ই-বুক : স্টিভ জবসের পথ : প্রকাশের আগেই …

Spread the love

steve1এপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কাজের ধরণ, কাজ এবং নানান কীর্তি আমার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতেই ছিল সব সময়। দুবাই এয়ারপোর্ট থেকে দি স্টিভ জবস ওয়ে কেনার সময় একই চিন্তাই ছিল। পরে এটা নিয়ে কয়েক পর্ব লিখেছিলাম। এখন সেই পর্বগুলো আর অপ্রকাশিত পর্বগুলো একত্রে করে একটা ই-বুক তৈরি করছি। সেই ই-বুকের অংশ বিশেষ আমার পাঠাকদের জন্য আগাম জানিয়ে দিলাম-

জর্জ অরওয়েলের বিখ্যাত উপন্যাস নাইনটিন এইটি ফোর প্রকাশ হয় ১৯৪৮ সালে। কিন্ত ১৯৮৪ সাল বললে তার উপন্যাসের কথা মনে আসে অনেকের। এটি হয়তো চিরস্থায়ী হয়ে যেত যদি না স্টিভ জবসের জন্ম না হত। অথবা ম্যাকের জন্মের জন্য তিনি ১৯৮৪কে বেছে না নিতেন। ১৯৮৪ সালের জানুয়ারি মাসে আত্মপ্রকাশ করে এপলের ম্যাক কম্পিউটার। ম্যাকের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে এপলের জন্য একটি এক মিনিটের বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মান করেন রিডলি স্কট।

বিজ্ঞাপনচিত্রটিতে দেখা যায় স্যুট‌টাই পরিহিত একদল কর্মী খাড়া হয়ে একটি অডিটরিয়ামে বসে একটি বড় পর্দার দিকে নিশ্বাস বন্ধ করে তাকিয়ে আছে। সেখানে একজন তাদেরকে লেকচার দিচ্ছে, বোঝা যাবে এইটি নাইনটিন এইটি ফোরের মতো পরিবেশ। নাইনটিন এইটি ফোর -এ সরকার জনগণের মন নিয়ন্ত্রণ করে। হঠাৎ করে টি‌-শার্ট পরিহিতা এক মহিলা এথলেট কুঠার হাতে সেখানে ঢুকে পড়ে এবং তার কুঠারটি ছুড়ে মারে পর্দায়। পর্দা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়, সূর্যের আলোতে ঘর হয়ে যায় আলোকিত আর কর্মীরাও তাদের মোহ ভেঙ্গে উঠে দাড়ায়। ভয়েসওভারে ভেসে আসে : জানুয়ারির ২৪ তারিখে এপল কম্পিউটার চালু করবে ম্যাকিন্টস। এবং আপনি জানবেন ১৯৮৪ সাল কেন নাইনটিন এইটি ফোরের মতো হবে না!!! (On January 24th Apple Computer will introduce Macintosh. And you will see why 1984 won’t be like 1984)।

 

এড এজেন্সির এই এড স্টিভের খুবই পছন্দ হয়, কিন্ত সেই সময়কার এপলের সিইও জন স্কালির হয়নি। আর বোর্ড মেম্বাররা সবাই এটিকে ঘৃণা করেন। তারা সেটির প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। ২২ তারিখে আমেরিকার বিভিন্ন টিভিতে এটা মাত্র একবার দেখানোর জন্য মোট ৮০০,০০০ ডলারে স্লট কেনা হয়েছিল। কিন্তু এপল বোর্ডের নির্দেশে সেটি বাতিল করার চেষ্টা শুরু হল। উপায় নাই দেখে ওজের (স্টিভেন ওজনিয়াক, এপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা) শরনাপন্ন হলেন স্টিভ। ওজ এড দেখে বললো যদি বোর্ড টাকা না দেয় তাহলে সে আর জবস সব টাকা দিয়ে দেবে। কাজে শেষ মূহুর্তে এপলের সেলস ও মার্কেটিং‌এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ফোন কল করে বললেন সে কথা যার কথা লিখতে হলে ইতিহাসে এখন এক পাতার প্রয়োজন হয় “Air It”।

