জগিং করতে করতে লাফালো রোবট

Spread the love

বিশ্বের অনেক সংস্থা মানবআকৃতি রোবট তৈরি করে। এর মধ্যে সোফিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের সামনাসামনি দেখা হয়েছে। অন্যগুরোর মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ হলো বোস্টন ডিনামিক্সের এটলাস। বছর খানেক আগে ওর একটা ভিডিও রিরিজ করেছিল বোস্ট ডিনামিক্স। সেখানে দেখা যায়, একটা তারের সঙ্গে কানেকটেড এটলাস জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর কসরৎ করছে। কিন্তু ১০ মে এটলাসের যে ভিডিও ডিনামিক্স ওয়ালারা রিলিজ করেছে সেটি একেবারেই পিলে চমকানো।
আমি এরই মধ্যে কয়েকবার দেখেছি। আমার মনে হয়েছে যদি একটা কাপড় পড়ায় দিয়ে দূর থেকে রেকর্ড করা হতো তাহলে আমরা সত্যিই দ্বিধায় পড়ে যেতাম। এটি যে সকালে উঁচুনিচু জায়গায় জগিং করেছে তা নয়, সামনে একটা গাছের গুড়ি পড়ে থাকায় সেটিকে লাফ দিযে পারও হয়েছে!!!  এই সেই ভিডিও।

রোবটিক্স আর কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা কোথায় যাবে সে নিয়ে বিতর্ক আবার চাঙ্গা হয়েছে কারণ দিন কতক আগে গুগল এসিস্ট্যান্টের নতুন একটা ফিচার যোগ হয়েছে। এটি আমার-আপনার হয়ে ফোন করে ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবে। এবং এর কন্ঠ মোটামুটি মানুসেরই কন্ঠ, যান্ত্রিক কন্ঠস্বর মনে হচ্ছে না। ব্যাপারগুলো একটা দিকে যেতে শুরু করেছে। গুগল আইওতে এটির ঘোষণা দিয়েছে সুন্দর পিছাই। সেখানে যে এআই দেখানো হয়েছে সেটা কিন্ত ল্যাবএইডের কর্মী যে কিনা বরেন স্যারের এপয়েন্টমেন্ট দেয়, তারে বোকা বানাতে পারবে।

 

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় বিশ্বের তারুণ্য যখন নতুন নতুন উদ্ভাবনে ব্যস্ত তখন আমাদের সময়ের একটা বড় অংশ চলে যাচ্ছে পলিসি মেকারদের কনভিন্স করতে যে, জ্ঞানভিত্তিক শিল্পের মূল উপাদান জ্ঞানকর্মী। ওরাই প্রকৃত “সম্পদ” এবং রাতের বেলায় তারা নিজ নিজ বাড়িতে ঘুমাতে যায়। এই সম্পদের মূল্যায়ন করেই কিন্তু এখন প্রতিষ্ঠানের এসেসমেন্ট করতে হবে, সেটির পাশে দাড়াতে হবে, ব্যাংকের টাকা দিতে হবে। না হলে তো আমরা সস্তা শ্রমিক  সরবরাহেই থেকে যাবো যার প্রয়োজনীয়তা দ্রুত ফিরিয়ে যাচ্ছে। সস্তা শ্রমিকের ব্যাপারটা কিন্তু আমাদের রেমিট্যান্স আয়ে এরই মধ্যে প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পত্রিকা লিখছে, “বিশ্বের প্রতিটি দেশেই প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রাপ্তি কমেছে। তবে দেশগুলোর মধ্যে প্রবাসী আয় সবচেয়ে বেশি কমেছে বাংলাদেশ ও ভারতে। সে তুলনায় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় প্রবাসী আয় কমে যাওয়া এতটা প্রকট হয়নি।”

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এ যুগে আমাদের প্রস্তুতির কথা কে ভাববে?

আমরা কেন জানি দেওয়ালের লিখন পড়তে চাচ্ছি না। কিন্তু অন্ধ হলে প্রলয় কি বন্ধ থাকে?

Leave a Reply Cancel reply