নিকোলা টেসলা : সত্যিকারের গুনিন
১৮৯৩ সাল। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের একটি খোলা প্রান্তর। বড় আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কলম্বিয়ান এক্সপোজিশন। মেলা প্রাঙ্গণে হরেক রকম সামগ্রীর সমাহার। আগের বছর থেকে মেলাকে সন্ধ্যাবেলায় অনেক বেশি উজ্জ্বল মনে হয়। কারণও আছে। এই প্রথমবারের মতো মেলা আলোকিত করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে পরিবর্তী বিদ্যুত্ বা এসি কারেন্ট। পরিবর্তী বিদ্যুত্ হলো আমাদের এখনকার দৈনন্দিন বিদ্যুত্প্রবাহ। এর আগের বছরগুলোতে মেলা আলোকিত করতেন টমাস আলভা এডিসন তাঁর সমবিদ্যুত্ বা ডিসি প্রবাহ দিয়ে। সমবিদ্যুতের তারগুলো মোটা, স্থানে স্থানে বড় বড় ব্যাটারি। আলোও কম। কিন্তু এবারের মেলায় এসি প্রবাহের জন্য আলোর প্রাবল্য। সে মেলায় একটি নতুন স্টলও আছে। এটিও আগের কোনোবার ছিল না। স্টলটিতে প্রদর্শিত হচ্ছে নানান ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি। স্টলের উদ্যোক্তা আর মেলার বিদ্যুত্ প্রবাহের দায়িত্ব একটি কোম্পানির, জর্জ ওয়েস্টিং হাউসের।
ওই বিল্ডিংয়ে একজন ডিগ্রি ছাড়া তড়িত্ প্রকৌশলী তাঁর উদ্ভাবিত বিভিন্ন বৈদ্যুতিকসামগ্রী সবার সামনে তুলে ধরেন। একজন দর্শকের বর্ণনা থেকে আমরা জানতে পারি, ‘রুমের মধ্যে টিনের মোড়কে আবৃত দুটি শক্ত রাবারের প্লেট ঝোলানো আছে। এদের মাঝখানের দূরত্ব হবে ১৫ ফুটের মতো। এ দুটি রাবারের প্লেটকে তার দিয়ে ট্রান্সফরমারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। অর্থাত্ এগুলো কাজ করবে টার্মিনাল হিসেবে। যখন বিদ্যুত্- সংযোগ দেওয়া হলো তখনই দেখা গেল, দুই প্লেটের মাঝখানে একটি টেবিলের ওপর রাখা বাতিটি জ্বলে উঠে রুমটি আলোকিত হয়ে গেল। শুধু ওইখানে নয়, রুমের যেকোনো জায়গায় রাখলেও বাতিটি জ্বলেছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো বাতির সঙ্গে কোনো তারের সংযোগ দেখা গেল না। ম্যাজিক, ভোজবাজি ইত্যাদি ধারণায় অভিভূত দর্শকেরা অবশ্য জানতেন না, দুই বছর আগেই এর উদ্ভাবক একই প্রদর্শনী করেছেন লন্ডনে। তবে ১৮৯৩ সালের ওই প্রদর্শনী সর্বসাধারণকে বুঝিয়ে দিল ‘বিনা তারে বৈদ্যুতিক শক্তি’ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে।
‘পড়াশোনা সম্পন্ন করা কিন্তু ডিগ্রি থেকে বঞ্চিত’ ওই তড়িত্ প্রকৌশলীর নাম নিকোলা টেসলা। মেলাতেই তিনি ব্যাখ্যা করেন ঘূর্ণমান চৌম্বক ক্ষেত্রের নীতিমালা এবং ইন্ডাকশন মোটরের কার্যকলাপ।
এডিসনের ডিসি কারেন্টের অসুবিধা ছিল এটির জন্য কয়েক মাইল পরপর বিদ্যুেকন্দ্র প্রয়োজন হতো। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বিদ্যুত্ সরবরাহের জন্য মোটা তারের জঞ্জাল লাগত। অন্যদিকে পরিবর্তী বিদ্যুত্প্রবাহের ভোল্টেজ অনেক বাড়িয়ে চিকন তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুেক অনেক দূরে পাঠানো সম্ভব। এ কারণে ইউরোপে অনেকেই সেই সময় ডিসি বিদ্যুতের পরিবর্তে এসি বিদ্যুত্ ব্যবহারের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু নিকোলা টেসলাই প্রথম এ কাজে দারুণভাবে সফল হন। বিদ্যুতের ইতিহাস লেখা শুরু হয় ভিন্নভাবে।
