নারী উদ্যোক্তা ও আইসিটি বিষয়ক সংলাপ
এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ হবে যেখানে এই কার্যক্রম বাকী দুইটা বিভাগে সম্প্রসারিত করা হবে। আজকের আয়োজনটা ছিল মূলত নতুন কাজে কী কী থাকবে তা নিয়ে।
ডেইলি স্টার কনফারেন্স সেন্টারে আয়োজিত সংলাপের শিরোনাম ছিল “ডায়ালগ অন প্রোমোটিং আইসিটি অপরচুনিটিজ ফর ওম্যান এন্ট্রপ্রিনিয়র”। সংলাপে সরকারের আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল ওম্যান চেম্বার ও কমার্সের প্রতিনিধি, নতুন নারী উদ্যোক্তা এবং এশিয়া ফাউন্ডেশনের জেষ্ঠ্য অর্থনীতিবিদ ভেরোনিকা সালজে লোজেক, সংস্থার অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভাগের সহযোগী পরিচালক সৈয়দ আল-মুতী প্রমূখ অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ও নীতি বিষয়ক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আবু ইউসুফের সঞ্চালনায় সংলাপে আরো বক্তব্য রাখেন নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ওয়াহাব, মাকসুদা আজিজ, ফারহানা রহমান প্রমূখ।
শুরুতে আমি একটা প্রেজেন্টেশন দিয়েছি। মূলত আমাদের গ্রুপের তিনজন সফল উদ্যোক্তার গল্প- মাহীন ইসলাম, এমরাজিনা ইসলাম ও মাকসুদা আজিজের। আলোচনা ছিল কীভাবে তারা তাদের কাজে আইসিটিকে ব্যবহার করেছে। আমি শুধু বলতে চেয়েছি – ইন্টারনেট এক নতুন জগত খুলে দিয়েছে। সেটাকে কাজে লাগানো দরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন ইউনিটের প্রধান ওয়াহিদা নাজনীন অনেক কথা বলেছেন। বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদেরকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনাগুলোর কথা জানান। আগামী ১ বছরে দেশের সকল ব্যাংককে প্রতিটি শাখায় তিনজন নারী উদ্যোক্তাকে সম্পৃক্ত করার জন্য বলা হয়েছে। এর মানে হল তাদেরকে ব্যাংকিং শেখানো হবে এবং বছর শেষে কমপক্ষে একজনকে ঋণের সুযোগ দেওয়া হবে। তিনি আশা করেন এর মাধ্যমে বছরে নতুন নয় হাজার নারী উদ্যোক্তা এসএমই ঋণের আওতায় আসবে। বাংলাদেশ ব্যাংক রিফাইন্যান্স করে যেখানে সেখানে ১০% এর কমে ঋণের সুযোগ থাকে।
ভেরোনিকা সালজে লোপেজ বললেন এশিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার নারীদের ওপর পরিচালিত এক গবেষণার উল্লেখ করে জানান তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তারা নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্ক গড়ে তুললে তাদের সফলতার হার ৪০% শতাংশ বাড়ে। নারী উদ্যোক্তাদের সফলতার পেছনে আর একটা কারণো ঐ গবেষণায় উঠে এসেছে- মেন্টরিং। ভাল মেন্টরিং একজন নারীকে ব্যবসাতে সফল করে তুলতে পারে।
আপলোড ইয়োর সিস্টেমের শীর্ষ নির্বাহী ফারহানা রহমান তার গল্পের পাশাপাশি কীভাবে নারী উদ্যোক্তারা নতুন ব্যবসা আর বর্তমান ব্যবসার প্রসারে আইসিটি কাজে লাগে তার কথা বলেন। তবে, তিনি বলেছেন – নারী উদ্যোক্তাদের বড় অন্তরায় হচ্ছে তাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব। আর তথ্য জানলে এই বিশ্বাসটা আরো পোক্ত হয়। তিনি একটা চমতকার কথা বলেছেন। “স্বপ্ন দেখা আর স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখার মধ্যে পার্থক্য আছে।”
চট্টগ্রাম ওম্যান চেম্বারের সহ-সভাপতি আইভি হাসান ঢাকার বাইরে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আইসিটি ভিত্তিক প্রশিক্ষণকে ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান। চট্টগ্রাম চেম্বারের কিছু উদ্যোগের কথা তিনি জানিয়েছেন। বলেছেন – পর্যাপ্ত রিসোর্স ছাড়াও তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন নানান কিছু করতে। অন্যদিকে সিলেট ওম্যান চেম্বারের সভাপতি স্বর্ণলতা রায় নারী উদ্যোক্তাদের ব্যাংকের ঋণ প্রাপ্তি সহজ করার অনুরোধ জানান।
আমি আরো অনেক নোট নিয়েছি। আশাকরি ওখানকার অফিসিয়াল নোটটাও পাওয়া যাবে। তবে, সমজদারদের জন্য এখানেই যথেষ্ট রসদ আছে।