ইংরেজি ছাড়া তো কিছুই হবে না দেখছি!!!

বুয়েট পড়তে এসে আমিপ্রথম টোফেল, জিআরই এসবের কথা জানতে পারি। আমি বড় হয়েছি, বাংলাদেমের সবচেয়ে বড় গ্রাম, চট্টগ্রামে। সেখানে আমরা “খাইয়ুম গোস্ত মাইজ্জুম লাফ, গাউছল আযম মাইজভান্ডার” করেই বড় হয়েছি। বুয়েটে আসার আগে কিছু পড়ামোনা করলেও সেগুরো আউটবই-এ পরিপূর্ণ ছিল। আর বাইরে পড়তে যাবো এমন একটা চিন্তাও ছিল না। থার্ড ইয়ার ফোর্থ ইয়ার থেকে লক্ষ...

Categories আবজাব Tags

প্রোগ্রামিংয়ের আনন্দ: স্কুলের ছেলে মেয়েরা : মুহম্মদ জাফর ইকবাল

আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, মাস্টার্সে পড়ি। আমাদের স্যাররা একদিন ঠিক করলেন আমাদের কম্পিউটার শিখতে হবে। শুনে আমরা খুবই উত্তেজিত, কম্পিউটারের নাম শুনেছি, কখনও দেখিনি; সত্যি কথা বলতে কী জিনিসটা দেখতে কেমন সেটা নিয়ে কোনো ধারণাও নেই। মাঝে মাঝে কাউকে কাউকে দেখেছি বিশাল কম্পিউটার ‘প্রোগ্রাম’ ঘাড়ে করে নিয়ে যাচ্ছেন- শুনে যারা অবাক হচ্ছে তাদের বলছি,...

ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ- পর্ব-১৫ : চাকরিটা আমি ছেড়ে দিচ্ছি, বেলা শুনছো?

 পর্ব-১৪ : ইয়্যু উইন সাম, ইয়্যু লস সাম-২ – নিজের কোম্পানি সেদিন সকালবেলা থেকে আমি খুব নার্ভাস। আজকেই আমার ওরাকলে চাকরি ছাড়ার দিন। বসকে বলবো, “চাকরিটা আমি ছেড়ে দিচ্ছি”। অফিসে এসে নিজেকে প্রস্তুত করতে শুরু করলাম। আধা ঘণ্টা ধরে হাঁটাহাঁটি করলাম, চেষ্টা করলাম, নিজেকে তৈরি করলাম এবং তারপর শেষ পর্যন্ত সাহস সঞ্চয় করে তার অফিসের...

পর্ব-১৪ : ইয়্যু উইন সাম, ইয়্যু লস সাম-২ – নিজের কোম্পানি

পর্ব-১৩ : ইয়্যু উইন সাম, ইয়্যু লস সাম-১ আমাদের ওয়েবসাইট কোম্পানির কয়েকজন গ্রাহক দরকার। আমাদের নিজেদের একটা বুদ্ধি ছিল কীভাবে আমরা আমাদের গ্রাহক যোগাড় করবো্। প্ল্যানটা হল প্রথমে আমরা স্থানীয় চেম্বার অব কমার্সকে তাদের ওয়েবসাইট বানিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেব, নিখরচায়। তারপর চেম্বারের ব্যবসায়ীদের বলবো – দেখো তোমাদের চেম্বারই তাদের ওয়েবসাইট আমাদেরকে দিয়ে বানিয়েছে। তোমারা চাইলে...

পর্ব-১৩ : ইয়্যু উইন সাম, ইয়্যু লস সাম-১

পর্ব-১২ আমার আর সঞ্জয়ের চাকরি হল ওরাকলে। আমার আরো অফার ছিল। তবে, ওরাকল যে কেবল সবচেয়ে বেশি টাকা দিচ্ছে তা নয়। বরং তারা আমাকে টাকা দিচ্ছে যাতে আমার কলেজ জীবনের সকল স্থাবর সম্পত্তি আমি ক্যালিফোর্নিয়ায় নিয়ে যেতে পারি। শুধু তাই নয়, আমাকে আর সঞ্জয়কে তারা বিনে পয়সায় তাদের কর্পোরেট হাউসিং-এ থাকতে দিয়েছে, নতুনদের প্রশিক্ষণ সময়কালটাতে।...

ডেলিভারি হ্যাপিনেজ ১২ : কলেজের শেষ দিনগুলি

আগের পর্ব আমার সিনিংর ইয়ারে রুমমেট সঞ্চয় আমাকে একটা নতুন জিনিষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়- ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব(www)। আমি একবার ভাবলাম এটিকে নানান দিক থেকে এক্সপ্লোর করাটা নিশ্চয় অনেক মজার হবে। কিন্তু আমি এই কাজে বেশি মনোযোগ দিলাম না! অন্য সকল সিনিয়রের মতো আমারও লক্ষ্য ছিল গ্র্যাজুয়েশন শেষ হওয়ার আগে একটা চাকরি যোগাড় করা। দেশের...

