শিশু কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেস ২০১৪

Spread the love
কংগ্রেসের বিজয়ীরা

বিজ্ঞান কংগ্রেসের ধারণা কিন্তু নতুন নয়, এমনকী আমাদের দেশেও। এর মানে হল বিজ্ঞানীদের এক জায়গায় জড়ো হওয়া, নিজেদের কাজের অভিজ্ঞতা বিনিময় করা, আগামীদিনের জন্য কিছু রসদ জোড়াড় করে আবার বের হয়ে পড়া কাজের ক্ষেত্রে। শিশু কিশোরদের জন্য বিজ্ঞান কংগ্রেসও অবিকল তাই। কেবল এখানকার অংশগ্রহণকারীরা শিশু, মানে যাদের বয়স ১৮ বছরের কম।

বিশ্বের প্রায় সবদেশে বিজ্ঞান কংগ্রেস একটি নিয়মিত ঘটনা। আর ভারতের মত কিছু দেশে শিশুদের কংগ্রেসও। আমাদের দেশে যুক্তির চেয়ে ভক্তির জোর বেশি। অপবিজ্ঞানের প্রতাপও কম নয়। আর বিজ্ঞানকে ম্যাজিক বানানোরও একটা চেষ্টা থাকে। কিন্তু বিজ্ঞানের গভীরে ঢোকার ইচ্ছা থাকে কম। প্রতিদিনই এদেশের মিডিয়াতে “বিজ্ঞানে অতি আশ্চর্য” উদ্ভাবনের খবর প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকে পারপেচুয়াল মোশন মেশিন। কী এক অজ্ঞাত কারণে সেটি প্রচার পায়।

তাই মনে হয় এদেশে বিজ্ঞানের অনুষ্ঠানের আয়োজন কম, স্পন্সরতো আরো কম। কয়েকবছর ধরে একটা শিশু কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেস করার অনেক চিন্তা ভাবনার পর, গেল বছর বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের কর্মবীর সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরীর চেষ্টায় আমরা মাঠে নেমে পড়ি। শুরু হয় বিএফএফ শিশু কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেসের কাজ। সেেই সময় একদিন কথা প্রসঙ্গে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মার্কেটিং হেড় আযম খানকে কংগ্রেসের কথা বলি। উনি আমাকে আশ্চর্য করে দিয়ে নিজেই ঐ অনুষ্ঠানে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ব্যাস গত বছর হয়ে যায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক- বিএফএফ শিশু কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেস ও জগদীশ চন্দ্র বসু বিজ্ঞান ক্যাম্প।
কংগ্রেসের আয়োজনটা ছিল ১২ ক্লাশ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য। জুনিয়র আর সিনিয়র ক্যাটাগরিতে ওরা পেপাল লিখেছে, পাস্টার উপস্থাপন করেছে এবং প্রকল্প জমা দিয়েছে। সেখান থেকে পৌনে তিনশত প্রকল্প, পোস্টার আর পেপারের উপস্থাপন ছিল কংগ্রেসে। দুইদিনের কংগ্রেসে সেছাড়াও ছিল স্বল্পমূল্যে বিজ্ঞান পরীক্ষার উপকরণের প্রদর্শনী এবং একটি যৌথ কংগ্রেস। যৌথ কংগ্রেস মানে শিশুদের সঙ্গে সিনিয়র বিজ্ঞানীদের একটি যৌথ সেশন। মাননীয় বিজ্ঞান প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, জামিলুর রেজা স্যার, জাফর স্যার, রাব্বানী স্যার, আবেদ স্যারসহ অনেক সিনিয়র স্যার কংগ্রেসে হাজির ছিলেন। ছিলেন বিএফএফ আর ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান সবুর ভাই একেবারে শেষ মূহুর্তে যোগ দেন।

