আত্মানুসন্ধানের প্রথম পর্ব – পড়ো, পড়ো, পড়ো

Spread the love

poro-poro-poro

ছোটবেলা থেকে আমাদের বাসায় আউটবই-এর প্রাবল্য খুব বেশি ছিল। সঙ্গে গোটাকতক পত্রিকা। একদম ছোটবেলায় আমরা আনন্দমেলা ও কিশোর বাংলা  এগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে উঠি। আমার বাবার একটা বই-এর সেলফ ছিল। সেখানে রবীন্দ্র রচনাবলী, কেরি সাহেবের মুন্সী থেকে শুরু করে কাজী আনোয়ার হোসেনের কুয়াশাও ছিল। কাজে পড়ার ব্যাপারটা মাথার মধ্যে ঢুকে গেছে প্রথম থেকেই।

তো, ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত আমার হাইস্কুল পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়গুলো নিয়ে আমি শুরুতে একটা নোট লিখেছিলাম ফেসবুকে। পরে সেটাকে আমার সাইটে রেখে দিয়েছিলাম। সেটা পড়ে, আদর্শ প্রকাশর্নীর মাহবুব রাহমান সেটিকে বই আকারে প্রকাশের আগ্রহ প্রকাশ করে। আর তারই ফসল হলো এই বইটি।
বই আকারে সাজাতে গিয়ে দেখলাম আরও অনেক কিছু লিখতে হয়। যেমন মুসলিম হাইস্কুলের ভাঙ্গা ছাদের কথা, চট্টগ্রাম কলেজের একটা বিশেষ বিল্ডিং বা বাদল বাই-এর ফিজিক্স কেমিস্ট্রি ম্যাথের কথা।
এবং আমার দাদার কথা।

ফলে এসব কিছু নিয়েই আমার এই বই। এটিকে আমি ঠিক আত্মজীবনী বলছি না, বলছি আমার আত্মানুসন্ধানের গল্প।

রকমারি থেকে সংগ্রহ করা যাবে (৬ তারিখের পর) অথবা কিনতে হবে কোন বই-এর দোকান থেকে।

বইয়ের গায়ের দাম: ২৫০ টাকা

ক্যাটাগরি: স্মৃতিকথা

আইএসবিএন: 978-984-92659-1-7
রকমারি থেকে কেনা যাবে – এখানে

poro-poro-poro-full

প্রথম ফ্ল্যাপে যা লেখা আছে-

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতিকে জোর-জবরদস্তি করে সরিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নেন জেনারেল এরশাদ। লেখক তার ঠিক দুই দিন আগে এসএসসির শেষ লিখিত পরীক্ষা দেন।

১৯৯০ সালের ৩ ডিসেম্বর নিশ্চিত হয় স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিদায়। এর কিছুদিন পরই শেষ হয় লেখকের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবন।

বিশ্ববিদ্যালয়-জীবনের পুরো সময়টা জুড়ে লেখক নিজেকে সন্ধান করে ফিরেছেন। কখনো মিছিলে, কখনো আকাশ দেখায় কিংবা কখনো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের লাইব্রেরিতে।

সময়টা ছিল বাংলাদেশের জন্য ক্রান্তিকাল। সেই সময়ে বাংলাদেশে পোশাকশিল্পের বিকাশ শুরু হয়। সেই বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় দেশে পুঁজির গঠন। ফলে অনুমতি দেওয়া হয় বেসরকারি ব্যাংকেরআর এর বিকাশের জন্য চালু হয় আইবিএ। এভাবেই আমাদের সমাজে এক নতুন পরিবর্তন সূচিত হয়।

এরশাদ আমলের বেশির ভাগ সময় ছাত্রদের কেটেছে রাজপথে, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। আর ঠিক সে সময়ে রাস্তা থেকে রাস্তায়, লাইব্রেরি থেকে লাইব্রেরিতে পড়ার জন্য ঘুরে বেড়াতেন লেখক। কখনো রাতের নাশতার টাকা বাঁচিয়ে, কখনো রিকশার খরচ বাঁচিয়ে নিজের একটা জগৎ বানানোর চেষ্টা করেছেন মুনির হাসান।
এ বইটা তার নিজেকে খুঁজে ফেরার প্রথম পর্ব— আত্মানুসন্ধানের কাহিনি।

13 Replies to “আত্মানুসন্ধানের প্রথম পর্ব – পড়ো, পড়ো, পড়ো”

Leave a Reply