এড প্রচারের পর দর্শকরা স্টান্ট হয়ে যান। আমেরিকার ইতিহাসে এমন এড এর আগে আর কেও দেখে নাই। রাত যত হতে থাকে ততই এই এড নিয়ে আলোচনা হতে থাকে এবং সকল টিভি চ্যানেল বুঝতে পারে এই এডের সংবাদ‌মূল্য! কাজে সকল চ্যানেলের খবরের শিরানাম হয় এই বিজ্ঞাপন চিত্র, এবং প্রায় সব চ্যানেল তাদের সংবাদে পুরো বিজ্ঞাপনচিত্রটি দেখিয়ে দেয় (কম দেখিয়ে কে হারতে চায়!) আর বিনা পয়সায় মিলিয়ন ডলারের প্রচার পেয়ে যায় ম্যাক!!! (এই এডটি এ পর্যন্ত ৪টি বিশ্বসেরার পুরস্কার পেয়েছে।)

ঠিক দুইদিন পর যখন সবাই ঔ এডের কথা ভুলতে পারেনি, তখন নীল রঙ্গের, ডাবল ব্রেস্টেড জ্যাকেট ও টাই পরিহিত স্টিভ একটি থলি থেকে ম্যাক বের করেন আর সেটি বলে, “ Hello, I am Macintosh. Never Trust a computer you cannot lift… I am glad to be out of that bag.” “It is with considerable pride that I introduce a man who has been like a father to me ——– Steve Jobs”. এভাবে জবস শুরু করেন নতুন প্রযুক্তি পণ্যের উন্মোচন প্রক্রিয়া যা এখন হয়ে গেছে নিয়ম!

জানা কথা ম্যাকের বিক্রি কেমন হবে। হলোও তাই। কিন্তু সবকিছু এক প্ল্যান মাফিক হয় না। কাজে এপল ছাড়তে হয় জবসকে ( এই অংশ পড়ার জন্য ই-বুকের জন্য আপনার অপেক্ষা করতে হবে।)

পকেটে ২০০ মিলিয়ন ডলার আর নির্ভার, চিন্তাবিহীন স্টিভ জবস কী করবেন?

বলতে গেলে সকল উদ্যোক্তা, সকল ব্যবসা-ম্যানেজার এবং সকল কোম্পানিকে আগে হোক পরে হোক কঠিন সময়ের ভিতর দিয়ে, ক্রান্তিকালের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। একজনের কোম্পানি থেকে বিশ্বের বৃহত্তম বহুজাতিক কোম্পানির এমন সময় আসে যখন এই ক্রান্তিকাল আসবেই।

আমাদের জবসের জীবনেও এমন সময় এসে উপস্থিত।

মেকিন্টস নিয় যে স্বপ্ন তিনি দেখেছেন সেটি এগিয়ে নিতে চাইলেন। নতুন প্রজন্মের অপারেটিং সিস্টেম আর পাওয়ারফুল কম্পিউটার। শুরু করলেন নেক্সট নামের কোম্পানি।

নেক্সট‌-এ স্বপ্নের মেশিন বানানোর কাজ করছেন তখন সম্পূর্ণ ভিন্নজগতে একটি পাওয়ারফুল কম্পিউটারের খবর পাওয়া গেল। যে লোকটি এ কাজের পেছনে টাকা দিতো সে পুরো সিস্টেম – মানে দলবল, হার্ডওয়্যার আর সফটওয়্যার সবই কারো কাছে গছানোর চেষ্টা করছে নিজের বিবাহবিচ্ছেদের দায় মেটানোর জন্য!
এটি ছিল জর্জ লুকাসের লুকাস ফিল্মের ডিজিটাল গ্রাফিকস ইউনিট। ক্যালিফোর্নিয়ার মেরিন কাউন্টেতে। জবস ছাড়াও সেটি কেনার চেষ্টা করেছেন রস পেরো (প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাড়িয়ে ছিলেন)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি কিনে নিলেন স্টিভ জবস!

