আমার সফটএক্সপো-১ : প্রাইমারি ও হাইস্কুল পড়ুয়াদের কোডিং
বিশ্বব্যাপী এসব মেলাতে প্যারালালি অনেক ঘটনা ঘটতে থাকে। যেমন প্রদর্শনী। নানা রকম সফটওয়্যার, সেবা ইত্যাদির পশরা নিয়ে বসে থাকেন উদ্যোক্তারা। দর্শকরা ঘুরে ফিরে দেখেন। জানেন এবং খোঁজখবর নেন। থাকে অনেক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম। সচরাচর তিন কিসিমের থাকে – একটা পলিসি ডায়ালগ টাইপের। মানে ইকো সিস্টেমের জন্য কী চাই, কেমনে চাই। ভারী কিন্তু দরকারি আলোচনা। আর একটা হলো এমার্জিং সব বিষয়বস্তুর। মানে সামনে কী হবে টবে এসব নিয়ে। আর একটি থাকে আগামী দিনের করনীয়, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, এওয়ারনেজ। মোটামুটি এই তিন পদের প্রায় গোটা তিরিশেক ইভেন্ট আছে সফটএক্সপোতে। গড়ে ৫ জন করে ধরলে ১৫০ জন লোক যোগাড় করতে হবে আয়োজকদের!!! আল্লাহ ভরসা।
বিশ্বব্যাপী খুদেদের প্রোগ্রামিং-এর সঙ্গে যুক্ত করার একটা আন্দোলনমতো দানা বাঁধছে সব দেশে। এটার মূল কারণ আগামী দিনে মানুসের যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা। আগামি ৪ বছরে বিশ্বে তাই লাখো লাখো প্রোগ্রামার সর্টেজ পড়বে এবং সেটার প্রভাব পড়বে নানান জায়গায়। একটা সহজ হিসাব হলো প্রোগ্রামারদের বেতন-ভাতাদি এতো বেড়ে যাবে যে, অন্যান্য প্রোডাক্টের দামও বেড়ে যাবে কারণ সব প্রোডাক্টের সঙ্গেই প্রোগ্রামিং-এর সম্পর্ক হয়ে যাচ্ছে ওতপ্রোত। আর একটা হলো সব দেশই তাদের চাহিদা নিরুপন করে দেখেছে যে, তাদের সিস্টেম থেকে ওতো প্রোগ্রামার বের হবে না। কাজে শুরু হয়েছে নানান উদ্যোগ। আমেরিকার আগের প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাইসকে সামনে রেখে এই নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেসরকারি উদ্যোগ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় উদ্যোগটা একটা বেসরকারি উদ্যোগ এবং এর নাম হলো কোড ডট অর্গের আওয়ার অব কোড। এই উদ্যোগটির সঙ্গে আছে প্রায় সব টেক জায়ান্ট। মাইক্রোসফটও শুরু থেকে এই উদ্যোগের সঙ্গে আছে। মাইক্রোসফটে ইয়ুথ স্পার্কের সঙ্গে এর একটা যোগসূত্র আছে।
আমাদের দেশে আওয়ার অব কোডের ধারাবাহিকতায় আমরা শুরু করেছি জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। এটির উদ্দেশ্যও কিন্তু বিশ্ববীক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত। এর থীমসংটি শোনা যাবে এখানে –
https://www.youtube.com/watch?v=krYXHtrzXLU
গণিত, বিজ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে এখন প্রোগ্রামিং শেখাটাও সবার জন্য দরকারি হয়ে পড়ছে। প্রোগ্রামিং কেন দরকার সেটা অনেকেই এখন ঠিকমতো জানেন। তবে, না জানা লোকের সংখ্যাও কম নয়। হাইস্কুল প্রোগ্রামিং-এর খবর এখন গ্রামের দিকেও যেতে শুরু করেছে। কাজে এ নিয়ে সচেতনতা, খুদেদের খুদে প্রোগ্রামার হিসাবে তৈরি করা – এসবে এখন অনেক বিনিয়োগ দরকার। একা সরকার যেমন পারে না, তেমনি একা বেসরকারি উদ্যোগও পারবে না। দরকার সমন্বয়।
৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সেলেব্রিটি হলে যে প্রোগ্রাম হবে তার মূল উপজীব্য হবে এই খুদেদের প্রোগ্রামিং। সেখানে গুরুত্ব বা দরকারের চেয়ে বেশি আলাপ হবে প্রোগ্রামিং-এর মজার অংশ। এখন অনেক মজা করেই প্রোগ্রামিং শেখা যায়। বিশ্বের সব বড়ো প্রোগ্রামাররা শুরু করেছেন ছোটবেলায়।
https://www.youtube.com/watch?v=wldli30PT1E
আমাদের ছেলেমেয়েরাও এখন এই সুযোগ পেতে পারে।
তো, সেমিনারটাতে নানান কিছু থাকবে। সব যদি এখনই বলে দেই, তাহলে আর মজাটা থাকবে কেমনে?
সবার আমন্ত্রণ।