এ যে রাত্রি, এখানে থেমো না
গতকালের আমাদের বছর শুরুর প্রথম আয়োজন যা কিনা আলোর বছরের শেষ আয়োজন তা নিয়ে কেবল এই কথাটাই বলা যায়
গোলাপের দিকে চেয়ে বললুম ‘সুন্দর’ ,
সুন্দর হল সে ।
তুমি বলবে , এ যে তত্ত্বকথা ,
এ কবির বাণী নয় ।
আমি বলব , এ সত্য ,
তাই এ কাব্য ।
এ আমার অহংকার ,
অহংকার সমস্ত মানুষের হয়ে ।
মানুষের অহংকার – পটেই
বিশ্বকর্মার বিশ্বশিল্প ।
আলো নিয়ে আশ্চর্য এই গ্রন্থণার গ্রন্থিকদ্বয় সেঁজুতি বড়ুয়া আর সোমা চৌধুরীর প্রতি তাই অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন। আর দূর থেকে সর্বোতভাবে সঙ্গে থাকার লোকটি সুকান্ত চক্রবর্তীকে আমরা সরাসরি পাইনি বটে, তবে তার উপস্থিতি অনুক্ষনই আমরা উপলব্দি করেছি। না-গান গাওয়ার দলের জন্য বিনম্র কৃতজ্ঞতা।
আলোর কথামালার চার কথক দীপেন ভট্টাচার্য, আরশাদ মোমেন, ফারসীম মান্নান ও সৌমিত্র রায় জয় – সবার জন্য কৃতজ্ঞতা। দীপেন দা মাত্র কয়েকদিনের নোটিশে আমাদের প্রথম কথক হয়েছেন।
ইউনেস্কোর জন্যও একটা হাততালি কারণ আলোকে নিয়েও যে একটা বছর হতে পারে সেটিতো ওরা দেখিয়েছে, তাইনা।
বছরজুড়ে এই আযোজনের পরিকল্পনা করার সময় এ আর খান স্যার আমাদের সঙ্গে ছিলেন। স্যারের সঙ্গে আমার একটা কথাও ছিল এমন যে, আরোর বছরের সমাপনীর আন্তর্রজাতিক আয়োজনটিতে তিনি আমাদের একজন কনিষ্ঠ ভলান্টিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন (আমার প্ল্যান ছিল স্যারের ঘাড়ে খরচটা তুরে দেওয়া)। সে সুযোগটা আর আমরা পা্ইনি। ওপার থেকে স্যার নিশ্চয়ই গতকাল অনেক খুশি হয়েছেন কারণ বিজ্ঞান আর সংস্কৃতির মেলবন্ধনের যে কাজটার কথা তিনি বলেন ঠিক সেই পথেই তো এগুচ্ছি আমরা।
আলোর বছর হয়তো শেষ, কিন্তু আমাদের আলোর পথে চলাতো শেষ নয়। আলোর পথের যাত্রা অনন্তকালের, অসীমের পথে। তাতেই আমাদের আগামী দিনের আশা ও আনন্দ। আর তাই সবাই মিলে জাতীয় সংগীত গাওয়ার আগের গানটি ছিল সলিল চৌধুরীর আলোর পথযাত্রী।
অনুষ্ঠানে বছর জুড়ে করা আয়োজন নিয়ে একটা ভিডিওচিত্র ছিল।
বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠানের অনেক ছবিও দেখা যাবে।