উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা বিষয়ক দুইটি আয়োজন – ২৪ আগস্ট ২০১৩
সকাল ১১টা থেকে যে আয়োজন সেটির মূল লক্ষ্য হল উদ্যোক্তাদের তূণে একটি গুরুত্বপূর্ণ শরকে সমৃদ্ধ করা। উদ্যোক্তা মাত্রই প্রচুর কথা বলতে হয়। এবং এগুলো বেশিরভাগই কিন্তু স্বগতোক্তি নয়। একেবারে শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত প্রচুর কথা, সাপর্টেড ভাই ফ্যাক্টস এন্ড ফিগার, মোটিভেশন এন্ড ইনস্পিরেশন। কোন মাফ নাই। শুরু করতে হয় বাসা থেকে। বোঝাতে হয় কেন এন্টারপ্রনিয়র হবে, কেন একটা কস্টার্জিত পথ বেঁছে নেবে। কনভিন্স করাটা কঠিনই যদিনা বলার কায়দা ঠিক হয়। এরপর হচ্ছে টিম মিটিং, সেলস, বোর্ড মিটিং, ব্যাংকার, ইনভেস্টর – মোটামুটি কথার ওপরেই থাকতে হয়। এবং এখানেই একজন সফল উদ্যোক্তার সঙ্গে অন্যদের পার্থক্য তৈরি হয়। অনেককে আমি দেখেছি নিজের কাজটা (হয়তো প্রোডাক্ট তৈরি) খুবই ভাল করতে পারেন কিন্তু সেটা সম্পর্কে বলতে পারেন না। অনেকই বেশি সময় পেলে একটা কিছু বলতে পারে। কিন্তু যদি বলা হয় ২ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে তখন মোটামুটি রণে ভঙ্গ দিতে হয়। অনেকের প্রচুর তথ্য, ফিগার, উদাহরণ থাকা স্বত্ত্বেও বলাটা ঠিক হয় না। আবার অনেকেই খুব কম তথ্য দিয়ে শ্রোতা/দর্শকের মন জয় করতে পারেন। উদ্যোক্তাদের জীবনের একটা বড় অংশই থাকে মন জয় পর্ব। সেখানে কথা বলাটা একটা আর্টের পর্যায়ে নিতে হয়। এখন এই আর্টের গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে। কারণ এই তো কয়েকদিন আগে ইউরোপে একটা জরিপে দেখা যাচ্ছে মার্কেটিয়ারদের মধ্য ইনবাউন্ড মার্কেটিং-এর প্রবণতা বাড়ছে। এবং সেটা সফলও হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এই পাবলিক স্পিকিং একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে। সকাল ১১টা থেকে প্রেজেন্টেশন স্কিল ও পাবলিক স্পিকিং-এর যে আয়োজন তাতে এসব বিষয় উঠে আসবে। কেমনে নিজের স্পিকিং স্কিল বাড়ানো যায়। কেমনে মানুষকে মোহিত করতে হয়। এমন অনেক সেলস পার্সন আছেন যারা আপনাকে এমন জিনিষ বিক্রি করে দেবে যা কী না আপনার দরকার নাই। ওনারা সেটা কেমন করে পারেন। এসবই এই কর্মশালার উপজীব্য।
উদ্যোক্তারা ছাড়াও যারা নিজের কথা বলার কায়দা উন্নত করতে চায় তাদেরও সবিশেষ উপকার হবে এই কর্মশালা থেকে।
রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে যে কেও সেখানে যেতে পারবে। রেজিস্ট্রেশন ফী ২০০ টাকা এবং সেটা স্পটেও দেওয়া যাবে। হবে পলাশীর মোড়ের ফ্রেপড অডিটরিয়ামে।
শুরুর দিকে আমার নিজেরও সেখানে থাকার ইচ্ছে আছে। বাকীঅংশ সামলামে াপটিমার মুর্শেদ ও তাঁর সহযোগী। আয়োজনের ইভেন্ট পেজে আরো কিছু তথ্য পাওয়া যাবে।
দ্বিতীয় আলোচনাটি ইলেকট্রনিক্স নিয়ে যারা উদ্যোগ নিতে চান তাদের জন্য। আমরা অনেকেই জানি ২০২০-এর দিকে গার্মেন্টস আর আমাদের প্রধান রপ্তানি খাত নাও থাকতে পারে। আবার বিশ্বব্যাপী অটোমেশনের কাজকারবার অনেক বেড়ে গেছে। এর ফলাফল আমরাও দেখছি। কিন্তু আমাদের দেশে ইলেকট্রনিক্স কারখানা কিংবা উদ্যোগের সংখ্যা খুবই কম। এমন কী বাজারে যে মাল্টিপ্ল্যাগগুলো পাওয়া যায় সেগুলোর বেশিরভাগই চায়না থেকে আসে। কেন আমাদের তরুন-তরুনীরা এই খাতে বেশি আসছে না, তাদের চ্যালেঞ্জগুলো কী কী?
এটি একটা মুক্ত আড্ডা ফরম্যাটে হবে। বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক্স ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক্স শিল্প গড়ে তোলার অগ্রপথিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. সিদ্দিক-ই-রাব্বানী স্যার এখানে থাকবেন। তাঁর সঙ্গে আরো থাকবেন সাইবারনেটিক সিস্টমের এমডি সিরাজুল হোসেন এবং অন্যরকম ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের অন্যতম উদ্যোক্তা মাহমুদুল হাসান সোহাগ। এই আড্ডাটি আমি সঞ্চালনা করবো।
হবে ঐ ফ্রেপড-এ। এটি আগ্রহীদের জন্য উন্মুক্ত। কোন ফী বা রেজিস্ট্রেশনের বালাই নাই। খালি উপস্থিত থাকলেই হবে।
এই ইভেন্টের ফেসবুক ইভেন্ট পেজে গিয়ে ফ্রেপড এর খোঁজ খবর জানা যাবে।
One Reply to “উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা বিষয়ক দুইটি আয়োজন – ২৪ আগস্ট ২০১৩”
Leave a Reply Cancel reply
You must be logged in to post a comment.
Greetings from the Dhaka University IT Society. We are very glad to get you in our every programmes. you are very much respected , honored and venerable to us for your kindness and co operation. We constantly following your website. Thanks Munir vaia.