শুভ জন্মদিন বুলি সাহেব!
বুয়েটে আমার পর আমাদের একটা কোর্স পড়াতেন মাহবুবুর রহমান স্যার। তার কাছেই আমি প্রথম জর্জ বুলির নাম শুনি। তবে, স্যার বুলিকে নিয়ে বেশি কিছু বলেননি। কিন্তু ও সেমিস্টারে বুর মহাশয আমাদের অনেক জ্বালাতন করেছেন, তাঁর বীজগণিত দিয়ে। বুয়েটে পড়তে আসার আগেই বাইনারি শব্দটা জানতাম। আর জানতাম কম্পিউটার খালি ১ অথবা ০ বোঝে। কিন্তু মনের মধ্যে একটা ব্যপক সন্দেহ ছিল। কীভাবে সম্ভব। খালি জ্বলা-নেভা দিয়ে গাড়ি চালানো?
মাহবুবুর রহমান স্যারের পড়ানোটা খুবই মজাদার ছিল। এবং উনি ক্লাসে এত চমৎকার করে বোঝাতেন যে, আমি একদিন সকাল বেলা বুজে ফেললাম ব্যাটা বুলিই সব কিছু আগে থেকে করে গেছে এবং তার বীজগণিত দিয়েই নানান জটিল জিনিষ করে ফেলা যায়।
ঐ কোর্স থেকে আমি দুইটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানি-
- পৃথিবীর সবচেয়ে জটিলতম বিষয়কেও কয়েকটি সহজ জিনিসের সমন্বয়ে প্রকাশ করা যায়
- বুলি সাহেবের কোন সুপারভাইজর ছিল না। থাকলে তিনি এই বীজগনিত আবিস্কার করতে পারতেন না। (এই নিয়ে আমার একটা তত্ত্ব আছে)
তো, প্রথম বিষয়টা আমি এরপর থেকে নিজেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করি।
আর দ্বিতীয় ব্যাপারটাযে সত্য সেটা আজকে গুগলের ডুডলে ক্লিক করে জেনে ফেলেছি।
আজ ব্রিটিশ গনিতবিদ জর্জ বুলির জন্মদিন। দেখা যাচ্ছে তিনি যা কিছু শিখেছেন তার সবই নিজে নিজে। ফলে নতুন চিন্তা করতে পেরেছেন এবং এমন একটা গণিতের সূচনা করে গেছেন যা কীনা কম্পিউটারকে একটা শক্ত ভিত্তি দিয়েছে।
আজ তার ২০০ তম জন্মদিন। যেহেতু অনলাইনে তার সম্পর্কে আজকে অনকে ইনফো পাওয়া যাবে তাই আমি আর কষ্ট করে কম্পাইল করছি না।
শুভ জন্মদিন বুলি সাহেব!