খুদে মওদুদের প্রোগ্রামিং যাত্রা
জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে গত ১৮ এপ্রিল ২০১৫ কোডমার্শাল সাইটে একটি অনলাইন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে যে চারজন সব কটি সমস্যার সমাধান করেছে তাদের মধ্যে দুইজন হাইস্কুলের এবং কনিষ্ঠতম হল মওদুদ হাসান। অন্যজন শাহরিয়ার শুভ।
খুলনার জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্টের পাশে গিলাতলা গ্রামের মওদুদ। এখন পড়ছে খুলনার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে।
অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মোঃ ইউসুফ আলী ও মাহফুজা খানমের ৯ সন্তানের সবার ছোট মওদুদ।
কেমন করে প্রোগ্রামিং-এ আগ্রহ হলো এমন প্রশ্নের জবাবে জানালো – আমি তখন কম্পিউটার এ গেম খেলা এবং মুভি দেখা ছাড়া কিছুই পারি না। আমার বড় ভাইয়া একদিন আমাকে এসে বলল কম্পিউটারে আমি যে গেম খেলি এইটা আমিও বানাতে পারি, কখনো বানাতে ইচ্ছা করে না? তারপর সি-এর কিছু বেসিক শিখিয়ে দিল। আমি তখন ইন্টারনেট থেকে প্রবলেম দেখা শুরু করলাম। সমস্যা হলে নেট-এ সার্চ করতাম।এর পর আমি C++ শিখি এবং competitive programming করা শুরু করি। এছাড়াও সুবিন ভাই এর “computer programming” বই প্রথম দিকে হেল্প করত।
মওদুদ মূলত কোডফোর্স নামের একটি সাইটে প্রাকটিস করে যেখানে নিয়মিত অনলাইন কন্টেস্ট হয়। প্রাকটিসের জন্য UVa এর প্রবলেমগুলো বেশ ভাল বলে সে জানায়। এখন “competitive programming” নামের একটা বই থেকে নতুন জিনিস শিখছে সে।
১৮ তারিখের “E. বৃত্তের ভিতরে বিন্দু ( Point Inside Circle )” প্রবলেমটি আমার কাছে মজার মনে হয়ছে।আমি এই প্রবলেমটিতে প্রথমে সমাধান বের করতে পারছিলাম না। পরে সমকোণী ত্রিভুজ এর সুত্র ব্যবহার করে সহজে সমাধান করতে পেরেছি।- জানালো মওদুদ।
মওদুদের কাছ থেকে জানা যায় প্রথমদিকে তার বেশ সমস্যা হত প্রাকটিস করতে। ইন্টারনেট এর স্পিড কম থাকায় কন্টেস্ট ঠিকমত করা যেত না। আবার রাতে কন্টেস্ট করে সকালে স্কুলে যাওয়া হত না।
ওর ধারণা প্রোগ্রামিং-এর ক্যাম্প হলে অনেক নতুন জিনিস শেখা যায়। স্কুলগুলো সহায়তা করলে তাহলে আরো অনেকে প্প্যরোগ্রোরামিং-এ এগিয়ে আসতো বলে মওদুদের ধারণা।
ধনঞ্জয় বিশ্বাস,বৃষ্টি শিকদার,লাবিব ও হাসিব মুহাইমিন মওদুদের প্রেরণা।
প্রোগ্রামিং ছাড়া গেম খেলতে এবং মুভি দেখতে পছন্দ করে। ভভিষ্যতে contest প্রোগ্রামিং এবং practice এর মাধ্যমে নিজের স্কিল বাড়িয়ে IOI তে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে মওদুদ।
মওদুদের স্বপ্ন পূরণ হোক।