মোর নাম এ বলে খ্যাত হোক, আমারও আছে টিকটক

Spread the love

একটি কোলাহলপূর্ণ বিপনিবিতান। ক্যামেরা চলন্ত সিড়ের নিচ থেকে মাঝামাঝি এসে স্থির হয়ে যায়। চিনা বংশোদ্ভুত গায়ক মিছেল লীকে দেখা যায় ওর ছোট ভাই-এর সঙ্গে। তাদের শরীর নাচের ভঙ্গিমায় নেচে বেড়াচ্ছে। নাচের মুদ্রা মিচেল লি-এর আহি এলবামের গানের সুরে। মাত্র ১৫ সেকেন্ড ধরে নাচ। ভিডিও’র অফিসিয়াল টাইটেলে লেখা “We are the CEO of this songs”। আর এই ছোট্ট ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে এখন পর্যন্ত ২৩ কোটিবার দেখা হয়েছে। আর এটি লাইক পেয়েছে দুই কোটি ১৫ লক্ষ!
এই অল্পবয়সী চীনা মাধ্যমটি সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে তারা জানেন টিকটক এমনই। এখানে সেসব কিছুই জনপ্রিয় হয় যা আপনি চাইলেও কোন তত্ত্বকথা দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারবেন না।
গত কিছুদিন ধরে এই টিকটক নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে। কাকতালীয়ভাবে একই সময়ে বাংলাদেশেও একজন টিকটকারকে (যারা টিকটকে ভিডিও তৈরি করে তাদের বলা হয় টিকটকার) পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছে।
এর মধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রপতি সেই দেশে টিকটক এবং আর একটি চীনা এপ উইচ্যাট নিষিদ্ধের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন যা ৪৫ দিন পরে কার্যকর হবে। এই সময়ে বিল গেটসের  তৈরি করা প্রতিস্ঠান মাইক্রোসফট জানিয়েছে তারা টিকটকের মার্কিন অংশসহ কয়েকটি দেশের ব্যবসা কেনার কথা ভাবছে। ফেসবুকের সহ-প্রতিস্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ঘোষণা করেছেন ফেসবুকের সতীর্থ ইনস্টাগ্রামে টিকটকের অনুরূপ ভিডিও শেয়ারিং সেবা রীল ছাড়া হবে। এই ঘোষণায় বিনিয়োগকারীরা ফেসবুকে হুমড়ি খেয়ে পড়াতে এর শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬%। ফলে ফেসবুকের ১৩% শেয়ারের মালিক মার্ক জাকারবার্গ বিশ্বের তৃতীয় ধনবুকের হিসাবে একশো বিলিয়ন ডলার সম্পদ (সেন্টিবিলিয়নিয়ার) ক্লাবে যোগ দিয়েছেন।

টিকটক কী

টিকটক একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেখানে ব্যবহারকারীরা ১৫ সেকেন্ড দৈর্ঘের ভিডিও তৈরি করে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করে। ভিডিও শেয়ার নতুন কিছু নয়। ফেসবুক বা টুইটার ব্যবহারকারীরা হরদমই এটি ব্যবহার করেন। কিন্তু টিকটকের ব্যবহারকারীরা ভিডিও রেকর্ড করা থেকে শুরু করে এতে বিশেষ ইফেক্ট, শব্দ বা মিউজিক যোগ করার কাজটি অতি সহজেই করে ফেলতে পারে। এ জন্য তাদেরকে অন্য কোন এপ বা প্রোগ্রামের শরণাপন্ন হতে হয় না। এ কারণে কিশোর-তরুণ বিশেষ করে মিলেনিয়াম প্রজন্ম এটিকে দ্রুত কব্জা করেছে। চীনা ইন্টারনেট স্টার্টআপ বাইটড্যান্স যার বাজার মূল্য বর্তমানে ৭৫ বিলিয়ন ডলার টিকটকের পেছনের প্রতিস্ঠান। টিকটক অবশ্য ভিডিও শেয়ারিং-এ প্রথমও নয়। গানের সঙ্গে ভিডিওর ব্যাপারি প্রথম বাজারে আনে মিউজিকাল.লি নামে একটি এপ ২০১৪ সালে, চিনের সাংহাইতে। চীনা হলেও সেটির পশ্চিমা ব্যবহারকারী ছিল প্রায় কোটি খানেক। ২০১৬ সালে বাইটডান্স দাওভিন নামে একই রকম একটি এপ চালু করে চীন ও থাইল্যান্ডে  যা এক বছরে ১০ কোটি ব্যবহারকারী যোগাড় করে ফেলে। ২০১৮ সালে বাইটড্যান্স বিশ্ববাজারকে সামনে রেখে মিউজিকাল. লি কিনে নেয় এবং সেটিকে পরিমার্জন করে টিকটক (Tiktok) নামে সবার জন্যজন্য উন্মুক্ত করে।

