কম্পিউটার বিজ্ঞান শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৬
২০১৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে দেখলাম ছোটদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-এ উৎসাহ দিতে।
ভাবলাম এমনিতেই আমেরিকার প্রেসিডেন্টরা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-উদ্ভাবনকে বেশি গুরুত্ব দেন। অবাক হয়ে দেখলাম বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসে সিএসফরঅল নামে একটা আলাদা অফিসই খুলে ফেললেন। সে অফিস আবার যে সব ছেলে মেয়ে দেশে-বিদেশে প্রোগ্রামিং-এ ভাল করে তাদের দাওয়াতও দিতে শুরু করলো। আর এবছর বারাক ওবামা ক’দিন আগে প্রেসিডেন্ট ফ্রিডম পদক দিলেন। ১২ জনের মধ্যে ৪ জন আইটির। আর এর মধ্যে রয়েছেন গ্রেস হপার ও মার্গারিটা হ্যামিল্টন। প্রেস হপারকে অনেকেই জানেন। সে তুলনায় চাঁদে মানুষ যাবার কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলোর পেছনের নেতা হ্যামিল্টনকে চেনে একটু কম মানুষ। তো এ হলো আমেরিকার ব্যাপার।
সারা বিশ্বে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-কে জনপ্রিয় করার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের কী অন্য কোন উপায় আছে? নাই মনে হয়। ২০১১ সাল থেকে হাই স্কুলে আইসিটিকে একটি বাধ্যতামূলক বিষয় হিসাবে চালু করা হয়েছে। উদ্দেশ্য ছোটবেলা থেকে আইসিটির ব্যাপারগুলোতে হাতে খড়ি যেন হয়। সঙ্গে আছে আরও আয়োজনও। যেমন জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। সেই সঙ্গে ২০১৩-২০১৪ সাল থেকে আমরা পালন করছি কম্পিউটার বিজ্ঞান শিক্ষা সপ্তাহ।
https://www.youtube.com/watch?v=krYXHtrzXLU
কম্পিউটার বিজ্ঞান শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ জুড়ে পালিত হয়। আমাদের দেশে এই সময়টা থাকে পরীক্ষা। কাজে আমরা সপ্তাহ পালন করি মাস-দেড়মাস ধরে। এবারও তাই করবো।
https://www.youtube.com/watch?v=BmObrZvsUzY
এবারের আয়োজনে থাকছে-
* সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ার অব কোড আয়োজন
* দুইটি অনলাইন প্রোগ্রামিং কনটেস্ট
– মেয়েদের জন্য এডা লাভলেস প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (৯ ডিসেম্বর ২০১৬)
– সবার জন্য প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (১২ ডিসেম্বর)
* বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোগ্রামিং আড্ডা ও খুদেদের জন্য প্রোগ্রামিং কর্মশালা
* প্রোগ্রামিং ক্যাম্প, স্পেশাল ওয়েব ট্রেনিং
* নাসা এপ সংক্রান্ত একটি প্রস্তুতি কর্মশালা
* আর্টিফিশিয়েল ইনটেলিজেন্স ও বিগডেটা নিয়ে লম্বা কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ
* সিইং ইজ বিলিভিং – আইটিতে ক্যারিয়ার করতে আগ্রহীদের জন্য আইটি অফিস ভিজিটের ব্যবস্থা
আমি প্রোগ্রামিং শিখতে এজন্য বলি না যে সবাই প্রোগ্রামার হবে। বরং প্রোগ্রামিং শিখলে বেশ কিছু প্রায়োগিক স্কিলে দক্ষতা অর্জন করা যায়। সেজন্য বিশ্বব্যাপী প্রোগ্রামিং-্কে জনপ্রিয় করার চেষ্টা হচ্ছে। বিল গটেস থেকে হালের মার্ক – সবারই তাই অভিন্ন কথা।
https://www.youtube.com/watch?v=wldli30PT1E
তো, এই দেশে কোন একাডেমিক কাজ করা খুবই কঠিন। কোন স্পন্সর পাওয়া যায় না। গাটের টাকা খরচ করতে হয়। কারো কাছে প্রপোজাল পাঠালে সেটি বিদ্যুৎগতিতে নাকচ করে দেয়। তাতে কী। আমরা আমাদের মতো করে করতে থাকি। হাল ছাড়ার দরকার কী?
এবারের আয়োজনের ফেসবুক ইভেন্ট
কাজে “আমাদের কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়ে” আমরা শুরু করে দিলাম।
বাকী আল্লাহ ভরসা।