নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তথ্য প্রযুক্তি : গ্লোবাল রিপোর্টে বাংলাদেশ

Spread the love

mobileগেল কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ মোবাইল এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এক অনন্য রেকর্ড সৃষ্টি করে চলেছে। এখন প্রায় ১০ কোটির বেশি মোবাইল ব্যবহার কারী এবং ৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে দেশে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। তবে, মুশকিল হচ্ছে আমাদের দেশে ডেটার তেমন কোন ব্যবহার নেই। এই যে ১০ কোটি মোবাইল ব্যবহারকারী এদের মধ্যে মেয়ে কতজন আমরা কেও জানি না। কেন?
কারণ ব্যবহারকারীর তথ্য সংরক্ষণ করার সময় সেরকম কিছু সংরক্ষণ করা হয়নি। মজার বিষয় হল ফর্মের সব তথ্য যে, গোনাগুনতির জন্য রাখা হয় না সেটা জেনেছি যখন ২০১৩ সালের গ্লোবাল ইনফরমেশন সোসাইটির রিপোর্ট লেখার কাজটা নিয়েছিলাম। দেখা গেল, আমাদের জেন্ডার স্পেসিফিক কোন ডেটাই নেই। খুজে টুঁজে ফেসবুকের কিছু ডেটা সে সময় পাওয়া গেছে যেখানে দেখা গেল মেয়েদের সংখ্যা মোট ব্যবহারকারীদের তুলনায় ২০%। অাশ্য ফেক একাউন্টের সংখ্যা সম্পর্কে এখানে কোন হিসাব করা যায় না। আবার ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে ৩০ হাজার একটিভ যারা তাদের মধ্যে ১২০০ মাত্র মহিলা! ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে অবশ্য ১৫% মহিলা। বিকামেরটা জানি না। জিএনআরের একটা গবেষনায় দেখা গেছে আমাদের ব্যবহারকারীরা হয় ই-মেইল লেখে বা পড়ে, না হয় স্যোসাল মিডিয়াতে সময় কাটায় অথবা ব্রাউজ করে। যাকগে, ধান ভানতে শিবের গীত অনেকখানি হয়ে গেল।

 

 

 

বিষয় হচ্ছে ইন্টারনেটে আমাদের মেয়েদের স্বাচ্ছন্দ্য কতটা। আমাদের নীতি, আইন বা প্রথা আমাদের ইন্টারনেট জগৎকে কি লঙ্গ নিরপেক্ষ করেছে না করতে পারে। বিস্তারিত রিপোর্টের লিংকটা আমি নিচে দিয়ে দিলাম। আগ্রহীরা সেটা পড়তে পারে। তবে, এই রিপোর্টের একটা সুফল আছে। মোবাইল ব্যবহারকারীদের জেন্ডার ইনফো  না পেয়ে বিটিআরসিতে মেইলা-মেইরি আর ফোনাফুনি করেছিলাম। তাতে, তারা অপারেটরদের এই হিসাব করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। এটাই বা কম কী।

এই রিপোর্ট লিখেছে পার্থ সরকার, রেজিনা আখতার, সানজিদা জাকির এবং আমি।

Logo_3

বাংলাদেশের রিপোর্ট পড়া যাবে এখানে।

 

Leave a Reply