উদ্ভাবনের কলকব্জা ৮- এসপার-ওসপার

Spread the love

উদ্ভাবনের কলকব্জা -১: উদ্ভাবন বৈষম্য???

উদ্ভাবনের কলকব্জা ২: বাক্সের বাইরে – ব্যাক টু ব্যাক লেটার অব ক্রেডিট

উদ্ভাবনের কলকব্জা ৩: দেখতে হবে আশে পাশে

উদ্ভাবনের কল-কব্জা-৪ : গোল্লাপূরণের পরীক্ষা

উদ্ভাবনের কলকব্জা-৫ : আমার রাস্তা ঠিক কর

উদ্ভাবনের কলকব্জা ৬ : শেয়ারিং ইনফরমেশন টু এমপাওয়ার সিটিজেন

উদ্ভাবনের কলকব্জা ৭: মোবাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির রেজিস্ট্রেশন

zeroপেপালের সহ-উদ্যোক্তা পিটারের এই বইটা সময় পেলে সবারই পড়া উচিৎ। কয়েকটি কারণে এটি প্রণিধানযোগ্য – উনি খুব স্পস্ট করে কয়েকটা কথা বলেছেন।

১. নতুন প্রজন্মের বিল গেটস কোন অপারেটিং সিস্টেম বানাবে না
২. নতুন মার্কও ফেসবুক বানাবে না যেমনটা সের্গেই বানাবে না কোন নতুন সার্চ ইঞ্জিন।

তাহলে তারা কী বানাবে?

প্রশ্নটা সহজ এবং উত্তরও তাই।

আইবিএম বাক্স বিক্রি করতো, বিল গেটস সেই বাক্সের জন্য অপারেটিং সিস্টেম বানান, সের্গেইরা ডেটার সম্ভাবনা বের করে আনেন , মার্ক বিক্রি করছেন মানুষে মানুষে সম্পর্ক, সৌররা বিশ্বব্যাপী মালামাল স্থানান্তরের বুদ্ধি বের করেছে এলসি ছাড়া, নুরুল কাদের ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি বের করেছেন।
তার মানে হল পরের জনকেও এমন একটা কাজ করতে হবে যা আগে কেও করে নাই।
প্রশ্ন হচ্ছে ঠিক এই জায়গাতে আমাদের সাফল্য কেন কম? বিশেষ কোন কারণ কী আছে?

এই সিরিজে কয়েকটা উদ্ভাবনের গল্প লিখেছিলাম। গোটা কয়েক লিখে আর লিখতে পারি নাই। নতুন করে বিশ্ব উন্নয়ন রিপোর্ট পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছে স্যাররা কেও এ নিয়ে একটা রিসার্চ করতে পারেন।

কেন আমরা ভাবছি একটা গুগল বা ফেসবুক বানাবো? কেন আমরা বলছি না আমরা নতুন একটা “আবজাব” বানাবো। কেন আমাদের চিন্তায় বাউন্ডারী আছে? কেন আমরা একটা ফালতু চিন্তা করছি না যেটা ওগুলোর বাইরে আবার যেটা কী না পারপেচুয়াল মোশন মেশিনও না।
কয়েকটা বই/রিপোর্ট পড়ে এর গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত একটা সাধারণ ফাইন্ডিংস হচ্ছে আমাদের এখানে পড়ার অভ্যাস কম।সেটা হয়োত একটা বড় কারণও যদিও নিশ্চয়ই একমাত্র কারণ নয়। আমি প্রথাগত গবেষক নই তাই হয়তো বলতে পারবো না গবেষণার ইংরেজি কেন রি-সার্চ? এবং কেন যে কোন ধরণের গবেষণার শুরুতে আগে কী হয়েছে সেটা খুঁজে বের করতে বলেন।

এখনকার বেশিরভাগ উদ্ভাবনের ভিত্তি আসলে আমাদের চারপাশ। সেটাকে দেখার একটা চোখ তৈরি হতে হয়। বিল গেটস যেমন ম্যাগাজিনের কভারে ৮০৮৬ এর ছবি দেখে চট করে বুঝতে পেরেছিলেন ওখানেই তার ভবিষ্যৎ। মানে একটা আইডিয়া তখনই ক্লিক করে যখন জানাশোনাটা গভীর হয়। যেটা হয় পড়াশোনাতে।

এক্ষুনি অনেকে হে হে করে তেড়ে আসবে বলবে যে কত আবিস্কার হয়েছে এমন লোকের হাতে যাদের কী না কোন ডিগ্রী নাই। ঠিক, আমি ডিগ্রীর কথা বলছি না। আমি পড়ার কথা বলছি। সেটা না হলে মনে হয় উদ্ভাবনী ইনডেক্সে আমাদের আগানো কঠিন হবে। তখন আমাদের বেশির ভাগ উদ্ভাবনই হবে বিনাতেলে গাড়ি চালানো, পাখা দিয়ে আকাশে ওড়ার যন্ত্রের মতো।

তবে, আমি একা পড়ে তো হবে না। আর কেও কী এ নিয়ে পড়তে আগ্রহী হবে?

সবার জন্য শুভ কামনা।

 

 

Leave a Reply