মার্কেটিং এর হাট : উদ্যোক্তা হাট
উদ্যোক্তার যন্ত্রণার কথা লিখেছি সকালে। সেটি হলো মার্কেটিং-এর যন্ত্রণা।
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বাজেট স্বল্পতার জন্য তাদের পক্ষে বড় কিছু করা কঠিন যেমন কঠিন বড় কোন মেলায় যোগ দেওয়া। বাণিত্য মেলাতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। এমনকী যে সব মেলা প্রফেশনালী হয়, মানে মেলাই একটি ব্যবসা উদ্যোগ, সেখানেও যোগ দেওয়া কঠিন হয় টাকার জন্য।
এর তেকে উত্তরনের সহজ একটা বুদ্ধি হলো নিজেরা নিজেরা একটা মেলা করা। এটির বাজেটারি এলোকেশন থাকবে এরকম – ভ্যেনু আর বেসিক সাজসজ্জা এবং কয়েকজনের দৌড়ঝাপের খরচ সবাই মিলে ভাগ করে দিয়ে দেওয়া হবে। আর যদি কোন খান থেকে স্পন্সরশীপ বা পার্টনারশীপ পাওয়া যায় তাহলে সেটা খরচ করা হবে মার্কেটিং পারপাসে।
চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব গ্রুপ থেকে এর আগে দুইটি পাইলট করা হয়েছে এবং তাতে দেখা গেছে এতে আখেরে উদ্যোক্তাদের ভালই লাভ হয়। যেমন প্রথম হাট উদ্বোধন করতে এসেছিলেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। তিনি গদিঘর নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পন্য এতই পছন্দ কররেন যে, বার্মায় যাবার সময় অং সান সুচির জন্য অনেক কিনে নিয়ে গেলেন।
আমাদের মিডিয়া বন্ধুদের সহায়তায় হাটের খবরটা অনেক জায়গাতেই পৌছে। ফলে, হাট একটা সত্যিকারের হাটে পরিণত হয়। এতে অনেক লোক আসে এবং ব্যবসা-ব্যবসা এবং ব্যবসা-গ্রাহক সম্পর্ক তৈরি হয়।
ই-কমার্সওয়ালাদের ক্ষেত্রে অনেক রেগুলার কাস্টোমার মেলায় এসে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে যান। এগুলো হলো ডিরেক্ট লাভ।
এছাড়া কিছু সেলসও হয়। যদিও সেটা মুখ্য নয়। মুখ্য হরো মার্কেটিং। কিন্তু রথ দেখার সঙ্গে কলা বেচা হলেও তো খারাপ হয় না।
এবারের মেলা হবে আগামী ১৬-১৭ এপ্রিল ২০১৬। এটি বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে। হবে ধানমন্ডি ২৭-এর ডব্লিউ ভি এ অডিটরিয়ামে। যারা যোগ দিতে চায় তারা এই ফর্মে গিয়ে আবেদন করতে পারে।
একটি ইভেন্টও খোলা হয়েছে যেখানে কয়েকদিন পরে হয়তো আলাপটা জমে উঠবে।
যা যা বলা হলো তার বাইরে আরো যা কিছু মেলাকে কেন্দ্র করে করা হবে তার মধ্যে রয়েছে – মেলার আগেভাগে প্রেস কনফারেন্স, বিভিন্ন মিডিয়াতে উদ্যোক্তাদের সাক্ষাৎকার ইত্যাদি প্রকাশ, ডিজিটাল ও প্রিন্টমিডিয়াতে হাটের বিজ্ঞাপন।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আবেদনের সময় শেষ হযে যাবে। তারপর আবেদনকারীদের মধ্যে লটারী করে স্টল/প্যাবিরিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হবে। তারপরই শুরু হয়ে যাবে হাটের মানে উদ্যোগসমূহের মার্কেটিং।
যারা যারা অংশ নিতে চায় তাদের স্বাগত।