জহদীশ বসু ক্যাম্পের অংশগ্রহণকারীরা

আমাদের ইচ্ছা ছিল কংগ্রেস থেকে বাছাই করা ৩০ জনকে নিয়ে আমরা জগদীশ চন্দ্র বসু বিজ্ঞান ক্যাম্প করবো। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে এক মা দাড়িয়ে বললেন ক্যাম্পে যেন আরো বেশি ছেলে-মেয়েকে সুযোগ দেওয়া হয়। আমি তখন দাড়িয়ে বলেছিলেম- আমাদের সাধ থাকলেও ৩০ জনের বেশি লোক নিয়ে ক্যাম্প করার কোন জায়গা আমাদের নেই। সেটা শুনে, সবুর ভাই সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ইউনিভার্সিটির আশুলিয়া ক্যাম্পাসে ক্যাম্পটি করার প্রস্তাব দেন। আমাদের তো সোনায় সোহাগা। যে টাকা দিয়ে ৩০ জনের ক্যাম্প করা যেত সেই টাকা দিয়েই আমরা ৬০ জনের ক্যাম্পের আয়োজন করি। ৫২ জন ক্যাম্পে যোগ দেয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটজন এসেছিল যশোর থেকে, মাত্র ক্লাস টুতে পড়ে!
পাঁচদিনের ঐ ক্যাম্প অংশগ্রহণকারীদের জন্যতো বটে আমরা যাঁরা এই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত তাদের জন্যও এক বিরাট অভিজ্ঞতা। ওদের আমরা ইন্টারনেট এবং বই কোনটাই নিতে দেয়নি। আমরা দেখতে চেয়েছিলাম ওরা কেমন করে প্রকৃতির পাঠ করে। আমরা অবকা হয়ে দেখলাম গ্রুপে ভাগ হযে হয়ে প্রকৃতির নানান পাঠ নিয়েছে। আমি কয়েকটা বলি-

  • আমরা সবাই জানি লজ্জাবতী গাছকে ছুঁয়ে দিলে সেটির পাতা গুলো কুকড়ে যায়। ভাল কথা। কিন্ত কতক্ষণ তাদের এই লজ্জা থাকে? আমি নিজে কখনো এটা ভাবি নি। জগদীশ চন্দ্র বসু ক্যাম্পে এতদল খুদে বিজ্ঞানী ভেবেছে এবং ডেটা নিয়ে, এভারেজ করে বের করেছে এটি ৩২ দশমিক কয়েক সেকেন্ড!!! চিনির পানিতে লজ্হাবতী গাছ কেমন প্রতিক্রিয়া করে সেটিও তারা দেখেছে।
  • আশুলিয়াতে অনেক কাঠাল হয়। তা কাঠাল তো গাছের কান্ড এবং গুড়িতে হয়। কোনটা বেশি মিষ্টি? কেন?
  • আশুলিয়া যে এলাকাতে আমরা ছিলাম সেখানে কোন কোন গাছের প্রাচুর্য আর কোন কোন গাছ কম? কেন? এর সঙ্গে কি মাঠির কোন সম্পর্ক আছে নাকি মানুষের?
    প্রত্যেক গ্রুপ আবার তাদের ফলাফল স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়েছে।
ক্যাম্পে জাফর স্যারের ক্লাস

 

সকালে জাতীয় সংগীত গেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ক্লাস করা, খবার পর নিজের থালা-বাসন নিজেই ধোয়া, বিকেল মাঠে খেলাধুলা করা, রাতে আকাশের তারা চেনা কিংবা গভীর রাত পর্যন্ত সোহাগের সঙ্গে বিজ্ঞানের পরীক্ষা করা এসবের মধ্যদিয়ে কোন ফাঁকে পাচ দিন চলে গেছে সেটা টের পাওয়া যায়নি।

আমরা বুঝে গেছি, কেবল গাইডেন্স আর সাহস জোগানোর লোক না থাকায় আমাদের শিক্ষার্থীরা মুখস্ত বিদ্যা থেকে বের হতে পারছে না। ওদেরকে যদি রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া যায় তাহলেই তারা তাক লাগিয়ে দিতে পারে।

 

গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বেশ কিছু শিক্ষণীয় বিষয় খেয়াল করেছি-

