ডেলিভারি হ্যাপিনেজ- ৮: শেখার আছে অনেক কিছু
কাজে আমি ভাবলাম আমিও সেখানে কিছু বিক্রি করার চেষ্টা করি। অবসর সময়ে আমি কিছু ম্যাজিকের বই পড়েছি। সেখান থেকে ভাবলাম আমি ম্যাজিকের ট্রিক বিক্রি করতে পারি। যেমন মুদ্রা ভ্যানিশ করে দেওয়া। আমি যাদেরকে এই যাদু দেখেয়েছি তারা সবাই এটি দেখে অবাক হয়েছে এবং পরে আমার কাছে জানতে চেয়েছে কীভাবে করলাম!
কয়েন, কাপ ও রাবার ছাড়া এই কাজের জন্য দরকার লেটেক স্কোয়ার যা দাঁতের ডাক্তারদের কাছে ডেন্টাল ডাম নামে পরিচিত।
কিছু রিসার্চ করে আমি দেখলাম বেশি করে কিনলে ২০ সেন্টের মধ্যে এক খন্ড কেনা যাবে। বয়ে’জ লাইফে একটা ক্লাসিফায়েড বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ হবে ৮০০ ডলার। কাজে আমি যদি আমার ম্যাজিক ট্রিকের প্রতিটার জন্য ১০ ডলার নেই তাহলে ৮০টা হলেই আমার ব্রেক-ইভেন হয়ে যাবে। তাছাড়া এটি বোতামের চেয়ে কুল। বোতামে আমি মাসে ২০০টা অর্ডার পেতাম। এখানেও যদি তাই পাই তাহরে আমার লাভ হবে মাত্র এক হাজার ১৬০ ডলার। আর ৩০০ হলে?
২১৪০!!!
যদি ৮০০ ডলার বিজ্ঞাপনে খরচ করাটা আমার দুই সপ্তাহের মজুরী তারপরও আমি এটাকে বিনিয়োগ হিসাবে নিলাম। টাকা পাঠাোনর কয়েক মাস পর আমার বিজ্ঞাপন ছাপা হল। এবং কী আশ্চর্য পরের সপ্তাহেই আমি প্রথম অর্ডারটা পেলাম।
এর পর থেকে আমি অধীর আগ্রহে অর্ডারের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম।
…
…
…
কিন্তু ঐদিন আর আসলো না! মাত্র একটি অর্ডারই আমি পেয়েছি।
বোতামের অভিজ্ঞতা থেকে আমি নিজেকে এই লাইনের একজন পণ্ডিত ভেবেছি। কিং অব মেইল অর্ডার বিজনেজ। কিন্তু এই চপেটাঘাত আমার জন্য মনে হয় দরকার ছিল।
ক’দিন আগে আমি গ্রীক হাবরিস পড়েছি। এর মানে হল আত্মগরিমার পরাকাষ্ঠা।
এবং আমি বুঝলাম আসলে একটা কাজে ঝাপিয়ে পড়ার আগে এর অন্ধিসন্ধি ভালমতো বুঝতে হয়। আর কোন ফার্মকে হারিয়ে দেওয়াটা মোটেই সহজ নয়।
৮০০ ডলার আসলে ২৪টি কেঁচো খামারের সমতুল্য।
2 Replies to “ডেলিভারি হ্যাপিনেজ- ৮: শেখার আছে অনেক কিছু”