ঐ ইউনিটের প্রধান তিন ব্যক্তির একজন হলেন জন লাসেস্টার যে কিছুদিন ডিজনিতে কাজ করেছে এবং অল্প কিছুদিন আগে ঐ ইউনিটে যোগ দিয়েছে। এই ঘটনার কয়েক বছর আগে, এনিমেটরদের বাৎসরিক জমায়েত, সিগগ্রাফে, লাসেস্টার কিছু হই চই ফেলে দিয়েছিল।একটি দেড় মিনিটের ছোট এনিমেটেড ছবি Andre and Walley B. সে সময়ে কোনভাবে কম্পিউটারে মানুষের চেহারায় অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা সম্ভব ছিল না। ফলে এনিমেশনে খালি যন্ত্রপাতি, লোহালক্কর এসবই দেখানো হতো। কিন্তু আদ্রে আর উইলির ব্যাপারটা ছিল অন্যরকম।

এই ইউনিটকে কিনে নিয়ে স্টিভ এর নাম দিলেন পিক্সার (স্পেনিশ ভাষায় To Make Picture)। দেখা হল এর প্রধান দুইজন আসলে কম্পিটারের এনিমেশন নিয়ে যতোটা চিন্তিত ততোটা চিন্তিত নয় খোদ ঐ কম্পিউটারের শক্তি বাড়ানোর ব্যাপারে। অথচ জবস ভেবেছিলেন সেটিই তিনি করবেন। পিক্সার টিমের একটা চ্যালেঞ্জ হলো কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারকে ক্রমাগত উন্নত করা যাতে একটি পূর্ণ দৈর্ঘের এনিমেটেড ফিল্ম বানানো যায়।
১৯৮৬ সালে তারা বানালো Luxo Jr। দুইটি টেবিল ল্যাম্পের গল্প, একটি ছোট আর অপরটি বড়। এখনো পিক্সারের নাম দেখানোর সময় এটি দেখা যায়!!! সিগগ্রাফে ৬০০০ দর্শক শেষ হওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ তালি দিয়ে এটিকে অভিনন্দিত করে।


কিন্তু খালি তালিতে তো পেট ভরে না। ১৯৮৮ সাল নাগাদ নেক্সট আর পিক্সার নিয়ে জবস ভালই বিপদে পড়ে যান। কারণ যদিও পিক্সার টুকটাক আয় করছে কিন্তু প্রতিমাসেই সেখানে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ৪ লাখ ডলারের মতো!

২০০ মিলিন ডলার অনেক টাকা, কিন্তু বসে খেলে রাজার ধনও ফুরায়। কাজে জবস ভাবলেন তাকে রাশ টেনে ধরতে হবে। পরের বোর্ড সভায় জবস বললেন তিনি পিক্সারের খরচ কমাতে চান। কাজে বন্ধ করে দেয়া হোক একটা ইউনিট, কাজ কমানো হোক, লোকও। শেষ পর্যন্ত মিটিং যখন শেষ হবে হবে তখন পিক্সারের বিক্রয় ও বিপননের ভিপি বিল এডামসের একটা এজেন্ডা বাকী ছিল।

বিলের বক্তব্য খুব সহজ। যদি সিগগ্রাফে তারা এবার কিছু দেখাতে না পারে তাহলে তাদের আগের কয়েকবারের সাফল্যের কোন দাম থাকবে না। সবাই ভাববে, পিক্সারের আর কিছু দেওয়ার নাই। কাজে কেহ পিক্সার কিনে নিতে আগ্রহও দেখাবে না। !!!
বিলের যুক্তি শুনে দাড়ানো থেকে বসে পড়েন স্পিভ। তারপর বলেন‌ : আমাকে দেখানোর মতো আপানদের কাছে কিছু আছে?