খালি ইন্ডাকশন মোটর কিংবা এসি বিদ্যুতের ব্যবহার কিংবা বিনা তারে শক্তি স্থানান্তর নয়, নিকোলা টেসলার উদ্ভাবন আমাদের আজকের দিনের নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গেই যুক্ত।
ধর্মযাজক মিলুটিন টেসলার ঘরে নিকোলা টেসলার জন্ম ১৮৫৬ সালের ১০ জুলাই। নিকোলার মা ডুকা ম্যানডিক টেসলা সাধারণ গৃহিণী ছিলেন না। তিনি হাতুড়ি-বাটালি দিয়ে নানা রকম যান্ত্রিক টুলস, গৃহস্থালি আসবাব বানাতে পারতেন। তাঁর স্মরণশক্তিও ছিল অসাধারণ। সার্ব ভাষায় মহাকাব্য তিনি গড় গড় করে বলতে পারতেন। টেসলার বাড়ি এখনকার ক্রোয়েশিয়ার স্মিলজান গ্রামে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে চতুর্থ টেসলার বড় ভাই ঘোড়ায় চড়তে গিয়ে মারা যান। পাঁচ বছর বয়সে টেসলা গ্রামের মক্তবে পড়াশোনা শুরু করেন। কিন্তু পরের বছরই বড় টেসলা গসপিক শহরে সপরিবারে চলে যান। সেখানেই ছোট টেসলার পড়াশোনা চলতে থাকে। ১৮৭০ সালে টেসলার কালোভাগ শহরের হাইস্কুলে পড়তে যান। সেখানকার গণিত শিক্ষক মার্টিন সেকুলিক তাঁকে বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট করেন। সে সময় দেখা গেল, টেসলা মুখে মুখে ইন্টিগ্র্যাল ক্যালকুলাসের জটিল সমস্যা সমাধান করতে পারেন! চার বছরের কোর্স তিন বছরে করে ১৮৭৩ সালে টেসলা হাইস্কুল শেষ করেন।
গ্রামে ফিরে টেসলা কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান। তাঁর বাবা তখন প্রতিজ্ঞা করেন ছেলে সুস্থ হলে সেরা প্রকৌশল স্কুলে পাঠানোর। কিন্তু পরের বছরই অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির যৌথ বাহিনী তাঁদের গ্রাম দখল করে। টেসলা পার্শ্ববর্তী টমিনগর্জে পালিয়ে যান। সেখানে পাহাড়ে পাহাড়ে ঘোরাঘুরি আর প্রচুর বই পড়ে তাঁর সময় কাটে।
অবশেষে ১৮৭৫ সালে টেসলার প্রকৌশলবিদ্যা পড়ার সুযোগ আসে। তিনি ভর্তি হলেন গ্রেস শহরের অস্ট্রিয়ান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। প্রথম বছরে টেসলা কোনো ক্লাসে অনুপস্থিত না থেকে নয়টি বিষয়ে সর্বোচ্চ গ্রেড লাভ করেন। শিক্ষকেরা টেসলা সম্পর্কে তাঁর বাবাকে প্রশংসাসূচক চিঠি লেখেন। দ্বিতীয় বছর থেকেই টেসলা তাঁর অধ্যাপকদের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। টেসলার বক্তব্য ছিল, কমিউটেটর ছাড়াই ডায়নামো তৈরি করা সম্ভব। ফলাফল হলো তাঁর বৃত্তি হাতছাড়া হয় এবং তিনি জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন। চতুর্থ বছরে পরীক্ষার সময় দেখা যায় টেসলার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়নি। তিনি অতিরিক্ত সময় প্রার্থনা করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। ফলে শেষ সেমিস্টারের গ্রেড ছাড়া অর্থাত্ পাস না করেই টেসলাকে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করতে হয়।
এ খবর যেন পরিবার জানতে না পারে সে জন্য টেসলা গোপনে স্লোভেনিয়া চলে যান। পরে ১৮৭৯ সালে বাবার মৃত্যুর কিছু আগে টেসলা বাড়ি ফিরে আসেন। পরে চাচা-মামারা টাকা জোগাড় করে তাঁকে প্রাগ শহরে পাঠান চার্লস-ফার্ডিনান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য। কিন্তু বেচারা সেখানে
পৌঁছানোর পর জানতে পারেন ভর্তির সময় শেষ। তা ছাড়া টেসলা গ্রিক কিংবা চেক ভাষার কোনোটিই জানতেন না। ভর্তি হতে না পারলেও তিনি নিয়মিত লেকচার শুনতেন!
