একগাদা আয়োজন-কাল-পরশু-তরশু-নরশু

Spread the love

মহাকর্ষ তরঙ্গের একশ বছর

puzzleক’দিন আগেই আইনস্টাইনের জানানো মহাকর্ষ তরঙ্গের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকর্ষ তরঙ্গের ব্যাপারটা যথেষ্ট চিত্তাকর্ষক। সাধারণভাবে মনে হতে পারে মহাকর্ষ তো বউ-এর বকুনি নয় যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটার একটা পরিবর্তন থাকবে? এটা তো যা আছে তাই থাকবে। এযে একটা দোদুল্যমানতা এটা নিয়ে খোদ আইনস্টাইনেরও নানান ঝামেলা ছিল। মানে যখনই বউ বকা দিত তখনই উনি বলতেন না, মহাকর্ষ তরঙ্গ নাই। আর যখন বউ আশেপাশে থাকতো না তখন বলতেন – হুম, তরঙ্গটা আছে। মানে কখনো এটার পক্ষে আবার কখনো মিন মিন করে এর বিরুদ্ধে তিনি বলতেন। তো, এই মজার কিন্তু ভয়াবহ কঠিন ব্যাপারটা নাকি “খুবই সিম্পল”। আমার জানা বাংলাদেশের দুজন সেরা তত্ত্বীয় পদার্থবিদতো তাই বললেন। এ থেকে একটু সাহস পেয়েছি আগামী কাল ২৪ ফেব্রুয়ারি আরশাদ মোমেনের বক্তৃতা শুনতে। এটা হবে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে, ফার্মেসি লেকচার থিয়েটারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান সোসাইটি আর বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির যৌথ আয়োজন। কে বলবেন? – জি। অধ্যাপক আরশাদ মোমেন। আার কে?

তথ্যের শক্তি

Ashirতথ্যের নাকি অনেক শক্তি। সেটা আবার খুব সহজে দেখাও যায়। এ কারণে আমার বক্তৃতাতে আমি বলি লেস দ্যান ত্রি পাঠানোর সময় যেন একটু সাবধান থাকা হয়। তবে, তথ্য যে আসলে সবার জীবন বদলে দিতে পারে সেটা কিন্তু আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি এখন। বিশেষ করে যারা যত বেশি তথ্যের বিশ্লেষন, একীভূতকরণ ইত্যাদি করছে তারাই এগিয়ে যাচ্ছে। গবেষকদের একটা বড় কাজ হলো নানান কিছু গবেষণা করা। মাঠে তার প্রয়োগ করবে ইঞ্জিনিয়াররা। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তিকে সম্ভব গবেষক-প্রয়োগকারী এক হওয়া কিন্তু কঠিন নয়। তো এমন একজন গবেষক দেশে আসলে আমি যে ভিল্ঢিং-এ থাকি সেখানে থেকে তিনি আমাদের আলোকিত করে যান। ঠিক এই কাজটাই করেন। গত বছর আমি যখন জাপান গিয়েছিলাম তখন দেখেছি তাঁকে ঘিরে একটা ছোট্ট বাংলাদেশ সেখানে গড়ে উঠেছে। শুধু গবেষণা করে ক্ষান্ত দেন না আশির আহমেদ। সেটাকে কেমনে মাঠে নেবেন সেটা নিয়ে তাড়িত হোন। দেশে উদ্যোক্তা বানাতে চান। মানুষকে অর্গানিক খাবার খেতে উদ্ভুত্ত করেন এবং জাপানে বানান শহিদ মিনার! তো, আশিরকে এবার আমরা সাড়াশি দিয়ে ধরেছি যাতে সে “তার কাহিনি” আমাদেরকে শোনায়। বলেছি খালি “জাপান কাহিনি” শোনালেতো হবে না। আমাদের দরকার তোমার “কাহিনি: শোনা। সেটি শেষ পর্যন্ত শোনার ব্যবস্থা হয়েছে আগামী ২৫ তারিখ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে। এটি বিডিওএসএন টকসের তৃতীয় আয়োজন। আশির যদি হয়রান হয়ে যায় সেজন্য তাকে সঙ্গ দিতে সেখানে থাকবেন আশিরের ছোটবেলার বন্ধু জাকারিয়া স্বপন এবং আরো একজন যার কথা এখন বলা হবে না। এই আয়োজনটা শুরু হবে সন্ধায়। আশিরের অনেকগুলো গুনের একটা হলো তার গল্প বলা, সেটি কেবল জাপান কাহিনি নয়। কিছু কিছু গল্প তার পেটেন্ট করা বলে আমি বিভিন্ন জায়গায় নিজের নামে চালিয়ে দিতে পারি না। তাহলে দেশের অর্ধেক লোক এগুলো জেনে যেত।
এই আয়োজনও চেয়ার খালি থাকা সাপেক্ষে সবার জন্য উন্মুক্ত