আছে। লাসেস্টারের Tin Toy। কিছুক্ষণ আলাপ আলোচনার পর নিজের পকেটের করুন অবস্থা স্বত্ত্বেও রাজি হলেন স্টিভ। (পরে আমরা জেনেছি এটি ছিল তার জীবনের সঠিক সিদ্ধান্তগুলির একটি)।

এই এনিমেটেড ছবির নায়কের সব ইমোশন অনেকভাবে ফুটিয়ে তোলা হল। পিক্সার পেল সেরা এনিমেটেড স্বল্প দৈর্ঘের অস্কার পুরস্কার।

এর পরের ঘটনাগুলো দ্রুত বলা যায়।
স্নো হোয়াইট আর সিনডেরেলা বানানোর জন্য পিক্সারের সঙ্গে একাধিক মিটিং‌-এর চেষ্টা করছিল ওয়াল্ড ডিজনি। পিক্সারওয়ালারা সময় দেয়নি। কিন্ত টিন টয়ের সাফল্যের পর পিক্সারের দল একদিন গেল ডিজনির অফিসে। প্রস্তাবনা হল – ডিজনির টাকায় ওরা টিভির জন্য এক ঘন্টার একটি এনিমেটেড ফিল্ম বানিয়ে দেবে।

কিন্তু ওদের আশ্চর্য করে ডিজনি রাজী হলো না!

“না, টিভি নয়। আমরা বানাতে চাই পূর্ণ দৈর্ঘের চলচ্চিত্র।“

একজন প্রকৃত স্বপ্নদ্রষ্টা সবসময় সবধরণের সুযোগের জন্য প্রস্তুত থাকে। যদিও পিক্সারের পক্ষ থেকে টিভির কথা বলা হয়েছে কিন্ত ফিল্ম তাদের লক্ষ্য প্রথম থেকে।
কাজে দ্রুততার সঙ্গে তারা হাজির হলো টয় স্টোরির গল্প নিয়ে! প্রথম যে গল্পের গাথুনি বলা হয়েছে সেটি অনেক পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু নামটা ঠিকই রয়ে গেছে।

পরের পাঁচ বছর টয় স্টোরি বানানোর সংগ্রাম। প্রতিনিয়ত ক্যাশ ফ্লো নিয়ে চিন্তিত জবস, পিক্সার শেষ পর্যন্ত এটি বানাতে পারবে কিনা তাই নিয়ে সবাই শঙ্কিত। তিন মিলিয়ন ডলারের বাজেট যখন ৬ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে তখন মাঝখানে ডিজনি একবার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কারন উডি চরিত্রটি ঠিকমত ফুটছিল না। শেষ পর্যন্ত ৩০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে তৈরি হলো টয় স্টোরি। কিন্তু রিলিজের ডেট বাতিল করলো ডিজনি।

কেন?

কারণ তারা সেটি প্রকাশ করতে চায় ক্রিস্টমাসে!!!

১৯৯৫ সালে রিলিজ হলো বিশ্বের প্রথম এনিমেটেড পূর্ণদৈর্ঘ চলচ্চিত্র টয় স্টোরি। ব্যবসা হলো খালি আমেরিকাতেই ১৯০ মিলিয়ন ডলার আর পৃথিবী জুড়ে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। দাড়িয়ে গেল পিক্সারের সম্পূর্ণ উৎপাদন টিম।
পিক্সার এখন বিশ্বের এক নম্বর এনিমেশন কোম্পানি এবং ২৫ বছরের ইতিহাসে আর কখনো কোন প্রজেক্টে ফেইল করে নাই বা লস খায় নাই।

