মাইক্রোসফটের ৪০ বছর
আজ থেকে ঠিক ঠিক ৪০ বছর আগে, ১৯৭৫ সালের এপ্রিলের ৪ তারিখে বিল গেটস ও পল এলেন মিলে একটি ছোট্ট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। কোম্পানিটির নাম ছিল মাইক্রোসফট। অনেকেই এর পরের গল্পটা জানে। আর এই কোম্পানি থেকেই বিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সম্পদশালী ব্যক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন।
বিল গেটেসের ভবিষ্যৎ দেখার একটি অসাধারণ চোখ আছে। সেটির কথা লিখেছিলাম আগে একবার।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, তিনি জানতেন কোথায় থামতে হয়। কাজে এক সময় তিনি ঠিকই মাইক্রোসফট থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে বিল মেলিন্দা গেটস ফাউন্ডেশনের জন্য সময় দিতে শুরু করেন। লেখালেখিতে বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিয়ে নিজের একটা ব্লগও চালান তিনি। তবে, গত বছর সত্য নাদেলা মাইক্রোসফটের শীর্ষ নির্বাহী হওয়ার পর থেকে ইদানীং বিল মাইক্রোসফটের কারিগরি উপদেষ্টা হয়েছেন।
মাঝখানে বির গেটস নানান প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছেন।
মাইক্রোসফটের চার দশক পূর্তিতে তিনি গতকাল মাউক্রসফটের কর্মীদের কাছে একট চিঠি দিয়েছেন যা গতকালই ভার্জ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৭৮ সালের ঐ চিঠির মত এটাও হয়তো একদিন খুব গুরুত্ব পাবে বলে মনে হচ্ছে। আমার সাইটের পাঠকদের জন্য তাই এটা অনুবাদ করে ফেললাম।
আগামীকাল একটা বিশেষ দিন : মাইক্রোসফটের ৪০তম বার্ষিকী।
অনেকদিন আগে আমি আর পল এলেন মিলে একদিন প্রত্যেক বাড়ির ডেস্কে কম্পিউটার পৌঁছে যাবে এমন লক্ষ্য স্থির করেছিলাম। সে সময় এটি একটি কঠিন চিন্তা চিন্তা ছিল। বেশির ভাগ লোকই আমাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন করেছে। এটি নি:সন্দেহে আনন্দের যে, তখন থেকে কম্পিউটিং অনেকটা পথ অতিক্রম করেছে। আর এই বিপ্লবে মাইক্রোসফটের ভূমিকার জন্য আমরা সবাই গর্ব করতে পারি।
অবশ্য আজকে আমি অতীতের চেয়ে মাইক্রোসফটের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে চাই বেশি। আমি বিম্বাস করি আগামী ১০ বছরে কম্পিউটিং-এর ব্যাপারটা আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি বিকশিত হবে। এখনই আমরা বহু-প্ল্যাটফর্ম দুনিয়ায় বাস করি এবং কম্পিউটিং প্রায় সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি আমরা এমন একটা সময়ের দ্বার প্রান্তে যখন কিনা কম্পিউটার ও রোবট নিজেরাই অনেক কিছু করে ফেলবে!
সত্য’র নেতৃত্বে মাইক্রোসফট এখন একটি ভাল ও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের স্থানে রয়েছে। কঠিন সমস্যা সমাধান করা এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ আমাদের আছে। সত্য’র টেকনিক্যাল উপদেষ্টা হিসাবে আমি এখন বিভিন্ন পন্যের মূল্যায়ন, ডিজাইনের সঙ্গে যুক্ত। আমি অনেক প্রতিভা দেখছি যারা অনেক উন্নত মেধার অধিকারী।এর ফলাফল দেখা যায কর্টানা, স্কাইপ অনুবাদক এবং হলোলেন্সে। যদিও এই কয়টি আগামী উদ্ভাবনের তালিকার কয়েকটি মাত্র।
আগামী দিনগুলোতে, আরো বেশি মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের কাছে মাইক্রোসফট পোঁছানোর সুযোগ পাবে। প্রযুক্তি এখনো অনেকের আওতার বাইরে, কারণ হয় সেটা জটিল অথবা দামী অথবা হয়তো সেখানে একসেস নাই। কাজে আমি আশাকরি প্রযুক্তির ক্ষমতা কীভাবে আরো বেশি মানুষের কাছে পোছে দেওয়া যায় সেটা নিয়ে তুমি ভাববা। মানুষে মানুষে সংযুক্তি এবং পার্সোনাল কম্পিউটিংকে যাতে সবার কাছে নিযে যাওয়া যায় সেটাই হবে আমাদের লক্ষ্য।
সবাই মিলে গত ৪০ বছরে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। পাশাপাশি আমরা অনেক মানুষ ও প্রতিষ্ঠানকে তাদের সম্ভাবনাকে পূর্ণ মাত্রায় ব্যবহারে ক্ষমতায়ন করেছি।
আজকের এবং আগামী দশকগুলোতে মাইক্রোসফটকে একটি ফ্যান্টাস্টিক কোম্পানিতে পরিণত করার জন্য তোমাকে জানাই ধন্যবাদ।
শুভ জন্মদিন মাইক্রোসফট