লুসি হকিং-এর মুখোমুখি

Spread the love
IMG_6334
লুসির অটোগ্রাফ নেওয়া হল তাঁর বই-এ

লুসি হকিং তাঁর বাবার সঙ্গে মিলে একটা সিরিজ লিখছেন। জর্জ নামে এক বালকের এডভেঞ্জার। সেটার প্রথম পর্ব ৩৮টি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে।এবং লুসি হকিং হচ্ছে স্টিফেন হকিং-এর মেয়ে!!!

আমি যখন বুয়েটে পড়তে আসি তখন পর্যন্ত ফিজিক্সে আমার তেমন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু স্বপন দার পাল্লায় পড়ে আমি একটা বিজ্ঞান চেতনা কেন্দ্র নামে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হযে পড়ি। আমাদের কাজ ছিল প্রতি শুক্রবার সিজারদের বাসায় বসে বিজ্ঞানের একটা লেখা পড়া, আড্ডা দেওয়া এবং বিস্কুট খাওয়া। এ জন্য পরে এটিকে আমরা বিস্কুট চেতনা কেন্দ্রও বলতাম। যাহোক ঐ কেন্দ্রকে ঘিরে আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা আছে। তবে, সে অন্য প্রসঙ্গ। সেখানে থাকতে থাকতে একজন হুইল চেয়ারের বিজ্ঞানি একটা বই লিখে ফেলেন এবং বইটা আমাদের কেন্দ্রেও চরে আসে। ফলে, আমারও সেটা পড়া হয়ে যায় এবং আমি তখনই বুঝতে পারি কেন আসলে ভাল ছাত্ররা ফিজিক্স পড়ে। ইন্টারে যদিও আমি ফিজিক্সে ব্যাপক নম্বর পেয়েছিলাম কিন্তু ফিজিক্স কিছুই আসলে বুঝতাম না। এই বইটা পড়ার পর আলী আসগর স্যারের ক্লাসের অনেক কথা বুঝতে শুরু করলাম। তারপর কিনতে শুরু করলাম এরকম যত বই পাওয়া যায়। মুদু হকিং আর হকিংকে নিয়ে লেখা বই পড়ে ফেললাম প্রায় ডজন খানেক। আমি যা পড়ি বা দেখি না কেন সেটা সবার সঙ্গে শেয়ার করার আমার যে দর্শন সেটা তখনও ছিল। কাজে আমি হকিং-কে নিয়ে লিখতে শুরু করলাম। সংবাদ, ভোরের কাগজ হয়ে এখন কিশোর আলো পর্যন্ত প্রচুর লিখেছি। আমি তাঁর সম্পর্কিত বেশিরভাগ তথ্যই জেনে ফেলেছি বলে ভাবতাম।ভোরের কাগজে থাকতে বিবিসিকে দেওয়া হকিং-এর একটা সাক্ষাৎকারও ট্রান্সলেট করে ফেললাম।
IMG_6338কাজে যখন আমি সাদাফের কাছে প্রথম যখন শুনি যে লুসি হকিং আসবেন বাংলাদেশে তখন থেকেই আমি খুবই উত্তেজিত। কাজে প্রথম দফাতে তাঁর সঙ্গে একটা সাক্ষাতের ব্যবস্থা করি। তাঁর সঙ্গে আমার আলাপের অংশবিশেষ আজ প্রথম আলো’র ছুটির দিনে ছাপা হয়েছে। বাকী কিছু ছাপা হবে জানুয়ারির কিশোর আলোতে।
সবার জন্য শুভ কামনা।

Leave a Reply