টয় স্টোরি বানানোর সময় পিক্সারের বাকী দুইটি চ্যালেঞ্চ ছিল কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার আর তার সফওয়্যারের উন্নতি ঘটানো। সেটি তারা করেছেও। কিন্ত দুই লাখ ডলারের কম্পিউটার কে কিনবে? শত চেষ্টা করেও তারা মাত্র ৩০০টি কম্পিউটার বিক্রি করতে পারে। শেষ পর্যন্ত এই ইউনিটটি স্টিভ ভায়াকমের কাছে বিক্রি করে দেন মাত্র ২ মিলিয়ন ডলারে।

পিক্সারের শুরু থেকে বেশিরভাগ মানুষই ধরে নিয়েছিলেন একজন টেকনোলজিস্টের হাতে শিল্পের মৃত্যু ঘটবে। টেকনোলজিস্টরা কখনো আর্ট কালচার বোঝে না। ওরা একটি ছবির আসল সৌন্দর্য বলতে এর কাঠের ফ্রেমের স্ট্রেন্থটা বোঝে! ফলে অনেকে খুব মনোযোগ দিয়ে এই পর্বটা লক্ষ্য করেছে।

১৯৮৪ সালের শেষ থেকে ১৯৯৫ সালের সাফল্যের গল্পের বেশিরভাগই স্টিভের নিজের লড়াই‌এর গল্প। উন্নতমানের হার্ডওয়্যার আর সফটওয়্যার বানানোর লড়াই‌এর পাশাপাশি এনিমেটেড সিনেমা বানানোর এই লড়াই‌এর নানাদিক একজন সত্যিকারের উদ্যোক্তাকে চিনতে খুবই সাহায্য করে।

যে কোন উদ্যোক্তার জীবনে ক্রান্তিকাল আসবে। সাহস না হারিয়ে লড়তে হবে। একই সঙ্গে একাধিক ফ্রন্টে লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। সব ধরণের সুযোগ সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। যারা ভাবে তারাই কেবল এগিয়ে তাদের মতো হলে হারতে হবে। এনিমেটেড ফিল্মের স্বপ্নটা পিক্সারের মূল কর্মীদের দীর্ঘদিনের। স্টিভ চাপ দিয়ে সেটিকে এগিয়ে আনছিলেন। কিন্ত দেখা গেল তাদের ভাবা সময়ের আগেই ডিজনি সেটা বানানোর কথা ভেবেছে! সে সময়ে যদি পিক্সার এই প্রস্তাবে রাজী না হতো তাহলে আজকে আমাকে এই পর্ব লিখতে হতো না।

এপল থেকে নির্বাসিত থাকার সময়ে নেক্সট আর পিক্সারের গল্পে আমরা একজন নতুন স্টিভকে দেখি। টয় স্টোরির সময় স্টিভ তার সৃজনশীল টিমকে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দিয়েছেন, টাকা দিচ্ছেন বলে তাদের ওপর হস্তক্ষেপ করেননি, কিন্ত কাজ আদায় করে নিয়েছেন। (টয় স্টোরি বানানোর নানান গল্প চলচ্চিত্রমোদীদের জন্য শিক্ষনীয়, তবে আমি আর ঐ লাইনে যাচ্ছি না, আমি আবার আর্ট কালচারের লোক নই, পিওর প্রযুক্তির লোক!)। পিক্সারের সাফল্যের গল্প এখনো চলমান যার সিইওর নাম স্টিভ জবস!

সে সময় পিক্সারের পাশাপাশি জবসের অন্য গল্প নেক্সটকে নিয়ে। সেখানকার গল্পই কিন্তু জবসকে আবার ফিরিয়ে এনেছে এপলে।

তবে, সব যদি আমি এখানে লিখে ফেলি তাহলে আমার ই-বুক কে পড়বে? থাকুক সেটা!
সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।

5 Replies to “ই-বুক : স্টিভ জবসের পথ : প্রকাশের আগেই …”

Leave a Reply