চলছে আরডুইনো ডে হ্যাকাথন
হ্যাকাথনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের চলমান নির্দিষ্ট কিছু সমস্যার সমাধান করার জন্য আরডুইনো দিয়ে ডিভাইস ডেভেলপ করার জন্য আহ্বান করা হয়। এই সমস্যাগুলোর মধ্যে ছিল ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা, ট্রাফিক জ্যাম, কৃষিক্ষেত্রে অটোমেশন, অটিজম এবং গণপরিবহন। সারা দেশ থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী হ্যাকাথনে অংশ নেয়ার উদ্দেশে ধারণাপত্র জমা দিয়েছিল। সেখান থেকে বাছাইকৃত ১০ টি টিমের ৩৭ জন শিক্ষার্থী হ্যাকাথনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।
আমি যখন পৌছাই, তখন মাত্র প্যাক খোলা শুরু হচ্ছে। টেবিল ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে কথা বললাম। ওদের আগ্রহ দেখে ভাল লাগলো।ওরা এসেছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্য্যাসিফিক, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চিটাগং, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়, মাইল স্টোন কলেজ ও উইলস লিটল ফ্লাওইয়ার কলেজ থেকে মোট ৩৭ জন শিক্ষার্থী ১০ টি দলে বিভক্ত হয়ে এই হ্যাকাথনে অংশ নিচ্ছেন। ১১ মে বিকাল ৩ টায় শুরু হয়ে হ্যাকাথন টানা চলবে ১২ মে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
আরডুইনো নিয়ে এত কিছু বলার একটাই কারণ। ২০২০ সালের মধ্যেই মাত্র ৫০ বিলিয়ন ডিভাইস নাকি ইন্টারনেটে যুক্ত হবে। আগামী দিনে ইন্টারনেট অব থিংস হবে নানা কিছুর চালিকা। আমাদের শিক্ষার্থীরা এটাকে ভালমতো জানুক এটাই প্রত্যাশা।
আর এবছর থেকে আমাদের হাইস্কুলের ছেলেমেয়েরা যাবে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে। সেটারও হাতে খড়ি হয়ে যাক।
কাল গিয়ে দেখবো কোন দল কতোটা কী করতে পারলো।
সবার জন্য শুভ কামনা।