১৮৮১ সালে ফ্রেঞ্চ পুসকাসের টেলিগ্রাফ কোম্পানিতে যোগ দিতে তিনি বুদাপেস্টে যান। শোনা যায়, সেখানে কাজ করার সময় তিনি একটি উন্নত টেলিফোন রিপিটার বা অ্যাম্প্লিফায়ার তৈরি করেন, যদিও সেটা কখনো পেটেন্ট করা হয়নি। এমনকি জনসমক্ষেও দেখানো হয়নি।
মোড় ঘোরানোর এডিসন
১৮৮২ সালে টেসলা টমাস আলভা এডিসনের কোম্পানির ফ্রান্স অফিসে কাজ করার সুযোগ পান। তাঁর কাজ ছিল বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির নকশা ও উন্নয়ন ঘটানো। দুই বছর পরে কোম্পানির সদর দপ্তরে নিউইয়র্কে ডাক পান। সেখানে তাঁর কাজ করার সুযোগ হয় টমাস আলভা এডিসনের তত্ত্বাবধানে এবং সূচিত হয় এডিসন-টেসলা বিখ্যাত ঝগড়ার!
সেখানে টেসলা দাবি করেন, তিনি এডিসনের জেনারেটর (ডিসি বিদ্যুত্, ডায়নামো) ও মোটরের উন্নতি করতে পারবেন, যা কিনা সেগুলোর দক্ষতা যেমন বাড়াবে তেমনি কোম্পানিকে লাভজনক করবে। প্রস্তাব শুনে এডিসন রাজি হন। সফল হলে টেসলাকে ৫০ হাজার ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু সফল হওয়ার পর এডিসন টাকা দিতে অস্বীকার করেন, ‘তুমি আসলে আমেরিকান কৌতুক বুঝতে পারোনি।’ অভিমানী টেসলা তাত্ক্ষণিকভাবে পদত্যাগ করে এডিসনের কোম্পানি থেকে বের হয়ে আসেন।
উদ্ভাবনের সোনালি দিন
এডিসনের কোম্পানি থেকে বের হয়ে আসার পর তিনি সেই সময়কার কয়েকজন ধনাঢ্য ও উদ্যোগী ব্যক্তির সহায়তা পান। তাঁদের অর্থানুকূল্যে তিনি ম্যানহাটনে নিজের ল্যাবরেটরি তৈরি করেন। সেখানেই তাঁর উদ্ভাবিত ইন্ডাকশন মোটরের উন্নতি করেন এবং এর মাধ্যমে উদ্ভাবন করেন এসি বিদ্যুত্ তৈরির যন্ত্র বা অল্টারনেটর। তাঁর মোটরের কোনো কমিউটেটর না থাকায় সেটিতে স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি হতো না। ১৮৯৮ সালে তিনি এর পেটেন্ট পান। সে বছরেই ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিন-এর সম্পাদক টেসলার যন্ত্রপাতি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেন। এর মাধ্যমে পণ্ডিত মহল এবং ব্যবসায়িক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন নিকোলা টেসলা। জর্জ ওয়েস্টিংহাউসের কোম্পানি এককালীন ৬০ হাজার ডলার এবং প্রতি অশ্বশক্তির জন্য আড়াই ডলার রয়্যালটি দিতে সম্মত হয়। তা ছাড়া তারা তাঁকে মাসে দুই হাজার ডলারের বেতনে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়।
ওয়েস্টিংহাউসে থাকার সময় টেসলা একই সঙ্গে ধনবান হন এবং তাঁর নানান উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগান। তাঁর শক্তিতে
বলীয়ান ওয়েস্টিংহাউস চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এডিসনের কোম্পানিকে হারিয়ে বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থায় ডিসির পরিবর্তে এসিকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
৩০ জুলাই ১৮৯১ সালে টেসলা আমেরিকার নাগরিকত্ব অর্জন করেন। ১৮৯৪ সালে নিজ ল্যাবরেটরিতে কাজ করার সময় তিনি একটি তেজস্ক্রিয় বিকিরণের সন্ধান পান। এখন আমরা জানি সেটি ছিল
