং-এর ছাত্র নই, ছিলামও না কোন কালে।
এর মধ্যে আমার ইনবক্স আর দেখা হলে বক্তব্য- খালি আইটির লোকেদের জন্য মার্কেটিং টিপস দিলে হবে? আমরা যাদের আইটি প্রোডাক্ট নেই, আইটির ব্যবহারও কম তারা কী করবো?
আমি কি আর মার্কেটিং-এর লোক। তারপরও অনুরোধের ঢেকি গিলে ইমোশনাল মার্কেটিং নিয়ে পড়তে শুরু করি এবং আমার যা পড়া হচ্ছে সেগুলো শেয়ার করতে শুরু করেছি আমার ব্লগে। এখন পর্যন্ত কয়েক কিস্তি প্রকাশ করেছি এবং কয়েক কিস্তি খসড়া অবস্থায় আছে। প্রকাশিত যে কোন একটা থেকে বাকীগুলোতে যাওয়া যায়।
আমার প্রকাশক বলছে সেগুলো কম্পাইল করে এবং যা যা খসড়া আমার কাছে আছে সেগুলোকে ফাইনাল করে ফেলে একটা বই আবার করে ফেলতে। আমি অবশ্য এখনো সন্দেহে আছি। কারণ এমন একটা বই না হলেও ২০০ পৃষ্ঠা হওয়া উচিত। কিন্তু আমি লিখলে বড়জোর ৮০-৯০ পৃষ্ঠা লিখবো কারণ আমি চাইবো আমার পাঠক বই পড়েই যেন সব বুঝে না ফেলে। সে যেন আরও খোঁজাখুজি করে, ইন্টারেনেটে ঘাটাঘাটি করে, কয়েকটা মার্কেটিং ব্লগ সাবস্ক্রাইব করে এবং নিজের উৎসাহটাকে একটা জায়গায় নিতে পারে।
এ জন্য আমি নিজে নিশ্চিত ছিলাম না বই করাটা ঠিক হবে কিনা। মার্কেটিং-এর কোর লোকদের না মাইর খেতে হয়।
তারপরও নিয়েলসনের একটা রিপোর্ট পড়ার পর মনে হচ্ছে আমার খেরোখাতাটাই পাবলিশ করে দেওয়ায ায়। তাহল েহয়তো আমাদের উদ্যোক্তারা নিজেদের মার্কেটিং-কে পরের ধাপে নিয়ে যেতে কিছু প্রণোদনা পেলেও পেতে পারে।
রিপোর্টে বলছে ইমোশনকে ঠিকঠাকমতো ব্যবহার করা গেলে ২৩% সেলস বাড়ে!!!
আমি নিজে ডেটা ড্রিভেন লোক। আন্দাজের কাজে বিশ্বাস কম। তাই এই পরিসংখ্যান দেখে অনুপ্রাণিত।
যারা ইমোশনাল মার্কেটিংটা ধরতে পারবে তারা গ্রোথ হ্যাকিং-এর সঙ্গে ইমোশনকে ব্লেন্ড করে অন্য জায়গায় চলে যেতে পারবে বলেই আমার বিশ্বাস।
এ নিয়ে আমার ইমোশনাল মার্কেটিং এক্সপ্লোরেশন চলুক। কী বলেন?
মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে
-শঙ্খ ঘোষ
একলা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি
তোমার জন্য গলির কোণে
ভাবি আমার মুখ দেখাব
মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে।
একটা দুটো সহজ কথা
বলব ভাবি চোখের আড়ে
জৌলুশে তা ঝলসে ওঠে
বিজ্ঞাপনে, রংবাহারে।
কে কাকে ঠিক কেমন দেখে
বুঝতে পারা শক্ত খুবই
হা রে আমার বাড়িয়ে বলা
হা রে আমার জন্মভূমি!
বিকিয়ে গেছে চোখের চাওয়া
তোমার সঙ্গে ওতপ্রোত
নিওন আলোয় পণ্য হলো
যা-কিছু আজ ব্যক্তিগত।
মুখের কথা একলা হয়ে
রইল পড়ে গলির কোণে
ক্লান্ত আমার মুখোশ শুধু
ঝুলতে থাকে বিজ্ঞাপনে।
2 Replies to “মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে”
Leave a Reply Cancel reply
You must be logged in to post a comment.
Dear Sir,
This is Krishibid Md.Abbas Ali. I have gone though your Shorbote Bajimat and Growth hacker marketing. I have got somany good points. Thanks a lot for your contemporary book.
I want to write Agri.inputs related book. Could you please give me some tips.
Kind regards
Krishibid Md.Abbas Ali
Director-Marketing & Sales, Managing Partner
Xplore Business Limited
House:5/8,Block-B
Lalmatia, Mohammadpur
Dhaka-1207.
Cell: +8801713041395
Email:abbas.ali@xplorebusiness.com
Personal: amioabbas@hotmail.com
http://www.xplorebusiness.com