উদ্ভাবনের কলকব্জা – ৯ : মিলিয়ন ডলারের হোমপেজ?
উদ্ভাবনের কলকব্জা -১: উদ্ভাবন বৈষম্য???
উদ্ভাবনের কলকব্জা ২: বাক্সের বাইরে – ব্যাক টু ব্যাক লেটার অব ক্রেডিট
উদ্ভাবনের কলকব্জা ৩: দেখতে হবে আশে পাশে
উদ্ভাবনের কল-কব্জা-৪ : গোল্লাপূরণের পরীক্ষা
উদ্ভাবনের কলকব্জা-৫ : আমার রাস্তা ঠিক কর
উদ্ভাবনের কলকব্জা ৬ : শেয়ারিং ইনফরমেশন টু এমপাওয়ার সিটিজেন
উদ্ভাবনের কলকব্জা ৭: মোবাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির রেজিস্ট্রেশন
উদ্ভাবনের কলকব্জা ৮- এসপার-ওসপার
একপেজের হোমপেজওয়ালা একটা ওয়েবসাইট সর্বোচ্চ কতোটাকা কামাতে পারে?
বলা বাহুল্য খুব বেশি নয়। এখনকার দিনেও অঙ্কটা এক মিলিয়ন ডলারে পৌছানোর কথা না। অথচ ঠিক এই কাজটাই করেছিল ২০০৫ সালে ইংলন্ডের এক ছাত্র। আলেক্স টিউ একপাতার একটা ওয়েবসাইট বানায়। ওতে পিক্সেল ছিল ১ মিলিয়ন মানে ১০ লক্ষ। এটি ১০০০ বাই ১০০০ পিক্সেলের একটি গ্রিড।
এরপর সে প্রত্যেক পিক্সেল মাত্র ১ ডলারে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বেঁচতে শুরু করে। ওতে ১০ বা ১০ ব্লকে একটা ইমেজ আর সেটাতে একটা ওয়েবঠিকানা রিডিরেক্ট করা। ব্যাস এক ডলার!
২০০৬ সালের জানুয়ারিতেই শেষ ১০০০ পিক্সেল বিক্রির জন্য ই-বেতে নিলামে তোলা হয় এবং সেটা বিক্রি হয় মোট ৩৮ হাজার ১০০ ডলারে।
তারমানে আলেক্সের মোট বিক্রি ১,০৩৭,১০০ ডলার! আমাদের টাকায়? মাত্র আট কোটি টাকা।
বিস্তারিত আরও তথ্য পাওয়া যাবে এখানে
এরকম বেশিরভাগ উদ্ভাবনই খুব সিম্পল। সাদামাটা। শেষ হাজার পিক্সেলের লড়াইটা দেখে বোঝা যাচ্ছে যে ব্যাপারটা কিরকম হিট হয়েছিল।
লেসন লার্ন হলো – উদ্ভাবনের জন্য চোখকান খোলা রাখতে হয়। দেখতে হয় নতুন কোন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় কিনা।
বিটিসিএল যখন ডট বিডি চালু করে তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র গুগল ডট কম ডট বিডি কিনে ফেলে এবং পরে সে সেটা মাত্র লক্ষ টাকায় গুগলের কাছে বিক্রি করে! ইয়াহু, আমাজনেরটা অবশ্য ঠেকিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একজন ব্যবসা যা করার করে ফেলে।
এই সেই মিলিয়নডলারেরহোমপেজ !
2 Replies to “উদ্ভাবনের কলকব্জা – ৯ : মিলিয়ন ডলারের হোমপেজ?”