জনপ্রিয়তার কারণ
সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তার কয়েকটি নির্দেশক আছে। এর একটি হলো ব্যবহারকারীর সামনে কোন কোন আকর্ষনীয় কন্টেন্ট উন্মোচিত হচ্ছে। ফেসবুক এই কাজটি করে তার নিউজফীডে, টুইটার তার টুইট হোমে। দ্বিতীয় হচ্ছে এই ধরণের ব্যবহারকারীদের বানানো কন্টেন্টের মধ্যে কোনটির ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি সেগুলোকে সামনে ঠেলে দে্ওয়া। সব সামাজিক মাধ্যম নিজ নিজ এলগোরিদমের  (বাছাই করার নির্দেশিকা)  মাধ্যমে এই কাজটা করে।

টিকটকের বাহাদুরী হলো কৃত্রিমবৃদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে এমন একটি এলগোরিদমের উন্নয়ন যা তাদেরকে এগিয়ে রেখেছে। ব্যবহারকারীরা তাদের ভিডিওর সঙ্গে বিশাল এক গানভান্ডার থেকে মিউজিক, গান যেমন যোগ করতে পারে তেমনি পারে সিনেমার ক্লিপও যোগ করতে। সেটি প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিকটকের এলগোরিদম সহজে বের করে ফেলে ব্যবহারকারী এরপর কোনটি দেখতে চায় বা চাইতে পারে।

এই কাজের বিশেষ এলগরিদম ব্যবহারকারীর অতীতের পছন্দ, তারমতো অন্যদের পছন্দ (নেইবারহুড) এবং ট্রেন্ডের সঙ্গে মিল রেখে এমন কিছু দেখায় যা ব্যবহারকারী ‘এনগেজ (ব্যবহারকারী দেখে, লাইক দেয় বা শেয়ার ইত্যাদি করে)’ করে রাখবে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো আপনাকে ওদের সঙ্গে লেপ্টে থাকর ব্যবস্থা করা। যেমন ফেসবুকের ব্যবহারকারী গড়ে প্রতিদিন ৩৮ মিনিট ফেসবুক ব্যবহার করেন।
কিন্তু টিকটক কিন্তু শুধু সম্পর্কিত ভিডিও দেখায় না। তাদের সফটওয়্যার নতুন ভিডিওর ভাইরালিটি (ইন্টারনেটে কোন কন্টেন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়াকে ভাইরাল হওয়া বলা হয়) উপাদানও শনাক্ত করতে পারে। কিন্তু অন্যদের দেখানোর সময় এই ভিডিওর নির্মাতার সঙ্গে কারা কারা যুক্ত এই বিষয়টি বিবেচনাতে নেয় না। এর ফলে কোনভাবে সম্পর্কযুক্ত নন এমন ব্যবহারকারীও বিশেষ কোন ভিডিও দেখার সুযোগ পেয়ে যায় যা ফেসবুক বা টুইটারে সম্ভব নয়। এতে টিকটকের ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে নেটওয়ার্ক জুড়ে। আর এভাবে টিকটক তার ব্যবহারকারীকে দৈনিক ৫২ মিনিট আটকে রাখে! ব্যবহারকারীরা একই সঙ্গে নিজেই একইরকম ভিডিও তৈরি করতে শুরু করে। এই জন্য তারা অনেক নতুন নতুন গান, মিউজিক ব্যবহার করে। একই রকম ভিডিও কন্টেন্ট পছন্দ করেন এমন লোকেরা টিকটকে নিজেদের সম্প্রদায়ও (কমিউনিট) গড়ে তুলে। টিকটক এপ চালু হলে যে স্ক্রীনটি আসে যেটিকে বলা হয় “ফর ইয়ু” পেজ। এখানেই টিকটক তার এলগোরিদমের রেজাল্ট অনুসারে ব্যবহারকারীর জন্য “কাঙ্খিত” ভিডিওর পসরা সাজিয়ে রাখে।

