বিশ্ব যতো এগিয়ে চলে
এই ঘটনাটা আমি জানতে পারি ২০০৯ সালে শাবিপ্রবি’তে মোবাইল ফোনে ভর্তির ব্যাপারটা সামলাতে গিয়ে। সে সময় আমি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে কাজ করতাম। আর গ্রামীণ ফোনের এক লোক আমাকে সারাক্ষণ বোঝাতো যাতে আমি টেলিটকের মাধ্যমে এই কাজটা না করি!
আমি কখনো কামাল কাদিরের কাছে জানতে চাইনি বিকাশের শুরুটা কেমন করে। যদিও মোবাইল ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশনের ব্যাপারটা নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে অনেক আগে থেকে। বিকাশের আগমন এবং এর প্রভাব আমরা প্রায় সবাই কম বেশি জানি (আমার নিজের কোন বিকাশ একাউন্ট নাই। কমপক্ষে ১০ বার এই একাউন্ট করার চেষ্টা করে সফল হইনি। তবে একটা রকেট একাউন্ট আছে)।
বাংলাদেশের বিকাশ এখন বিশ্বের এক নম্বর (নাকি দুই?) মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস। বিকাশের অনেকগুলো টিভি বিজ্ঞাপন আছে যাতে মোটামুটি বোঝা যায় বিকাশ আসলে কাদের কাজে লাগে। ওদের থিম সংটা ও আমার বেশ ভাল লাগে –
বিকাশের কারণে বারকা ওবামা কেনিয়াতে গিয়ে বাংলাদেশকে স্মরণ করেছেন। আর গত বছর বাংলাদেশের বৃহত্তর মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশ পরিদর্শন শেষে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট কিম বলেছেন, ‘(it’s an) overwhelming success in turning the financial inclusion vision into a reality for the marginalized sections in the country’.
বিকাশে বিল গেটসেরও পূজি আছে। তাঁর ধারণাটা এখানে শোনা যাবে-
আমাদের বিডিওএসএনের একটি বিকাশ মার্চ্যান্ট একাউন্ট আছে। সে কারণে কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সার্কুলারের কপি পেয়েছি। এর মধ্যে সেটি পড়তে পারি নাই। আজকে সকালে পড়লাম এবং তারপর থেকে এসব কথা মনে হচ্ছে।
আমাদের দেশের এক শ্রেণীর লোকেদের একটা বড় গুন হচ্ছে তারা যে কোন ভাল জিনিষকে মেরে ফেলতে পারে। আমার কেন জানি আশংকা হচ্ছে এমএফএস নিয়ে ঠিক সেরকম একটা কিছু হয়তো শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিন আমি এ নিয়ে একটু খোঁজ করার চেষ্টা করবো আসলে ঐ সার্কুলার, যা কিনা মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেটে ফেলার চেস্টা, সেটার উদ্দেশ্য কী।
সকাল থেকে কাজী নজরুলকেই মনে পড়ছে।
বিশ্ব যতো এগিয়ে চলে
আমরা ততো পিছে!!!
শুভ সকাল