জুতা বেঁচে জুতা দান!!!
২০০৬ সালে ব্লেইক মাইকোস্কি আর্জেন্টিনা বেড়াতে গিয়ে একটা বেদনার মুখোমুখি হোন। তিনি দেখলেন আর্জেন্টিনার গরিব অনেক ছেলে-মেয়ে টাকার অভাবে জুতা কিনতে পারে না। খালি পায়ে থাকার ফলে তাদের নানান স্বাস্থ্য সমস্যা হয়। ব্লেইক সাহায্য করবেন ঠিক করলেন। তবে, সবাইকে অবাক করে দিযে তিনি কোন দাতব্য প্রতিষ্ঠান খুললেন না। বরং চালু করলেন একটি নতুন ফর-প্রফিট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের নাম দিলেন TOMS Shoes (which stands for “Tomorrow’s Shoes”)। এবং অঙ্গীকার করলেন এক জোড়া জুতা বিক্রি হলে তিনি এক জোড়া জুতা ঐ গরিব বাচ্চাকে দেবেন। ২০০ জোড়া জুতা দিয়ে শুরু করে টমস এখন উচ্চস্তরের জুতার ব্র্যান্ড।
মার্কেটিং-এর অনেক নতুন টেকনিক তিনি বের করেছেন। তার একটা হল দুই পায়ে দুই রকম জুতা পড়া। উদ্দেশ্য হল – তাতে লোকে অবাক হয়ে জানতে চাই – দুই রকম জুতা কেন?
তখন ব্লেইক তার গল্প বলতে পারে।
প্রথাগত ব্যবসার ধ্যান ধারণার উল্টোদিকে ব্লেইক নতুন কয়েকটি মন্ত্র নিয়ে ব্যবসাতে নেমে পড়েছেন –
ব্যবসা ব্যক্তিগত করো
সম্পদছাড়ায় সম্পদশালী হও
অবসরকে ঘুরিয়ে দাও
সহজ রাস্তা ধরো
বিনয়ী হও
বেশি বিলাও, কম বিজ্ঞাপন দাও
তো ব্লেইক এই বইতে সবাইকে এমন কিছু করার পরামর্শ দিয়েছেন যা একটা কিছু মিন করে, স্রেফ ফাও জীবন কাটানোর দরকার নাই।
মাত্র ১৯ দিনের জনই দেশে এসেছিল তানিন। আসার সময় আমর জন্য দুইটা বই নিয়ে এসেছে। তার একটি হল এটি।
যারা নতুন কিছু করতে চাও তাদের এখন আমি দুইটা বই পড়তে বলবো একটা হলো পেনসিলের প্রতিশ্রুতি আর একটা হলো এই বইটা।
সবার জন্য শুভ কামনা।
2 Replies to “জুতা বেঁচে জুতা দান!!!”