জনপ্রিয়তার স্রোত

টিকটক এবং এর সহোদর দাউবিন এপ দ্রুত জনপ্রিয় হতে থাকে। এই এপ্রিলে টিকটকের ডাউনলোড ২০০ কোটি ছাড়িয়েছে। শেষ ৫০ কোটি ডাউনলোড হয়েছে মাত্র পাঁচমাসে! টিকটকই ২০১৪ সালের জানুযারি মাসের পর ফেসবুক এবং তাদের হোয়াটস এপ, মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামের পর প্রথম এপ যা ২০০ কোটি ডাউনলোডের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। (জিমেইল ও ইউটিউবের ডাউনলোড ৫০০ কোটির বেশি হলেও এই এপ সকল এনড্রয়েড ফোন ও ট্যাবলেটের সঙ্গেই থাকে। এ কারণে এদের ডাউনলোড হিসের করা হয় না)।
এখন ১৫৫টি দেশের ৭৫টি ভাষাতে টিকটকের ব্যবহারকারী হয়েছে ৮০ কোটি। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কিন্তু ভারতে। ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৪১ শতাংশের বয়স ১৬ থেকে ২৪ বছর। ফলে তরুণদের জন্য এই প্ল্যাটফর্ম প্রতিদিনই আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। আর জনপ্রিয়তার কারণে বিজ্ঞাপনওয়ালারাও টিকটকের দিকে বাড়তি নজর দিতে শুরু করেছে। যদি এর বিজ্ঞাপন দাতারা এখনও বেশিরভাগ চীনের তবুও বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞাপনদাতারাও এই দিকে নজর দিতে শুরু করেছেন। আমেরিকা থেকে টিকটকের রাজস্ব এরই মধ্যে ৮৬.৫ মিলিয়ন ডলারে পৌছেছে। বাইটড্যান্সের আর্থিক ভিত্তিও সংহত। এর  বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে Bank of China, Bank of America, Barclays Bank, Citigroup, Goldman Sachs, JP Morgan Chase, UBS, SoftBank Group, General Atlantic, and Sequoia Capital China  ইত্যাদি।

নিষিদ্ধের খড়গ

পর্নোগ্রাফির অভিযোগ তুলে ভারত গত বছর এপ্রিল মাসে টিকটক নিষিদ্ধ করে। কিন্তু ৬ দিনের মাথায় আদালতের রায়ে টিকটক নিজের আসন ফিরে পায়। কিন্তু সম্প্রতি চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সংঘাত নতুন করে ভারত-চীনের সাইবার যুদ্ধ উস্কে দেয়। এর ফলাফল হিসাবে জুন মাসের ২৯ তারিখে ভারত টিকটক সহ ৫৯টি চীনা এপ নিষিদ্ধ করে। পরে আরও ৬০টি এপও তারা নিষিদ্ধ করেছে। এই সময় ভারত প্রথম টিকটকের বিরুদ্ধে “জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ ট্যাগ ব্যবহার করেছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটকের বিরুদ্ধে জনগণরে ডেটা চুরির অভিযোগ করেছেন। টিকটকের প্রাইভেসি পলিসিতে দেখা যাচ্ছে ব্যবহারকারীদের অনেক ডেটা টিকটক নিয়ে থাকে। এগুলো হচ্ছে ব্যবহারকারীর লোকেশন (আইপিএড্রেস, ইন্টারনেট ক্যারিয়ার), ব্যবহৃত ফোনের মডেল ও অপারেটিং সিসটেম, ব্রাউজিং-এর ইতিহাস, বিজ্ঞাপনদাতার জন্য কাঙ্খিত তথ্য, কোন ভিডিওগুলো দেখা হচ্ছে ও সম্পর্কিত ভিডিওর তথ্য ইত্যাদি। এমনকী কোন ছন্দে ব্যবহারকারী কী বোর্ডে টাইপ করছে সেটিও তারা রেকর্ড করে থাকে।
টিকটকের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগের অন্যতম কারণ সম্ভবত চীনা কমিউনিস্ট সরকার। অভিযোগ রয়েছে সকল বড় চীনা কোম্পানিতে একটি সেল থাকে যারা চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কাছে জবাবদিহী করে। ফলে সরকার যে কোন সময় যেকোন তথ্য সহজে নিতে পারে। ট্রাম্পের অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গে বাইটড্যান্স জোরের সঙ্গে বলেছে সরকার চাইলেও তারা কোন তথ্য সরকারকে দেবে না। এছাড়া অন্য যে কোন প্রযুক্তি কোম্পানির প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে তারা একটি নতুন প্রস্তাবও দিয়েছে। সেটি হলো তারা যে কোন আন্তর্জাতিক টিমকে তাদের কোড দেখতে দিবে যাতে তারা তথ্য সংগ্রহ সংক্রান্ত ব্যাপারটা বুঝতে পারে।

