রাইজ অব দ্যা মেশিন?
কল্পবিজ্ঞান লেখকেরা এমন একটা ছবি আঁকছেন অনেকদিন ধরেই। রোবট একসময় “বুঝতে” শিখে যাবে। মানে তাদের এক ধরণের বোধ হবে যা থেকে তারা “যা তাকে বলা হয়নি” এমন সিদ্ধান্তও নিতে পারবে।
গুগলের ডীপমাইন্ড আলফাগো প্রোগ্রামের কারণে ব্যাপারটা মনে হচ্ছে অনেকদ্রুত এগিয়ে আসছে।যারা নজর রেখেছে তারা জানে ৯ মার্চ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে ৫ ম্যাচের একটা গো-গেম সিরিজ হচ্ছে। গো হচ্ছে একটা গুটির খেলা। খেলাটা হচ্ছে আলফাগো’র সঙ্গে বিশ্বের সেরা গো খেলোয়াড লী সে-ডলের। এবং প্রথম তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতে নিয়েছে আলফা গো!
এ নিয়ে আজকের প্রথম আলোতে আমার একটা লেখা ছাপা হয়েছে। রোবটের উত্থাণ??
প্রশ্ন হচ্ছে আলফাগো কেন মানুষের কাছাকাছি বুদ্ধিমত্তা দেখাতে পেরেছে। কারিগরি উত্তরটা হলো নিউরাল নেটওয়ার্ক। নিউরাল নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ হচ্ছে অনেকদিন ধরে। এটি হলো এমন একটা প্রোগ্রাম যা কিনা “শিখতে” পারে।
মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে প্রোগ্রামেবল করা যাবে না বলে যারা মনে করে তাদের একটা বড় অংশের ধারণা হচ্ছে অবস্থার প্রেক্ষিতে ভাল-মন্দের ধারণাটা যে পাল্টে যায় সেটা কখনো তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সাজানো সম্ভব নয়। কিন্তু নিউরাল নেটওয়ার্কে দেখা যাচ্ছে এমন কিছু রোববটকে শেখানো যায় যেটি ঠিক তাকে শেখানো হয়নি! অর্থাৎ সে পারিপার্শিকতা থেকে শিখে যাচ্ছে।
লীর হার দেখে আমার প্রথমে মনে হয়ে হয়েছে টার্মিনেটর সিনেমার কথা। এ কি তাহলে মেশিনের উত্থান?
এ নিয়ে কিছু পড়াশোনা করা যাক।
তবে, অনেকের ধারণা এতে বয়ের কিছু নাই। দাবা খেলায় গ্যারির হারের পরে কম্পিউটার প্রোগ্রামের যে উন্নতি হয়েছে সেটা অবশ্য মানুষের কাজেই লেগেছে। এখনও তাই হবে।
তবে আমার আশঙ্কা হচ্ছে রোবটিক্সের সূত্রাবলী মানুষ যেমন জানে, রোবট কি সেটা জানে?
শুভ সকাল।