  • প্রথমত আমাদের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণাটা নাই। বিজ্ঞান আসলে পর্যবেক্ষণ, ধারণা, হাইপোথিসিস, পরীক্ষা, ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষন এবং ফলাফল ও উপসংহার – এই যে পদ্ধতি এটা তাদেরকে সম্ভবত বলা হয় না অথবা বলা হলেও এটা যে একটা দরকারী ব্যাপার তার গুরুত্ব দেওয়া হয় না,
  • আমাদের প্রচলিত বিজ্ঞান মেলাগুলোর প্রস্তুতির জন্য খুবই কম সময় দেওয়া হয়। বেশিরভাগ সময় শিক্ষকরাই কিছু প্রজেক্টের কথা বলে দেন এবং সেগুলোই শিশুরা করে। কোন কোন লোকের ধারণা প্রজেক্টের মধ্যে “ডিজিটাল” কিছু দেখাতে পারাটা মনে হয় সবচেয়ে বেশি বাহাদুরী। বিশেষ করে যদি ল্যাপটপে, ইন্টারনেট থেকে কিছু ছবি বা ভিডিও দেখিয়ে দেওয়ায যায় তাহলে বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার ঠেকায় কে?
  • মেলার বেশিরভাগ প্রকল্প হয় এককালীন। কোন শিক্ষার্থী যদি গত বছর যা করছে তা থেকে সামান্য ইমপ্রূভ ভার্সন কিছু করতে চায় তাহরে নির্ঘাত বেচারা কপালে পিটুনি আছে। আমাদের ধারণা বিজ্ঞানের সকল আবিস্কার/উদ্ভাবন রাতারাতি হয়। কয়েক বছর ধরে লেগে থাকতে হবে এটা ভাবা যায় না।
  • বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে আশেপাশের নানান সমস্যার সমাধান করে হয় মানব সভ্যতাকে এগোতে দিছ্ছে না এমন কোন প্রশ্নের জবাব খুঁজে বের করা কিংবা মানুষের জাবনমানের সামান্য উন্নতি। এই বিষয়টাও মনে হয় আমাদের পাঠ্যক্রমে থাকে না।

 

এই চারটা বিষয়কে সামনে রেখে আমরা ২০১৪ সারের আয়োজনে নানান বিষয়কে যুক্ত করেছি। –

১. খবর পৌছানো – আমাদের শিশু কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেসের খবর মিডিয়া ছাড়াও আমরা সরাসরি অন্তত ২০০০ স্কুলে ফৌছানোর ব্যবস্থা করবো। প্রত্যেক স্কুলে পোস্টার, লিফলেট ছাড়াও আমরা বুকলেট পৌছে দেবো যাতে কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে তার একটা ধারণা দেওয়া থাকবে,

২. সারাদেশের ১০০ স্কুলে ২ ঘন্টার একটা একটিভেশন করা হবে। সেখানে কিছু প্রকল্পের ধারণা দেওয়া হবে, কীভাবে তাদের প্রকল্প যাচাই করা হবে এসবও বলা হবে।

৩. সারাদেশের ১০০টি স্থানে ৩-৪ ঘন্টার কর্মশালা করা হবে। কর্মশালাগুলোতে উপরের বিষয়গুলো নিয়ে আলোকপাত করা হবে, লম্বা সময়ধরে যেন কেও তার প্রজেক্টের কথা ভাবে সে জন্য তাকে উৎসাহিত করা হবে,

৪. বিভাগীয় শহরগুলোতে অন্তত একটি করে কুদরাত-ই-খুদা অনাবাসিক/ আবাসিক ক্যাম্প করা হবে। ক্যাম্পের উদ্দেশ্য হবে হাতে কলমে বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করার কিছু ধারণা দিয়ে দেওয়া, কোন কোন বই পড়লে ভাল হবে সেটি সম্পর্কে বলা এবং কিছু বিজ্ঞানের কনসেপ্ট ক।রিয়ার করে দিয়ে আসা,

উপরের চারটি ঘটনা চলার সময়ে আগ্রহীরা কংগ্রেসের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে এবং তাদের পেপার/পোস্টার/প্রকল্পের কনসেপ্ট নোট জমা দিতে পারবে। পরে সেখান থেকে বাছাই করে কংগ্রেসের অংশগ্রহণকারী নির্বাচিত করা হবে। কংগ্রেসের জন্য যারা নির্বাচিত হবে তাদের সবার হয়তো উপস্থাপন করার সুযোগ নাও হতে পারে।

এবারে অবশ্য আমাদের চেষ্টা কেবল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমিত থাকবে না। যে সকল শিক্ষক আমাদের সঙ্গে মতবিনিময় বা অভিজ্ঞতা বিনিময়ে উৎসাহী হবেন তাদের জন্যও আমরা বিজ্জান ক্যাম্পের ব্যবস্থা করবো।   যেমনটা আমরা করেছি একবার২০১২ সালে সত্যেন বসু বিজ্ঞান ক্যাম্পের ব্যবস্থা করবো। আরো কয়েকটি ক্যাম্পের ব্যবস্থাও থাকবে।