তবে ট্রাম্পের ক্ষ্যাপার কারণের আরও একটি হলো চীনের রাষ্ট্রীয় নীতির কারণে বেশিরভাগ মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিস্ঠানের চিনে প্রবেশাধিকার না পাওয়া। ফলে চীনে তাদের ব্যবসা সংকুচিত হয়ে পড়ে। কিন্তু চীনা কোম্পানিগুলো এরকম কোন বাঁধার সম্মুখীন হয় না। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে চীন সরকার টিকটকের সংগ্রহ করা ডেটা ব্ল্যাকমেইল বা এসপায়োনাজের জন্য ব্যবহার করতে পারে। উল্লেখ্য এর আগে  ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকায় চীনা প্রযুক্তি প্রতিস্ঠান হোয়াওয়ে ও জেডটিই(ZTE) কে নিষিদ্ধ করে।

মাইক্রোসফট কী টিকটক কিনবে?
কিছুদিন ধরে টিকটকের মার্কিন এবং অন্যান্য কয়েকটি দেশের ব্যবসা কিনে নেওয়ার কথা ভাবছে মাইক্রোসফট। টিকটকের মতো একটি হালকা মেজাজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কেনার ব্যাপারে মাইক্রোসফটে আগ্রহ বিশ্লেষকদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে আলাদা করে। কারণ বড়দের অঙ্গনে মাইক্রোসফটের অবস্থান দৃঢ় বলা যায়। বিশেষ করে মাইক্রোসফট অফিস এবং তাদের অন্যান্য সফটওয়্যার এখনও যথেষ্ট টাকা আয় করতে পারে যার ফলে মাইক্রোসফট ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হওয়ার পথে। কিন্তু বিশ্লেষকরা খেয়াল করেছেন গুগলের আগ্রাসী নীতি, স্মার্টফোনের ওপর কর্তৃত্ব একটি নতুন প্রজন্ম তৈরি করছে যারা ব্রাউজার হিসাবে গুগলের ক্রোম যেমন ব্যবহার করে তেমনি লেখালেখি বা হিসাব নিকাশের জন্য গুগল ডকের ওপর ক্রমাগত নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। তরুণ জনগোস্ঠীর মধ্যে নিজেদের নতুন করে প্রবেশ করানোর জন্য মাইক্রোসফট হয়তো মাইক্রোটক (টিকটক অধিগ্রহণরে পর এ নাম হতে পারে?) করার কথা ভাবছে। তবে নাম যাই হোক ১০ কোটিরও বেশি টিকটকের মার্কিন ব্যবহারকারীকে বাঁচানোর জন্য মাইক্রোসফটকে সবকিছু করতে হবে আগামী ৪০ দিনের মধ্যে।

আমারও আছে টিকটক

বাংলাদেশে টিকটক

বাংলাদেশে স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিশোর তরুণদের মধ্যে টিকটকের জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। দেশে এরই মধ্যে বেশ কিছু টিকটকার গণমাধ্যমে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছেন। সম্প্রতি একজন টিকটকার অপুকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অভিযোগ রয়েছে অপু তার দলবল নিয়ে রাস্তা আটকে টিকটকের ভিডিও ধারণ করছিল এবং যানবাহন ও পথচারীদের বাঁধা দিয়েছে। কেউ কেউ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে টিকটকের মতো নজরদারীবিহীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর আশকারা রয়েছে বলে মনে করেন। এর আগে ভারতের মতো পর্নোগ্রাফীর অভিযোগে বাংলাদেশেও টিকটককে আটকে দেওয়া হয়। সে সময় টিকটক কর্তৃপক্ষ অনেক  ভিডিও মুছে ফেলার কথা জানিয়েছে। টিকটকার অপুর গ্রেফতারের পর টিকটক অপুসহ চারজনের একাউন্ট বাতিল করেছে বলে জানা গেছে।

যুক্তরাস্ট্র ও ভারতে টিকটকের শেষ পরিণতি যাই হোক না কেন এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও বানানো ও শেয়ার করার এপ একটি প্রজন্মকে এরই মধ্যে অনেকাংশে প্রভাবিত করে ফেলেছে। আগামীদিনগুলোতে কম বয়সী টিকটক এই খাতে আরও প্রভাব বিস্তার করবে একথা নিসন্দেহে বলা যায়।

 

 

 

 

One Reply to “মোর নাম এ বলে খ্যাত হোক, আমারও আছে টিকটক”

Leave a Reply