শুভ নববর্ষ!!!
নতুন বছর সবসময় আনন্দের, নতুন স্বপ্নের।
আমি ঢাকায় থাকছি ১৯৮৬ সাল থেকে। তবে, ভোরবেলাতে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে খুব বেশি যাওয়া হয়নি। মানুষটা আমি নিতান্তই অলস।
তবে, ২০০৭ সাল থেকে বাংলা উইকিপিডিয়ার জন্য আমরা সকালে জমায়েত হতাম, জমায়েত শেষে আইসক্রিম খেতাম (আহা! আইসক্রিম)।
গত বছর পহেলা বৈশাখ কেটেছে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে, মা ভর্তি ছিলেন। দিনভর দৌড়াদৌড়ি করেছি মেডিকেল আর ওখানে। ওমর ফারুকরা এসে মা’কে রক্ত দিয়ে গিয়েছিল।
কী আশ্চর্য আমরা তিন ভাই-এর কারো সঙ্গে মায়ের রক্তের গ্রুপের মিল নেই। কারণ মা AB আর বাবা O ফলে আমরা কেও A আর কেও B।
আর এই বছর মা নেই।
যেবার হেফাজত ঢাকা দখলের মতলব করেছিল সেদিন বাবাও চলে গেছেন। কাজে সেবার থেকে আসলে পহেলা বৈশাখ ঠিক আগের মতো নেই। কাল বিদুষীর স্কুলে বৈশাখের অনুষ্ঠান ছিল। ও সকাল বেলা শাড়ি পড়ে স্কুলে গিয়েছে। ওদের স্কুলে কাল ছাত্রীদের কেও আর শাড়ি পড়ে যায়নি। ও খুশী। প্রিন্সিপালের সঙ্গে ঝবিও তুলেছে। আগের দিন রুবাই-এর ক্লাসটেন সমাপনী ডে ছিল।
আমাদের কষ্টগুলো যেন ওরা টের না পায়। আজ দিনটা ওদের সঙ্গে কাটাবো। ২০০৭ এর পর এবারই প্রথম উইকির জন্য আমাদের আনুষ্ঠানিক জমায়েত হবে না, তবে অনানুষ্ঠানিক জমায়েতটা মনে হয় হবে।
আমি গত কয়েক বছর ধরে আমার এই ওয়েবসাইটটা চালু রেখেছি। এই সাইটটা বানিয়ে দিয়েছে রুবাই। পরীক্ষা জটিলতায় বেচারা আমার সাইটটা আপডেট করতে পারে না। তাই প্রথম আলোতে আমার সহকর্মী সাইটটাকে নতুন করে সাজিয়ে দিয়েছে। এখনো কিছু কাজ বাকী আছে, বিজ্ঞাপনগুলো বসাতে হবে। তারপরও আমিও ভাবলাম নতুন বছরে সবাইকে নতুন সাইট থেকে শুভেচ্ছা জানাই।
“মুছে যাক গ্লানি, ঘুছে যাক জরা”। যে তাপদাহ তাতে প্রতিদিনই তো অগ্নিস্নান হয়ে যাচ্ছে। তাই আলাদা করে লিখলাম না।
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
শুভ নববর্ষ।
সবার জীবন পাই-এর মতো সুন্দর হোক।