ফোর টোয়েন্টি ও টুইটের দাম মাত্র ৩৪০ কোটি টাকা!!!
“a slip of the foot you may soon recover, but a slip of the tongue you may never get over” – Benjamin Franklin.
৪২০ বা ফোর টোয়েন্টি কথাটা আমাদের দেশে একটি বিশেষ অর্থ বহন করে। দন্ডবিধির ৪২০ ধারাটি প্রতারণার সঙ্গে সম্পর্কিত। এজন্য কাউকে ফোর-টোয়েন্টি বলার অর্থ হলো তাকে প্রতারক হিসেবে চিহ্নিত করা।
তবে, অন্যান্য দেশে ৪২০-এর এই মাহাত্ম নাই। যেমন আমেরিকায় এটি একটি মাদক জগতের কোড। সেখানে কাউকে এ নামে ডাকার মানে হলো তার সঙ্গে যোগ রয়েছে মারিজুয়ানার। মারিজুয়ানা একটি মাদক, ইয়াবার মতো। এটি খেলে লোকে “মিউজিকের রঙ” দেখতে পায়।
ফোর টোয়েন্টির কথাটা এসেছে কারণ এর উল্লেখের ফলে এক লোকের মাত্র ৩৪০ কোটি টাকা জরিমানা গুনতে হচ্ছে!!!
হ্যা, টেসলার চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলন মাস্ক আগস্ট মাসে একটা টুইট করেন, সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে দামী টুইট। ৭ আগস্ট তিনি টুইট করেন, ““Am considering taking Tesla private at $420. Funding secured. ৪২০ ডলারে টেসলাকে প্রাইভেট করার কথা বিবেচনা করছি। বিনিয়োগ নিশ্চিত।”
সাদা চোখে এর অর্থ হলো টেসলাকে শেয়ার মার্কেট থেকে তুলে নেওয়ার কথা ভাবছেন টেসলার চেয়ারম্যান। সে সময় টেসলার শেয়ারের দাম ছিল হরে দরে সোয়া তিনশ টাকা। প্রায় ১০০ টাকা বেশি দিয়ে সব শেয়ার কেউ কিনে নিয়ে কোম্পানিকে পাবলিক থেকে প্রাইভেট করে ফেলা হবে! আর টুইট থেকে মনে হচ্ছে ৪২০ ডলারে সব শেয়ার কেনার টাকাও তিনি যোগাড় করে ফেলেছেন।
এর পরপর অনেক মিডিয়াই কোন এক সৌদি বিনিয়োগকারীই সেই টাকার জোগানদার ইত্যাদি নিউজও করে। তবে, টুইটে ফোর-টোয়েন্টির উল্লেখ নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি। তার এই টুইটের ফলে টেসলার শেয়ার মূল্যের ব্যপক উঠা-নামা হয়েছে। আর সিকিউরিটি এক্সচেঞ্চ কমিশন (এসইসি) মনে করেছে – এই টুইট করে মাস্ক বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেছেন যা একটি অপরাধ। গত বৃহস্পতিবার এসইসি “ভুল ও বিভ্রান্তিকর” তথ্য প্রকাশের কারণে মাস্ক ও টেসলার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।মামলা দায়েরের পর মাস্ক প্রথমে এ মামলাকে অহেতুক বললেও দুইদিন পর টেসলা ও মাস্ক দুজনই এসইসির সঙ্গে সমঝোতা করেছে।
সমঝোতা অনুসারে এলন মাস্ক তার টুইটের জন্য জরিমানা দেবেন মাত্র ১৭০ কোটি টাকা (২ কোটি ডলার)! শুধু তাই নয় আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে টেসলার চেয়ারম্যানের পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করবেন। এবং আগামী তিন বছর আর টেসলার চেয়ারম্যান হতে পারবেন না! অন্যদিকে টেসলাও সমপরিমাণ টাকা জরিমানা দেবে কেননা তারা তাদের প্রধান নির্বাহী ও চেয়ারম্যানকে ঠিক-ঠাক মতো “গার্ড” দিতে পারে নাই।
মনে রাখা দরকার এলন মাস্কের এক টুইটের যে জরিমানা সে পরিমান অর্থ এখনও টুইটার কখনো নেট প্রফিট করতে পারে নাই বলে জানিয়েছেন একজন-
এর আগেও এলন মাস্কের এমনতর টুইট নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে। এর আগে তার একটা টুইটের তোড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার শেয়ার বাজারে স্যামস্যাঙের বাজার মূলধন কমে যায় ৫৮০ মিলিয়ন আর জাপানে প্যানাসনিকের বাজার মূলধন বাড়ে ৮০০ মিলিয়ন ডলার, একদিনে!!!
সেসময় একটি গুজব শোনা যাচ্ছিল যে,টেসলা স্যামসাঙের সঙ্গে একটা চুক্তি করতে যাচ্ছে ইলেকট্রিক ব্যাটারি বানানোর। কিন্তু মাস্ক টুইট করেন টেসলা এমন কিছু ভাবছে না, বরং টেসলা প্যানাসনিকের সঙ্গে এ কাজ করছে”। এই টুইটের পর দক্ষিণ কোরিয়া আর জাপানের শেয়ার বাজারে ঝড় বয়ে যায়। এতে স্যামসাঙের শেয়ার মূল্য পড়ে যায় ৮%।
শনিবার এসইসির সঙ্গে সমঝোতার পর টেসলার বিনিয়োগকারীরা আবারও টেসলাতে ঝাপিয়ে পড়েছেন। গতকাল ১ অক্টোবর টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৭.৩৫% বেড়েছে।
অন্যদিকে ২০ মিলিয়ন ডলার এলন মাস্কের সম্পত্তির কতো শতাংশ? ১৭০ কোটি টাকা মাস্কের সম্পদের ১ পার্সেন্টও নয়! ছোট বেলা থেকে ব্যাপক পড়াশোনার কারণে এলন মাস্ক এলন মাস্ক হয়ে উঠেছেন বলে মনে করা হয়।
টেসলার চেয়ারম্যানের এই টুইটের ফলাফল আমাদের ভার্চুয়াল জগৎ নিয়ে আরও ভিন্নভাবে ভাবতে বাধ্য করবে মনে হয়।
2 Replies to “ফোর টোয়েন্টি ও টুইটের দাম মাত্র ৩৪০ কোটি টাকা!!!”
Leave a Reply Cancel reply
You must be logged in to post a comment.
Really it’s a fruitfully massage. Their are guys very rich. So, we just listening and learning and every foot step very very crefully.