এই হচ্ছে আউটলাইন। কতোটা বাস্তবায়ন করতে পারবো তা আল্লাহ জানেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

আপনিও আমাদের এই যাত্রায় শরীক হতে পারেন।

দেশরে নানান জায়গা জুড়ে এই কর্মকাণ্ড করতে হলে আমাদের অনেক অনেক বিজ্ঞান কর্মী দরকার। আপনি যদি ভাবেন আমাদের এই ছোটট আয়োজনে থাকবেন তাহরে আপনি আমাদের স্বেচ্ছাসেবক হতে পারেন। এরই মধ্যে যারা আগ্রহ দেখিয়েছে তাদের নিয়ে আমরা আবদুল্লাহ আল মুতী বিজ্ঞান ক্যাম্পের আয়োজন করেছি ২০-২১ মার্চ ঢাকায়। সেখানে জনা চল্লিশেক ছিলেন। পরের ব্যাচে আবার হয়তো আরো ৪০ জনের জন্য ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে।

স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও আপনি আমাদের সঙ্গে মেন্টর/শিক্ষক হিসাবে যোগ দিতে পারেন। ইচ্ছে করলে আপনার এলাকায় আমাদের কর্মীদের সহায়তা করতে পারেন। আপনার পাশের স্কুলের ছেলে-মেয়েদের আমাদের এই আয়োজনের কথা জানাতে পারেন।
আমরা আমাদের ওয়েবসাইট আর ফেসবুক পেজ নিয়ে কাজ করছি। অচিরেই এগুলো সম্পূর্ণ হবে। তখন সেখান থেকে আমরা সব আপডেট দিতে পারবো।

আপনি যদি দেশের বাইরে থাকেন তাহলেও আমাদের শুভেচ্ছা জানাতে পারেন, আমরা যে পরিকল্পনা করেছি তার কিছুটাও যেন করতে পারি তার জন্য মহান আল্লাহ-র কাছে দোয়া করতে পারেন।
কিংবা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু বিজ্ঞানের বই পাঠিয়ে দিতে পারেন কিংবা আপনি নিজে যদি বিজ্ঞানী হোন তাহলে একটি ভিডিও বার্তা পাঠাতে পারেন আপনার লেকচার সমেত। এই কাজগুলো করার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা একটি সেকশন খুলবো অচিরেই যাতে আপনাদের সঙ্গে আমাদের একটা যোগসূত্র থাকে।

আর যদি এর চেয়ে বেশি কিছু করতে চান তাহলে আমাদের পৃষ্ঠপোষক বা পার্টনার হতে পারেন, কংগ্রেসে ১/২ট বড় অংকের পুরস্কারের ঘোষণা দিতে পারেন কিংবা আমাদের বিজয়ীদের ১/২জনকে আমেরিকা/ইউরোপের যে ল্যাবরেটরীতে আপনি কাজ করেন সেখানে কয়েকদিন থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন।

আমরা অনেকেই আমাদের নতুন প্রজন্মের শক্তিমত্তা সম্পর্কে ততোটা ওয়াকিবঞাল নই। কিন্তু বিদেশীরা সেটা জানে। জানে বলে ইকোনমিক্স পত্রিকা ২০৫০ সালে বাংলাদেশ ইউরোপের সব দেশকে অতিক্রম করে যাবে এই তথ্য জানাতে ভুলে না।

আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে নিশ্চয়ই একদিন সেটা আমরা পারবো।

সবার জীবন পাই-এর মত সুন্দর হোক।

 

 

 

 

3 Replies to “শিশু কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেস ২০১৪”

  1. Dear Munir Vhai, Thank you very much. I agree to work with you and I can spread this offer at least 3 schools in Laksam Upazila of Comilla district. I also want to a small financial aid for this programme. Cell: 01683050445

  2. আপনাদের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।
    পুর্বের মত এবারও সাইন্স কংগ্রেস সফল হবে।
    কিন্তু পোস্টার, প্রকল্প,পেপার আলাদাভাবে বিবেচনা করলে আরো ভাল হবে।
    জগদীশ বসু ক্যাম্পে আরো শিক্ষার্থীকে সুযোগ করে দিলে আরো ভাল হবে

    আশা করি সাইন্স কংগ্রেস তার নির্দিষ্ট লক্ষে পৌছাতে পারবে।

Leave a Reply Cancel reply

Exit mobile version