ঝংকারে ঝংকারে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং

মানুষকে মোটিভেট করাটা খুবই কঠিন কাজ। এদেশে লোকে হাসির নাটক দেখার সময় গম্ভীর হয়ে বসে এবং হাসা-টাসা শেষ করে বলে – ধুর এতে হাসির কী আছে। সেরকম এরা বস্তা বস্তা ভিডিও ডাউনলোড করে নিজের হার্ডডিস্কে জায়গা হয় না দেখে পোর্টেবল টেরাবাইট কিনে এবং শেষ পর্যন্ত “আমার কাছে ঔ ভিডিওটি আছে” ভেবে আত্মপ্রসাদ লাভ করে। তবে সেগুলো দেখে না। যদি একটু খোঁজ খবর নিয়ে দেখতো তাহলে অণেকেই ঝংকারের অনরণন খুঁজে পেতো। পড়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কিন্তু হয়েছে প্রোগ্রামার (তার মানে প্রমাণ করেছে প্রোগ্রামার হতে সিএস ডিগ্রী না হলেও হয়)। এক মাসের জন্য দেশে এসেছে আর এখান থেকে ওখানে গুরে বেড়াচ্ছে বলে বেড়াচ্ছে “তুমি যখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস রিখছো তখন তোমার বয়সী একজন বড় একটা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হয়ে বসে আছে”। তো, ঝংকার মাহবুবের যাবার সময় প্রায় হয়ে গেছে। সেই ঝংকারের একটা প্রোগ্রামিং আর ক্যারিয়ার আড্ডা আছে ২৬ তারিখ ঐ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে। এটাও বিডিএএসএনের একটা আয়োজন
hablu
ঝংকার হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং বইটা প্রকাশিত হয়েছে কয়েকদিন আগে। আমার ধারণা বাংলা ভাষায় এর আগে এমন প্রাঞ্জল ভাষায় কেো প্রোগ্রামিং-এর বই লেখে নাই। কারো যদি আমার সঙ্গে দ্বিমত থাকে তাহলে বইটা কিনে পড়তে পারেন।

ঝংকারের অনুষ্ঠানে থাকতে পারাটা আনন্দের। কতোটা আনন্দের তা যারা তার অনুষ্ঠানে যায় নাই তারা কিছুতেই বুঝতে পারবে না। ওর অফুরান প্রাণশক্তির কারনে সঙ্গে বকর-বকর করার জন্য আর কাওকে রাখা হয়নি।

হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার প্র্যাকটিস টেস্ট

হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা শুরু হবে ৬ মার্চ থেকে। ১৬ জায়গায় হবে পুরো মাস জুড়ে। অংশগ্রহণকারীদের প্র্যাকটিসের সুবিধার জন্য একটা প্র্যাকটিস টেস্ট হবে ২৬ তারিখ, শুক্রবার। এটাতো অনলাইন। কাজে বসে পড়লেই হবে। হাবলুরাও যোগ দিতে পারে। যারা হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার খুটিনাটি জানে না তারা এটা পড়ে নিতে পারে।

প্রোগ্রামিং এর কর্মশালা

নতুনদের, বিশেষ করে হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সারাদিনের কর্মশালা হবে ২৮ তারিখ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। আগে আসলে আগে ভিত্তিতে ৩০ জন সেখানে অংশ নিতে পারবে। আলোচনা হবে এ সব বিষয়ে

Introduction.

Session 1: Discussion on basic Number theory and Recursion.

Session 2: Discussion on Dynamic Programming and Binary Search.

Session 3: Lab work, Students will learn basic data structures.

Post-session: Final feedback, motivation and stuff.

অংশগ্রহণকারীদের অবশ্য বেসিক কিছু প্রোগ্রামিং জানতে হবে। যেহেতু সারাদিনের মামলা কাজে খাওয়া দাওয়া আছে। খাওয়া-দাওয়ার খরচ অংশগ্রহণকারীদেরই দিতে হবে। বিস্তারিত এখানে

এটা পরিচালনা করবে তারিফ এজাজ ও লাবিব রশীদ।

হ্যাপি গ্রাভিটেশনাল কোডিং উইথ ইনফরমেশন ফর পাওয়ার।

 

 

Leave a Reply