ওঁরা চাকরি খোঁজে না-২

Spread the love
নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম

আজকের ডেইলি স্টারে ছাপা হয়েছে নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তাঁর পুত্রের ইন্টারভিউ। নোমান গ্রুপ সম্পর্কে আমরা তেমন কিছু জানি না। ২৮টি প্রতিষ্ঠানে ওখানে মাত্র ৬০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন এই ব্যবসায়ী। ১৯৬৮ সালে চাকরির পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে কাপড় কিনে তা ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে বিক্রি করতেন। শুরুর সময় তাঁর কোন মূলধনও ছিল না। আর এখন বছরে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের এক্সপোর্ট করে তার প্রতিষ্ঠানগুলো।ওয়ালমার্ট, টার্গেট, কে-মার্টের মত প্রতিষ্ঠানহল তাঁর ক্রেতা। ২০১৩ সালে পেয়েছেন এইচএসবিসি এওয়ার্ড।

নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম দু:খ করে বলেছেন গার্মেন্টস সেক্টরে ম্যানেজমেন্ট লেভেলে দক্ষ লোক নেই আমাদের দেশে। ফলে, তাঁর প্রতিষ্ঠানগুলো চালায় ভারতীয়, শ্রীলংকান, পাকিস্তানী ও ফিলিপিনোরা। তিনি আশা করেন সরকার এই খাতে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেবে। ক’দিন আগেই এ নিয়ে একটা প্যাচাল পেরেছিলাম। বলেছিলাম বিদেশীরা প্রতি বছর ৩০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। কেও দেখি নজর দিচ্ছে না।

রাঙ্গামাটিতে শো-রুমে ক্রেতাকে জামদানী দেখাচ্ছেন সীমা হালদার

অন্যদিকে আজকে প্রথম আলোর চাকরিবাকরি পাতায় ছাপা হয়েছে সীমা হালদারের গল্প। সীমা কৃষিবিদ কিন্তু ব্যবসা করছেন জামদানির এবং ট্যুরিজমে এবং সেটা রাঙ্গামাটিতে। ফেসবুকে  শুরু করেন আর এখন বনরূপায় একটি শো-রুমও নিয়েছেন।
আমাদের বর্সীয়ান উদ্যোক্তারা যেমন চেষ্টা করছেন তেমনি এগিয়ে আসছেন সীমার মত নতুনেরাও। স্বামীর ল্যাপটপ আর ৫০ হাজার টাকা ধার করে ফেসবুকে একটা পেজ খুলে শুরু করেছিলেন সীমা। ২০১১ সালে অনলাইনে দুইটি জামা কেনার পর তার এই ভাবনার উদয়। পত্রিকাকে বলেছেন, ফেসবুকের চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব গ্রুপ তাঁকে ব্যবসা শুরু করতে সাহায্য করেছে।

 

 

 

নোমান গ্রুপের নতুন ৫টি ফ্যাক্টরি চালু হবে সহসা এবং তাতে প্রায় ৩০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান হবে বলে চেয়ারম্যান আশা করছেন। আর সীমার মত আত্মপ্রত্যয়ীরা নিজেদের যেমন এগিয়ে নিচ্ছেন সঙ্গে নিচ্ছেন অন্যদেরও।

উদ্যমী উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন।
সবার জীবন পাই-এর মত সুন্দর হোক।

Leave a Reply Cancel reply

Exit mobile version