এক্স-রে। কিন্তু ১৮৯৫ সালে তাঁর ল্যাবরেটরিতে আগুন লাগলে এর প্রমাণাদিসহ তাঁর মডেল, প্ল্যান, নোট ইত্যাদি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ১৮৯৬ সালে উইলহেম রন্টজেন্ট এক্স-রে আবিষ্কারের কৃতিত্ব পেয়ে যান। এ আবিষ্কারের খবর শুনে টেসলা তাঁর নিজের মতো করে এক্স-রে মেশিন তৈরি করেন। সেই সময় তিনি লক্ষ করেন, এক্স-রে শেষ পর্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।
১৮৯১ সাল থেকেই তিনি বেতারতরঙ্গের মাধ্যমে ট্রান্সমিশন নিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দিচ্ছিলেন। ১৮৯১ সালেই বিনা তারে শক্তি স্থানান্তরের কয়েকটি পরীক্ষাও তিনি করে দেখান। ১৮৯৮ সালে টেস্টা বেতার তরঙ্গনির্ভর রিমোট কন্ট্রোলার তৈরি করেন এবং তা দিয়ে দূর থেকে একটি নৌকা চালান। তাঁর এ কাজ বেশির ভাগ লোকই ম্যাজিক, টেলিপ্যাথি মনে করে। অনেকেই মনে করে, টেসলা একটি বানরকে দিয়ে এ কাজ করেন! ১৯০০ সালে টেসলা এসব বিষয়ে পেটেন্ট লাভ করলেও গুগিলমো মার্কনি ইতিহাসে বেতারের আবিষ্কারক হিসেবে স্বীকৃতি এবং নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯০৪ সালে আদালতে টেসলা হেরে যান। ১৯৪৩ সালে অবশ্য আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট টেসলার আবিষ্কারের স্বীকৃতি দিয়েছেন। ১৮৯৯ সালে টেসলা কলোরাডোতে চলে যান। সেখানে তিনি প্রথম বায়ুমণ্ডলের বিদ্যুেক মানুষের কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। তাঁর ধারণা ছিল, বজ্রপাতের শক্তিকে যদি কাজে লাগানো যায় তাহলে বিদ্যুত্ সমস্যার একটা ভালো সমাধান হয়। এ জন্য তিনি কৃত্রিম বজ্রপাতের সৃষ্টি করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর ‘আকাশের বিদ্যুত্’কে বাড়িতে আনার প্রচেষ্টা সফল হয়নি।
১৯১৭ সালে টেসলা প্রস্তাব করেন বিদ্যুত্তরঙ্গের মাধ্যমে সমুদ্রের মধ্যে সাবমেরিনের অবস্থান নির্ণয় করা যাবে। দুর্ভাগ্যক্রমে সে সময় মার্কিন নৌবাহিনীর গবেষণা প্রধান ছিলেন টমাস আলভা এডিসন। তিনি ‘এটি কোনো কাজে লাগবে না’ বলে নাকচ করে দেন। ১৯৩০-এর দশকে এমিলি গিয়ারডিউ একই নীতিতে রাডার (RADAR) উদ্ভাবন করেন। ১৯২৮ সালে টেসলা তাঁর শেষ পেটেন্টটি পান। সেটি ছিল একটি উড়োজাহাজের, যা খাড়াভাবে উড্ডয়ন করতে পারত। বলা যায়, এটি ছিল প্রথম হেলিকপ্টারের ধারণা।
বিভিন্ন পেটেন্টের কারণে টেসলা অনেক টাকাপয়সা পেলেও তার সবটুকু গবেষণায় ব্যবহার করতেন। ফলে শেষ দিকে দারুণ অর্থকষ্টে পড়ে যান। ১৯৩৪ সাল থেকে ওয়েস্টিংহাউস তাঁকে মাসে ১২৫ ডলার দেওয়া শুরু করে এবং তাঁর হোটেলে থাকার বিল দিয়ে দেয়। নিউইয়র্কার হোটেলের ৩৩২৭ নম্বর কক্ষে ১৯৪৩ সালের ৭ জানুয়ারি নিকোলা টেসলা মারা যান।
নিকোলা টেসলা মোট ৩০০টি পেটেন্টের অধিকারী ছিলেন। কিন্তু তাঁর সম্পর্কে লোকে খুব কম জানে। বিজ্ঞানী মহল ১৯৬০ সালে চৌম্বক ক্ষেত্রের এককের নাম তাঁর নামে, ‘টেসলা’ হিসেবে নামকরণ করেন।
সাম্প্রতিক কালে, তরুণ প্রজন্ম এবং ঐতিহাসিকেরা নিকোলা টেসলার উদ্ভাবন ও আবিষ্কারসমূহ সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটসহ ইন্টারনেটজুড়ে এখন টেসলা একজন ‘সত্যিকারের গুনিন’ হিসেবেই স্বীকৃত।
[কিশোর আলোর আগস্ট ২০১৪ সংখ্যায় প্রকাশিত]
2 Replies to “নিকোলা টেসলা : সত্যিকারের গুনিন”
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.
http://www.teslamotors.com/