মঙ্গলের পানে এলন মাস্কের গাড়ি!
ঘন্টা কয়েক আগে, এলন মাস্কের লাল রঙ্গের স্পোর্টসকারটি নিয়ে মহাকাশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেছে ফ্যালকন হেভী, এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বড়ো নভোতরী। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে এই বিশাল মহাকাশযানটি কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই উড্ডয়নে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। সরাসরি ওয়েবকাস্ট করা হয়েছে। অতো রাত বলে আর দেখা হয়নি।
স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহীর ধারণা তাদের যাত্রা আর একধাপ আগালো।
এর আগে পৃথবীর সবচেয়ে হেভী রকেট উৎক্ষেপন করা হয়েছে ডেল্টা ফোর হেভী। মাস্কের বক্তব্য অনুসারে ফ্যালকন হেভী সেটির দ্বিগুন ওজনের কিন্তু তিনভাগের একভাগ খরচের।
এটিকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে পৃথিবীর কাছাকাছি ক্ক্ষপথে ৬৪ টন পে-লোড দিতে পারে। এর মানে হলো ঢাকার বন্ধ হয়ে যাওয়া ৫টা ডাবল ডেকার বাসকে মহাকাশে পাঠানো। এই অনিশ্চিত এ যাত্রায় মাস্ক অবশ্য এতো ওজনদার জিনিষ সেখানে দেননি। ফ্যালকন হেভী নিয়ে গেছে মাস্কের পুরাতন চেরী লাল রঙের টেসলা স্পোর্টস কারটি। স্পেসস্যুট পড়া একটি ম্যানিকুইনকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে ওর চালকের আসনে। আর রেডিওতে বাজতে থাকবে ডেভিড বউলের স্পেস অডিটি!
সব কিছু ঠিক থাকলে সেটিকে একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে বসিয়ে দেওয়া হবে যাতে এক সময় সেটি মঙ্গল গ্রহে পৌছাতে পারে।
যারা টেকনিক্যাল খুটিনাটি পড়তে চায় তারা এখান থেকে পড়ে নিতে পারবে।
ভাল কথা সকালে এটি লেখার সময় রুবাইকে বলছিলাম মাস্কের এই কীর্তির কারণ কী?
ও বললো, “ শোনো নাই। এলন মাস্ক আসলে এলিয়েন। পৃথিবীতে আটকা পড়েছে। এখন নিজের বাড়িতে ফেরার জন্য এতসব কাজ কর্ম করে বেড়াচ্ছে”।
হতে পারে। এলিয়েন ভুতদের সঙ্গে আমার প্রায়শ দেখা হয় যার কথা আমি লিখছি এখন আমার দ্বিতীয় সায়েন্স ফিকশন ভুতেরা কি এলিয়েনে!
শুভ সকাল।
One Reply to “মঙ্গলের পানে এলন মাস্কের গাড়ি!”