ডেলিভারি হ্যাপিনেজ  ১১ : আমার বন্ধু আলফ্রেড

আগের পর্ব আলফ্রেড আসলে আমাদের পিৎজার এক নম্বর কাস্টোমার। প্রতিরাতেই সে একটা লার্জ পিৎজা অর্ডার করতো। কলেজে আলফ্রেডের দুইটা নিকনেম ছিল- হিউম্যান ট্র্যাশ কমপ্যাক্টর এবং মনস্টার। প্রতিবার আমরা ১০ ১২ জন মিলে চাইনীজ কং রেস্তোরায় খেতে গেলে আলফ্রেডের মহিমা বোঝা যেত। আমরা যা খেতে পারতাম না, প্লেটে রেখে দিলাম, আলফ্রেড একাই সব খেয়ে ফেলতো! আমি...

ডেলিভারি হ্যাপিনেজ ১০ : কলেজে নিজের ব্যবসা

আগের পর্ব কলেজে আমি নানান কিছু জানতে, শিখতে এবং করতে শিখলাম। কলেজে একটা ফিল্ম সোসাইটি ছিল। তারা স্কুল অডিটরিয়ামে সিনেমা দেখাতো দর্শনীর বিনিময়ে। আয়-বরকত ভালই। আমার এক বন্ধুর ছিল গো-খামার। একদিন সেখানে গিয়ে কাটালাম। দেখলাম কীভাবে গাভীকে দোহন করে দুধ পাওয়া যায়! একদিন আইস স্কেটিং করতে গিয়ে পড়ে গেলাম। আমার চিবুক গেল কেটে, রাতের বেলায় করতে...

ডেলিভারি হ্যাপিনেজ ৯ : কত রবি জ্বলেরে? কেবা আখি মেলে রে?

আগের পর্ব হাইস্কুল শেষে আমি কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য ব্রাউন, ইউসি বার্কলে, স্ট্যানফোর্ড, এমআইটি, প্রিন্সটন, কর্নেল, ইয়েল এবং হার্বার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করি। এবং সবগুলোই ভর্তির সুযোগ পাই। এর মধ্যে ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে একমাত্র বিজ্ঞাপনে মেজর করার সুযোগ আছে। আমার মনে হয়েছে বিজ্ঞাপনই মনে হয় ব্যবসার সরাসরি কাছের কোন ব্যাপার। কাজে ব্রাউনই ছিল আমার প্রথম পছন্দ। কিন্তু...

ডেলিভারি হ্যাপিনেজ- ৮: শেখার আছে অনেক কিছু

আগের পর্ব স্কুলে থাকতে থাকতে আমি জিডিআই থেকে ভালো আয় রোজগার করেছি। কিন্তু আমি সবসময় আমার বোতাম ব্যবসার কথা ভাবতাম। আমার মনে আছে আমি কত উত্তেজনা নিয়ে ডাক হরকরার জন্য অপেক্ষা করতাম। আমি ভাবলাম, যে কোম্পানি থেকে আমি বোতাম তৈরির মেশিনটা কিনেছি তারা নিজেরাও এই ব্যবসা করতো। কারণ আমি তো বয়ে’জ লাইভ ম্যাগাজিন থেকে তাদের...

ডেলিভারি হ্যাপিনেজ-৭ : যত ধান্ধা তত টাকা

আগের পর্ব স্কুলে আমার একটা ধান্ধা ছিল কেমন করে বেশি টাকা কামানো যায়। লুকাস ফিল্ম আমাকে নিয়োগ দিল ভিডিও গেমস টেস্টার হিসাবে। আমি ঘন্টায় ৬ ডলার পেতাম ইন্ডিয়ানা জোনস এন্ড দ্যা লাস্ট ক্রুসেড গেম খেলার জন্য। এটি খুবই মজার কাজ কিন্তু দিন শেষে ঘন্টায় মাত্র ৬ ডলার।কাজে যখনই আরো বেশি দামের কাজ পেলাম আমি এটা...

ডেলিভারি হ্যাপিনেজ-৬ : মুনাফার সন্ধানে – প্রোগ্রামিঙের বাইরে

আগের পর্ব হাইস্কুলে আমার একমাত্র কাজ কিন্তু কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ছিল না। আমি ভাবলাম যতো বেশি বিষয়ে আগ্রহ পাবো তত আমার জন্য ভাল। কাজে নানান বিষয়ে আমি আগ্রহ খুঁজে বেরিয়েছি। বিদেশী ভাষার কোর্স নিলাম কয়েকটা – ফরাসী, স্প্যানিশ, জাপানী এমনকী লাতিনও। শরীর চর্চ্চা ক্লাসে আমি নিলাম তরবারি চালানো! (এটি সপ্তাহে মাত্র একদিন হতো, এটাও মনে হয়...

ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – মুনাফার সন্ধানে-৫: মোডেমের নতুন দুনিয়া

আগের পর্ব হাই স্কুলে আমার প্রথম দিন সবসময় স্মরণ করতে পারি। আমি ভেবেছিলাম সবকিছু একদিনে কেমন পাল্টে যাবে কিন্তু আমি যখন সেখানে গেলাম তখন সেরকম কিছুই দেখলাম না! অথচ আমি কিনা বড় হয়ে গেছি! হাইস্কুলে আমার একটা কাজ হল এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ানো। সেরকম একদিন স্কুল লাইব্রেরিতে ঘুরে বেড়ানোর সময় দেখলাম কোনায় একটি দরজা। আলাদা...

ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – মুনাফার সন্ধানে-৪: শুরুর শুরু!

আগের পর্ব : ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – মুনাফার সন্ধানে-৩: ব্যবসার শুরু! প্রাইমারি স্কুলে আমার জানি দোস্ত ছিল গুস্তাভ। আমরা প্রায় সব কিছুই একসঙ্গে করতাম। একজন অন্যজনের বাড়িতে যাওয়া, বাবা-মাদের সামনে গান-বাদ্য করা, পরস্পরকে সিক্রেট কোড শেখানো কী নয়! কোন একবার তার বাড়িতে গেছি। গুস্তাভ আমাকে একটা বই দেখাল-ফ্রি স্টাফ ফর কিডস। এই বইতে অসংখ্য অফার আছে যেগুলো...

ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – মুনাফার সন্ধানে-৩: ব্যবসার শুরু!

আগের পর্ব : ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – মুনাফার সন্ধানে-২: বেড়ে ওঠা আমি আমার নিজের নিউজলেটারের পরিকল্পনা করলাম। প্রায় ২০ পৃষ্ঠাজুড়ে থাকবে আমার লেখা গল্প, ধাঁধা আর কৌতুক।উজ্জ্বল কমলা রঙ্গের কাজগে আমি আমার নিউজলেটার প্রিন্ট করলাম আর নাম দিলাম দ্যা গবলার। দাম রাখলাম ৫ টাকা (ডলার)।আমি স্কুলে চার বন্ধুর কাছে পত্রিকা বিক্রি করতে পারলাম। এতে অবশ্য আমার হবে...

ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – মুনাফার সন্ধানে-২: বেড়ে ওঠা

আগের পর্ব -কেঁচোর খামার তাইওয়ান থেকে পড়ালেখা করার জন্য আমার বাবা আর মা ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন আলাদাভাবে্। সেখানেই তাদের সাক্ষাৎ এবং বিবাহ। যদিও আমার জন্ম ইলিনয়ে কিন্ত লাফানোর বোর্ডে লাফালাফি করা আর মশা মারার স্মৃতি ছাড়া আর সেখানকার কোন স্মৃতি আমার নাই। আমার যখন পাঁচ বছর বয়স তখন বাবা ক্যালিফোর্নিয়াতে চাকরি পান। আমরা চলে আসি...

ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – মুনাফার সন্ধানে-১: কেঁচোর খামার

প্রথমে তারা তোমাকে অগ্রাহ্য করবে, তারপর তারা হাসবে, এরপর তারা তোমার বিরুদ্ধে লড়বে, শেষমেষ তুমি জিতবে। – গান্ধী     আগের পর্ব আমি নিশ্চিত যে আমার যখন নয় বছর বয়স তখন আমার সম্পর্কে গান্ধীর কোন ধারণাই ছিল না। এবং আমিও আসলে জানতাম না গান্ধী কে! কিন্তু গান্ধী যদি জানতেন যে, কেঁচো বিক্রি করে আমি কোটিপতি...

ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – অবতরণিকা

রুম ভর্তি লোক। কোথাও কোন ফাঁকা নেই। আমি স্টেজে এই মবকে কিছু বলার জন্য হাজির হয়েছি। আমার সামনে জাপ্পোসের ৭০০ কর্মী। এদের কারো কারো চোখ দিয়ে অশ্রুও পড়ছে। সবার চোখে মুখে সুখ সুখ! এই অশ্রু আনন্দের। ৪৮ ঘন্টা আগেই সবাই সুখবরটা শুনেছে। আমাজান আমাদের অধিগ্রহণ করছে। বাকী বিশ্বের কাছে এটি একটি টাকার গল্প। এক বিলিয়ন...